বিএনপি-জামায়াতের ঐক্য না হলে ফুরফুরে মেজাজে থাকবে আওয়ামী লীগ - আমার বাঁশখালী ডটকম AmarBanskhali.Com

ব্রেকিং নিউজ

শীর্ষ বিজ্ঞাপন

নিউজ এর উপরে বিজ্ঞাপন

Sunday, December 10, 2017

বিএনপি-জামায়াতের ঐক্য না হলে ফুরফুরে মেজাজে থাকবে আওয়ামী লীগ



আমার বাঁশখালী ডেক্স:
তাঁতশিল্প সমৃদ্ধ বেলকুচি-চৌহালী উপজেলার মানুষ ব্যবসায়-বানিজ্যে উন্নত। চৌহালী উপজেলার এনায়েতপুর থানা তাঁতশিল্পের জন্য আরো বিখ্যাত। এনায়েতপুর বাদে চৌহালীর অবশিষ্ট অঞ্চল যমুনা নদী বেষ্ঠিত কৃষি প্রধান এলাকা। নির্বাচনের জন্য এই আসনের রাজনৈতিক অঙ্গন এখন সরগরম। ব্যবসা সফল এলাকা বেলকুচি ও চৌহালীর নেতৃত্ব নেয়ার জন্য কে আসবেন মনোনয়ন হাতে নিয়ে সেই দিকে এখন নজর সবার। কোন দলের কে মনোনয়ন পেলে সাধারণ মানুষের উপকার হবে; কে নির্বাচিত হলে তাঁতীদের স্বার্থ রক্ষা হবে সেই হিসেব-নিকেশ নিয়ে ব্যস্ত এখানকার ভোটাররা।  এই আসনে আওয়ামীলীগ, বিএনপি ও জামায়াত ভোটযুদ্ধে নামবে বলে স্ব-স্ব দলীয় সূত্র থেকে জানা গেছে। তবে জামায়াত বিএনপি একজোট হয়ে নির্বাচন করলে টেনশন বাড়বে আওয়ামীলীগের। এই আসনে আওয়ামীলীগের চার জন বিএনপির চার জন প্রার্থী মাঠে তৎপর থাকলেও জামাতের একক প্রার্থী সিরাজগঞ্জের সাবেক জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যক্ষ মোঃ আলী আলম।
সিরাজগঞ্জ-৫  (বেলকুচি-চৌহালী) আসনে বেলকুচি উপজেলার একটি পৌরসভা ও ছয়টি ইউনিয়ন এবং চৌহালী উপজেলার সাতটি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। এ আসনের মোট ভোটার সংখ্যা তিন লাখ ৭৯ হাজার ৯২৬ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার এক লাখ ৯০ হাজার ৪২৬ এবং মহিলা ভোটার এক লাখ ৮৯ হাজার ৫০০ জন।
১৯৯১ সালের নির্বাচনে সিরাজগঞ্জ-৫(বেলকুচি-কামারখন্দ) আসনে বিএনপির শহীদুল্লাহ খান  এমপি নির্বাচিত হন। মাত্র দুই হাজার ১০০ ভোট কম পেয়ে শহিদুল্লাহ খানের কাছে হেরে যান  জামায়াতের প্রার্থী আলী আলম। এরপর ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারীর একতরফা নির্বাচনে  বিএনপি দলীয় প্রার্থী শহীদুল্লাহ খান  পূনরায় এমপি নির্বাচিত হন। তারপর একই বছরের সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী শহীদুল্লাহ খানকে পরাজিত করে আওয়ামীলীগের আব্দুল লতিফ বিশ্বাস  এমপি নির্বাচিত হন। এই নির্বাচনে জামায়াতের আলী আলম ভোটে তৃতীয় স্থান অধিকার করেন। ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আব্দুল লতিফ বিশ্বাসকে  পরাজিত করে এমপি নির্বাচিত হন বিএনপির প্রার্থী বিচারপতি মোজাম্মেল হক।  এরপর ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি-চৌহালী)  আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আব্দুল লতিফ বিশ্বাস পূনরায়  এমপি নির্বাচিত হয়ে মৎস ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রনালয়ের দায়িত্ব পালন করেন। ওই নির্বাচনে বিএনপির মেজর (অব:) মঞ্জুর কাদের মাত্র ২৫২ ভোট কম পেয়ে লতিফ বিশ্বাসের কাছে হেরে যান। তারপর ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারীর একতরফা নির্বাচনে এমপি হন আওয়ামী লীগের আব্দুল মজিদ মন্ডল।
আওয়ামী লীগ: সিরাজগঞ্জ ৫ (বেলকুচি ও চৌহালী) আসনে আওয়ামীলীগের পুরনোদের পাশাপাশি নবীনদের উথ্থান দেখা যাচ্ছে।  বর্তমান এমপি বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী আব্দুল মজিদ মন্ডল ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল লতিফ বিশ্বাসের মধ্যে দ¦ন্দে¦র কারনে দু’ভাগে বিভক্ত এ অঞ্চলের আওয়ামীলীগের রাজনীতি। দলীয়   কর্মকান্ড ও  বিভিন্ন অফিসিয়াল কাজে এ দুই গ্রুপের মধ্যে নানা বিষয়ের টানাপোড়েন ও নিজেদের মধ্যে ক্ষমতাতার লড়াই প্রকাশ্য রূপ নিয়েছে। যদিও ‘নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ¦ নেই’ বললেও তাদের দ্বন্দে¦র জেরে উপজেলা চেয়ারম্যানের অফিস ভাংচুরের ঘটনাও ঘটেছে। সাবেক মন্ত্রী ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল লতিফ বিশ্বাসের পরিবারের সাথে বেলকুচি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী আকন্দের পরিবারের দ্বন্দ¦ এ আসনের  রাজনিতিতে এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে। দলের এমন অর্ন্ত-দ্বন্দে¦র কারনে আগামী নির্বাচনের ফল কতটা শুভকর হবে তা নিয়েও সংসয় রয়েছে দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে।
