বাঁশখালী উপজেলার পুঁইছড়ির ২নং ওয়ার্ডের সম্পত্তির লোভে সৎ ছেলেদের হাতে মাকে খুনের ঘটনা ঘটেছে।
সোমবার সকালে এ ঘটনা ঘটলেও দীর্ঘ ১২ ঘন্টা পর রাত ৯ টার দিকে নিহত ছকিনা বেগম (৬৫) এর আপন সন্তান এসে থানা পুলিশের মাধ্যমে তার লাশ উদ্ধার করেছে।
এদিকে মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (চট্টগ্রাম দক্ষিণ) একেএম এমরান ভুঁইয়া ও সহকারী পুলিশ সুপার (আনোয়ার সার্কেল) মুফিজ উদ্দীন এবং বাঁশখালী থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সালাহউদ্দীন হিরা পরিদর্শন করেছেন। এদিকে মাকে হত্যার দায়ে নিজ সন্তান মোঃ সরোয়ার উদ্দীন বাদী হয়ে ৮ জনকে এজাহার নামীয় দেখিয়ে বাঁশখালী থানায় মামলা দায়ের করেছে।
সৎ ছেলেদের মা খুনের ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যকর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। তাছাড়া এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভও পরিলক্ষিত করা গেছে।
স্থানীয় ও মামলা সূত্রে জানা যায়, পুঁইছড়ি ইউপি’র ২নং ওয়ার্ডের আফইরজ্যা বাপের বাড়ীর মৃত মাস্টার বদি আলমের ২য় স্ত্রী ছকিনা বেগম স্বামীর মৃত্যুর পর দীর্ঘদিন থেকে সম্পত্তির স্টেট দেখাশুনা করে আসছিলেন। সেই সম্পত্তির লোভে তার সৎ ছেলেরা দীর্ঘদিন পরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি ও নির্যাতন করে আসছিলেন নিহতকে।
মঙ্গলবার সকালে পরিবারের সৎ ছেলে ইমরুল কায়েস মিটু ও তার স্ত্রী পপি আক্তার সুকৌশলে বাড়ীর অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে সৎ মায়ের নির্মম নির্যাতন চালায়। নির্যাতনের এক পর্যায়ে ছকিনা বেগম মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। স্থানীয় ডাক্তার দ্বারা পরীক্ষা করার পর মৃত্যু নিশ্চিত হলে থানা পুলিশের অগোচরে দীর্ঘ ১২ ঘন্টা লাশ গুম করে রাখে ওই নরপিশাচ পুত্র।
তাছাড়া লাশ গুমের ক্ষেত্রে স্থানীয় ইউপি সদস্য ও প্রভাবশালী মহল থানা পুলিশ ও উর্ধ্বতন প্রশাসনকে ম্যানেজ করার জন্য একের পর এক চেষ্টা চালালেও থানা পুলিশের ওসি সালাহউদ্দীন হিরার হস্তক্ষেপে তা ভেস্তে যায়।
এ ব্যাপারে মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই রফিকুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থল আমাদের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ পরিদর্শন করেছেন। এ নিয়ে নিয়মিত মামলাও রুজু করা হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িতদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও তিনি জানান। আমার বাঁশখালী.কম। সূত্র: জনকণ্ঠ অনলাইন।
No comments:
Post a Comment