আমার বাঁশখালী.কম.ডেক্স রিপোর্টার মোঃ রোবেল.
মনোনয়নপত্র বাতিল করার মাধ্যমে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম জিয়া আরও একটি আক্রোশের শিকার হলেন বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী আহমেদ।
আজ সকালে বিএনপির গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
এ সময় তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াসহ তাদের অসংখ্য প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। টার্গেট করে ৫০ জনের মতো হেভী ওয়েট জনপ্রিয় নেতা ও সাবেক এমপিদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। বিনা অজুহাতেই বিএনপি এ সকল প্রার্থীদের মনোনয়ন পত্র বাতিল করা হয়েছে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর একজনেরও মনোনয়ন পত্র বাতিল হয়নি।
রিজভী বলেন রিটার্নিং অফিসারদের কক্ষ সংলগ্ন ‘ছোট রুম’টিই এখন টক অব দি কান্ট্রি। বিএনপি প্রার্থীদের মনোনয়ন পত্র বাতিল করা হবে কি হবে না সেটি জানার জন্য বারবার রিটার্নিং অফিসার ঐ ছোট রুমে ছুটে যান। মূলত: সরকারের নির্দেশ শোনার জন্যই রিটার্নিং অফিসারকে বারবার ঐ রুমে যেতে হয়। বিএনপি’র প্রার্থীদের অনেকেরই মনোনয়নপত্র নির্ভূল থাকার পরেও উক্ত ছোট রুম থেকে ফিরে এসে রিটার্নিং অফিসার (ডিসি) বলেন, উপরের নির্দেশ আছে বলেই এই মনোনয়নপত্রটি বাতিল করতে আমি বাধ্য হচ্ছি।
আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম মনোনয়নপত্রে স্বাক্ষর না করা সত্ত্বেও তার মনোনয়নপত্র বৈধ করা হয়েছে। বলা হয়েছে-সৈয়দ আশরাফের মনোনয়ন পত্রে টিপসই দেয়া হয়েছে, তিনি গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় অচেতন হয়ে থাইল্যান্ডে চিকিৎসাধীন আছেন। কেউ বিদেশে অবস্থান করলে তার স্বাক্ষর কিংবা টিপসই সংশ্লিষ্ট দেশে বাংলাদেশ এ্যাম্বেসি’র একজন ফার্ষ্ট সেক্রেটারী কর্তৃক সত্যায়িত করতে হবে, যার মর্যাদা হবে প্রথম শ্রেণীর একজন ম্যাজিষ্ট্রেটের সমানের। এধরণের কর্মকর্তার দ্বারা সত্যায়িত হয়নি সৈয়দ আশরাফের মনোনয়নপত্র। তার মনোনয়নপত্র নোটারী করা হয়েছে বাংলাদেশে, যা আইনসিদ্ধ নয়। সৈয়দ আশরাফের নামে নির্বাচনী কোন ব্যাংক একাউন্ট নেই, যেখান থেকে নির্বাচনী খরচ চালানো হবে। তাহলে সৈয়দ আশরাফের মনোনয়নপত্র বৈধ হলো কিভাবে?
লক্ষীপুর-৩ আসনে বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী এ কে এম শাহজাহান কামাল কাগজপত্র ও অন্যান্য তথ্য দাখিল না করলেও তার মনোনয়নপত্র বৈধ করা হয়েছে। এটি নিউজ করতে গেলে তিনি সাংবাদিকদেরকে হুমকি-ধামকি দিচ্ছেন। আওয়ামী লীগের অনেক দণ্ডিত নেতারও মনোনয়নপত্র বৈধ করা হয়েছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
নির্বাচন কমিশনকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন সরকারের ছায়া। সরকারের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে নির্বাচন কমিশন। প্রধানমন্ত্রীর প্রচ্ছন্ন নির্দেশেই ইসি সকল কার্যক্রম পরিচালনা করছে। নির্বাচন কমিশনের কর্মকাণ্ডে বোঝা যায় যে, তারা কোন জাতের।
সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, গণতন্ত্র ও সুষ্ঠূ নির্বাচনের নেতিবাচক চরিত্র হলেন এইচ টি ইমাম। তিনি নির্বাচনকে নিয়ে যত রকমের কারিগরি করা দরকার তাই করছেন। আমরা বিশস্ত সূত্রে এও জানতে পারছি-ভোটের দিন ইন্টারনেট থ্রি-জি, ফোর-জি মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধ করে দেয়া হবে। আজ থেকে মনিটরিং করা হবে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো। সরকারের সমালোচনা করলেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দেয়ার হুমকি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন সচিব।
তবুও এদেশের অধিকারহারা জনগণ ও জাতীয়তাবাদী শক্তি ‘শিকল ভাঙ্গা পণ’ নিয়ে গণতন্ত্র পূণরুদ্ধার ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারামুক্ত করার নির্বাচনী প্রতিযোগিতার যুদ্ধে এগিয়ে যাবে। নেট সূত্র........
No comments:
Post a Comment