সিরাজগঞ্জ-৫ আসনের বর্তমান এমপি বিশিষ্ট শিল্পপতি আব্দুল মজিদ মন্ডল নির্বাচিত হয়ে এলাকার রাস্তাঘাট,ব্রিজ কালভার্ট ও স্কুল কলেজ মাদরাসার উন্নয়ন করেছেন। বড় মাপের ব্যবসায়ী হওয়ার কারনে তিনি এলাকায় বেশি সময় দিতে পারেন না। তবে সাধারণ মানুষ কোনো কাজ নিয়ে গেলে তিনি তা করে দেন। তিনি একজন সফল ব্যবসায়ী। অঢেল সম্পদের মালিক। এ কারনে অর্থ আত্বসাতের দূর্নাম নেই তার বিরুদ্ধে। নিজ দলীয় প্রতিপক্ষের সাথে তার ক্ষমতার দ্বন্দ্ব-কলহ থাকলেও দূর্নীতি করে বিত্তবৈভব করার প্রয়োজন তার নেই বলে জানান স্থানীয়রা। আগামীতে তিনি আর নির্বাচন করবেন না বলে সম্প্রতি এক জনসভায় ঘোষনা দিয়েছেন। তিনি যদি নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশী না হন তবে সেক্ষেত্রে তার ছেলে আব্দুল মোমিন মন্ডল এই আসন থেকে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন চাইতে পারেন বলে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। তবে যার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার একেবারেই শুন্য এবং বয়সে অতিশয় তরুন আব্দুল মোমিন মন্ডল মনোনয়ন চাইলে হালে পানি কতটুকু পাবে তা সময়ই বলে দেবে।
এই আসনের প্রভাবশালী মনোনয়ন প্রত্যাশী বর্তমান জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মৎস ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাস। বর্তমানে তিনি সিরাজগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। আব্দুল লতিফ বিশ্বাস আওয়ামীলীগের একজন তৃণমূল নেতা।  তিনি প্রথমে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এরপর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং দুইবার এমপি নির্বাচিত হয়ে কেবিনেট মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৯ সালে তিনি বেলকুচি-চৌহালী আসনে দ্বিতীয়বারে এমপি নির্বাচিত হয়ে মৎস ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রনালয়ের দায়িত্ব পান। মন্ত্রী হওয়ার সুবাদে তিনি বেলকুচিতে ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। বেলকুচিতে মৎস ইনসটিটিউট, ভ্যাটেরিনারী কলেজ, ফ্যাসান ডিজাইন ট্রেনিং সেন্টার, ফায়ার সার্ভিস ভবন, বেলকুচি পৌরসভা ভবন, বেলকুচি উপজেলা পরিষদের চারতলা নতুন ভবন, উপজেলা মৎস ভবন, মুক্তিযোদ্ধা ভবন, উপজেলা অডিটোরিয়াম, সিরাজগঞ্জ প্রেসক্লাবের চারতলা ভবন নির্মাণ করেন। এছাড়া রাস্তাঘাট, ব্রিজ কালভার্ট, মসজিদ, মন্দির, স্কুল কলেজ মাদরাসার ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন বলে দাবি করেন দলটির নেতা-কর্মীরা। আগামী নির্বাচন ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারীর মত হবেনা বলে দলটির নেতা-কর্মীরা মনে করছেন। এ কারনে বিএনপিসহ ২০ দলের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন করার মত যোগ্য প্রার্থী মনোননয়ন দিতে চাইছে আওয়ামীলীগ। সেক্ষেত্রে আব্দুল লতিফ বিশ্বাস এই আসনের একজন প্রভাবশালী প্রার্থী। তিনি আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী।
