আমার বাঁশখালী.কম, নিজস্ব প্রতিবেদক:
চট্টগ্রাম পি.এ.বি সড়ক বাঁশখালী জেলার শেখেরখীল রাস্তার মাথায় গতকাল সোমবার দুপুরে দেড় টার দিকে চট্টগ্রাম অভিমুখী দ্রুতগামী শুটকি মাছের পোটলা বোঝাই ট্রাকে আগুন লেগে ঘটনাস্থলে ৩ জন নিহত হয়েছে।
এতে দগ্ধহয়ে গুরুতর আহত ৩ জনকে প্রথমে বাঁশখালী হাসপাতাল পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্নইউনিটে পাঠানো হয়।
আহতদের মধ্যে উন্নত চিকিৎসার জন্য চমেক থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় শুঁটকি মাছব্যবসায়ী ছালেহ আহমদ (৪০) ও ট্রাক চালক নুরুল কবির (২৮)কে স্বজনরা ঢাকায় নেওয়ার পথে মাছ ব্যবসায়ী ছালেহ আহমদ মারাগেছে।
টাক চালক নুরুল কবির বর্তমানে বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন রয়েছে।এ ঘটনায় অপমৃত্যুর মামলা দায়ের হয়েছে।
গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় লাশের সুরত হাল তৈরির পর প্রশাসনেরঅনুমতি নিয়ে নিহত ৩ জনের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম অভিমুখী শুঁটকি মাছের পোটলাবোঝাই ট্রাক (ঢাকামেট্টো নং–১৩–১০১৪) বাঁশখালী পি.এ.বি সড়ক হয়ে শেখেরখীল রাস্তার মাথা নামক স্থানে নিয়ন্ত্রণ হরায়।এসময় হঠাৎ করে ইঞ্জিন বাক্স হতে আগুন ধরে যায়। মুহূর্তের মধ্যে গাড়ির ভিতরে থাকা ব্যবসায়ী ওসহযোগীরা আগুনে পুড়ে শরীর ক্ষত বিক্ষত হয়ে পড়ে।
এ সময় শত শত জনতা পানি ছিটিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণেনিয়ে যাত্রী ও চালকদের বাঁচাতে ব্যর্থ হয়। ঘটনাস্থলেই ৩ জন মারা যান।
তারা হলেন, ট্রাকে থাকা যাত্রীবরিশাল জেলার মূলাদি থানার হোসনাবাগ গাছয়া ইউপির মৃত শাহ আলম খানের ছেলে আবদুল লতিফ খান (৬০) ও কক্সবাজার জেলার পৌরসদর ২নং ওয়ার্ডের নতুন ফিশারি পাড়ার মো. হোসেন আলীর ছেলে মো. রুবেল (২৫) । এ সড়কে চলাচলরত মোটর সাইকেল আরোহী শেখেরখীল ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডেরকোনাকালী মোজাহের আহমদের ছেলে নুরুল হোছাইন (২৮) ট্রাকে অগ্নিকা–ের সময় উদ্ধার করতে গিয়েআগুনে পুড়ে মারা যান।
আহতরা হলেন কক্সবাজার জেলার পৌরসদর ফিশারিঘাট নতুন পাড়ার নুর মোহাম্মদের ছেলে মো. ছালামত (৪০), চকরিয়া উপজেলার মালুমঘাট পূর্ব ডোমখালী কামরুল উদ্দিনের ছেলে ট্রাক চালকের হেলপার নুরুলআলম (২০) ও ট্রাক চালক চকরিয়া উপজেলার ডুলহাজারা ৭নং ওয়ার্ডের মালুমঘাটের আবদু রশিদের ছেলেট্রাক চালক নুরুল কবির (২৮)। শেখেরখীল রাস্তার মাথায় দুর্ঘটনারস্থলের প্রত্যক্ষদর্শী ব্যবসায়ী নুরুল কাদের ও আবু আহমদ বলেন, ট্রাকটিশুঁটকিবোঝাই ছিল। দক্ষিণ দিক থেকে সাড়ে ১২টার দিকে শেখেরখীল রাস্তার মাথা মসজিদ সংলগ্ন স্থানে প্রধানসড়কের উপর ট্রাকটিতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ইঞ্জিনে আগুন ধরে যায়।
এ সময় ট্রাকের কেবিনে থাকা ব্যবসায়ীরাবাহিরে নামতে ব্যর্থ হয়ে আগুনে পুড়ে যায়। স্থানীয় জনগণ তাদের উদ্ধার করে বাঁশখালী হাসপাতালে নিয়েআসে। বাঁশখালী হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার তৌহিদুল আনোয়ার বলেন, হাসপাতালে আসাআগ্নিদগ্ধ ৩ জন রোগীর মধ্যে ২ জন মুমূর্ষু অবস্থায় ছিল। ৮০ ভাগ শরীরের অংশ পুড়ে গেছে তাদের।
কক্সবাজার জেলার ফিশারী ঘাটের নিহত মো. রুবেলের পিতা মো. হোসেন আলী তার পুত্রের লাশ সুরতহালতৈরির পরে পুলিশের কাছ থেকে ময়না তদন্ত না করার জন্য অনুমতিপত্র নেয়। রাতেই পুত্রের লাশ নিয়ে বাড়িফিরে যান। শেখেরখীল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ইয়াছিন বলেন, গতকালের সড়ক দুর্ঘটনাটি মারাত্মক দুর্ঘটনা।ঘটনাস্থলে আগুনে পুড়ে ৩ জন মারা গেছেন। স্থানীয়রা আহতদেরকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিল। বাঁশখালী থানার এস.আই লিটর চাক্মা বলেন, আগুনে পুড়ে নিহত ৩ লাশের সুরতহাল তৈরি করা হয়েছে। নিহতপরিবারের সদস্যরা প্রশাসনের পোস্টমর্টেম না করার অনুমতি নেয়ায় তাদের পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তরকরা হয়েছে।
বাঁশখালী থানার এস.আই সুজন সিকদার বলেন, শেখেরখীলের প্রধান সড়কের উপর ট্রাক দুর্ঘটনায় অগ্নিদগ্ধেরসংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে নিহত ও আহতদের উদ্ধার করে। এ ব্যাপারে অপমৃত্যু মামলা দায়েরহয়েছে। নিহত ও আহতদের সকলের পরিচয় পাওয়া গেছে।
No comments:
Post a Comment