উলে¬খ্য, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার বিকল্প রুট বাঁশখালী প্রধান সড়ক দিয়ে ভিন্ন ভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে ছোট খাট পাচারকারীরা ইয়াবা ট্যাবলেট নিয়ে আসলেও পাচারকারীদের বড় চালান যাচ্ছে সাগর পথে। এদিকে পুলিশের পক্ষ থেকে ইয়াবা চালান প্রতিরোধে দিন দিন কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। আটক যুবকের বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য আইনে মামলা ও রিমান্ডের আবেদন দেওয়া হবে বলে নিশ্চিত করেছে থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ আলমগীর হোসেন জানান। তিনি আরো বলেন, মরণ নেশা ইয়াবা থেকে যুব সমাজকে বাঁচাতে হলে ইয়াবা পাচার ও বেচাবিক্রি বন্ধ করতে প্রশাসনকে কঠোর হতে হবে। বাঁশখালী হয়ে পাচারকারীরা যতই কৌশল অবম্বলন করে পাচার করার চেষ্টা করুক না কেন তাদের অবশ্যই গ্রেফতার এবং আইনের আওতায় আনা হবে। বিগত বছর খানেক থেকে বাঁশখালী পেকুয়া সড়ক হয়ে অসংখ্যবার ইয়াবা পাচারকারী এবং ইয়াবা আটক করা হয়। এই ইয়াবা পাচারের সাথে কে বা কারা নেতৃত্ব দিচ্ছে সে ব্যাপারে কোন হদিছ না পাওয়া না গেলেও বাঁশখালীর বিভিন্ন ইউনিয়নে বেশ কিছু ইয়াবা সেবনকারী রয়েছে সূত্রে জানা যায়। অনেক সময় ছাত্র রাজনীতির আড়ালেও ইয়াবা পাচার হচ্ছে জনগণের অভিযোগ পাওয়া গেলেও সে ব্যাপারে যথাযথ প্রমাণ মিলছে না। বাঁশখালীতে ইয়াবার প্রবেশদ্বার বন্ধ করতে প্রশাসনকে আরো বেশী কঠোরতা অবলম্বন করতে হবে বলে স্থানীয় জনগণ অভিমত প্রকাশ করেন। তবে অনেকের মতে বর্তমানে সড়ক পথে ছোটখাট ইয়াবা চালান হলেও অধিকাংশ ইয়াবা সাগর পথে চালান হয়ে থাকে। সড়ক পথের মত সাগর পথেও যদি ইয়াবা পাচার রোধের জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় তাহলে মরণনেশা ইয়াবা থেকে রেহায় পাবে বাঁশখালীর সুশীল সমাজ।
এই ব্যাপারে বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আলমগীর হোসেন বলেন, আমরা যথা সম্ভব চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। ইয়াবাসহ মাদক রোধে সাড়াশী অভিযান পরিচালনা করে আসছি। বিগত দিনে বেশ কিছু অভিযানে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা উদ্ধারে সক্ষম হয়েছি। এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। যাদেরকে আটক করা হচ্ছে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে মূল হোতাদের চিিহ্নত এবং গ্রেফতারের চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
No comments:
Post a Comment