জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ। ফাইল ছবিজাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ বলেছেন, তাঁর দল নির্বাচনে একটা ‘ফ্যাক্টর’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ কারণেই সবাই তাঁদের কাছে টানতে চাইছে। কিন্তু জাতীয় পার্টি কীভাবে আগামী নির্বাচন করবে, সে বিষয়ে নেতা-কর্মীরাই সিদ্ধান্ত নেবেন।
গতকাল বুধবার বিকেলে চট্টগ্রাম নগরে হোটেল রেডিসন ব্লুর লবিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে এরশাদ এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে জাতীয় পার্টির সঙ্গে সম্ভাব্য জোটের বিষয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সাম্প্রতিক একটি বক্তব্য প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হয়। জবাবে এরশাদ বলেন, ‘ফখরুল ইসলাম কী বলেছেন সে বিষয়ে আমার ধারণা নেই। আমরা এককভাবে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। তবে জাতীয় পার্টি নির্বাচনে ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই সবাই আমাদের চাইছে। কিন্তু আমরা কোথায় যাব, কীভাবে নির্বাচন করব সেটা নির্ভর করবে আমাদের ওপর, আমাদের কর্মীদের ওপর, নেতাদের ওপর। আমরাই সিদ্ধান্ত নেব কীভাবে নির্বাচন করব।’
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি ৩০০ আসনে প্রার্থী দেবে। এ বিষয়টি উল্লেখ করে এরশাদ বলেন, ‘আমরা সংগঠিত হচ্ছি। আমাদের ৩০০ প্রার্থী আছে। কতজন প্রার্থী জয়ী হতে পারবে সে সম্পর্কে আমরা নিশ্চিত নই। কিন্তু আমাদের কর্মীদের মধ্যে উৎসাহ সৃষ্টি হয়েছে। আমার মনে হয় সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে আমরা ভালো করব।’
জোটবদ্ধ হয়ে আগামী নির্বাচন করবেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে এরশাদ বলেন, ‘আমরা আপাতত আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোটে আছি। আওয়ামী লীগ আমাদের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী দল। আগামীতে কী হবে, কীভাবে নির্বাচন হবে— সে সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়।’
এরশাদ আরও বলেন, দেশে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের অভাব রয়েছে। তাই এই যুবসমাজ বিপথে চলে যাচ্ছে। অনেকে মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছে। এটা জাতির জন্য লজ্জাজনক কথা। সরকারের প্রয়োজন বিদেশি বিনিয়োগ নিয়ে আসা, শিল্পকারখানা গড়ে তোলা। শিক্ষিত যুবকদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে না পারলে সমাজে যে অশান্তি সৃষ্টি হয়েছে তা আরও বাড়বে।
রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ফলে সন্তোষ প্রকাশ করে এরশাদ বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের জন্য এই নির্বাচন বড় পরীক্ষা ছিল। সেই পরীক্ষায় তারা উত্তীর্ণ হয়েছে। রংপুরে আদর্শ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়েছে। আমার মনে হয়, বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হলো।’ আগামী জাতীয় নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারবে না কি না এই প্রশ্নের জবাবে এরশাদ বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচন নিয়ে এই মুহূর্তে কথা বলা উচিত হবে না। তবে আমাদের প্রস্তুতি আছে।’
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সাংসদ জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, সাংসদ মাহজাবীন মোরশেদ, ভাইস চেয়ারম্যান মোরশেদ মুরাদ ইব্রাহিম, সাবেক মেয়র মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী, সাবেক সাংসদ সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী প্রমুখ। প্রথমআলো
No comments:
Post a Comment