এই আসনের চৌহালী উপজেলার বাসিন্দা আওয়ামী লীগ নেতা যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলাম তালুকদার এই আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী। শফিকুল ইসলাম তালুকদার একজন তৃনমূরের প্রবীন নেতা। মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীন হন তার বাবা এবং যুদ্ধে আহত হন তিনিও। ষাটের দশকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতা  হিসেবে শহীদ ক্যাপটেন এম মনসুর আলী ও বঙ্গবন্ধুর সান্নিধ্য পাওয়া এই নেতা দীর্ঘ ১৬ বছর যাবত এলাকার মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন বলে জানান। তিনি এলাকায় পোষ্টার প্যানা টানিয়ে জনগণের মন আকৃষ্ট করার চেষ্ট করছেন। নেতা-কর্মীদের সাথে নিয়ে দলীয় কর্মকান্ড চালাচ্ছেন। তিনি মনোনয়ন পেলে নির্বাচিত হয়ে সন্ত্রাসমুক্ত,অসাম্প্রদায়িক উন্নত এলাকা হিসেবে গড়তে চান।
এই আসনের আরেক মনোনয়ন প্রত্যাশী আওয়ামীলীগের তরুন নেতা মীর মোশারফ হোসেন। মোশারফ ঢাকা বনানী থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক। স্বাস্থ ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রনালযের মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের একান্ত সহকারী। তিনি তার নিজ উপজেলা বেলকুচির বিভিন্ন এলাকায় পোষ্টার প্যানা ফেষ্টুন টানিয়ে মনোনয়ন চেয়ে সর্বসাধারনের দোয়া কামনা করেছেন। স্থানীয় পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে এবং নির্বাচনী এলাকায় সভা-সমাবেশ করে গণসংযোগ করছেন। বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের যুব ও ক্রিড়া বিষয়ক সম্পাদক মুশফিকুর রহমান মোহন বেলকুচি-চৌহালী  আসনের আওয়ামীলীগ দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী। ক্রীড়াঙ্গনে তার বেশ সুনাম  রয়েছে। তিনিও বেলকুচি ও চৌহালীতে পোষ্টার প্যানা ফেষ্টুন দিয়ে এবং ফেসবুকে প্রচারনা চালাচ্ছেন মনোনয়নের জন্য। তিনি আগামী নির্বাচনে এই আসনের মনোনয়ন চাইবেন বলে জানা গেছে।
বিএনপি: অপরদিকে বেলকুচি-চৌহালী আসনে বিএনপি দুই ধারায় বিভক্ত হয়ে দলীয় কার্যক্রম চালাচ্ছেন নেতা-কর্মীরা। ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সহপ্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলীমের নেতৃত্বে  দলের কর্মকান্ড চালাচ্ছেন নেতা-কর্মীদের একটি অংশ। অপরদিকে জেলা বিএনপির সহসভাপতি রকিবুল করিম খান পাপ্পুর নেতৃত্বে দলের অপর অংশ দলীয় কর্মসূচি পালন করছেন। গত ৪ সেপ্টেম্বর বেলকুচির তামাই বাজার এলাকায়  পোষ্টার লাগানোকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় বেলকুচি বিএনপির অর্ন্তদ্বন্দ্ব প্রকাশ্য রূপ নেয়। এতে উভয় পক্ষকে আলাদা আলাদা ভাবে কর্মসুচি পালন করতে দেখা যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে  দলের এমন অর্ন্ত-দ্বন্দে¦র প্রভাব আগামী নির্বাচনে পড়বে কিনা তা সময়ই বলে দেবে। এই আসনে বিএনপি দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে প্রবীনদের সাথে কয়েকজন তরুন প্রার্থী মনোনয়ন চাইবেন। প্রবীনদের মধ্যে  মেজর (অব:) মঞ্জুর কাদের ২০০১ সালে তৎকালীন সিরাজগঞ্জ-৬ (চৌহালী-শাহজাদপুরের অংশ) আসনের এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। এমপি থাকাকালে  তার সাথে ওই এলাকার দলীয় নেতা-কর্মীদের সাথে সম্পর্ক ভাল ছিলনা।  কিন্তু ফখরুদ্দিন-মইনউদ্দিন সরকারের আমলে নির্বাচনী এলাকার সীমানা পূনঃনির্ধারণ করে চৌহালীকে বেলকুচির সাথে যুক্ত করে সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি-চৌহালী) আসন করার পর ২০০৮ সালের নির্বাচনে নবগঠিত বেলকুচি-চৌহালী আসনে মেজর (অব:) মঞ্জুর কাদের বিএনপির টিকিট নিয়ে নির্বাচন করে আওয়ামী লীগের আব্দুল লতিফ বিশ্বাসের কাছে মাত্র ২৫২ ভোটে হেরে যান। এরপরে মেজর (অব:) মঞ্জুর কাদের নির্বাচনী এলাকায় পা রাখেননি।  তবে আগামী নির্বাচনে তিনি এই আসনে পূনরায় মনোনয়ন চাইতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে।
এই আসনে বিএনপি থেকে আরেক মনোনয়ন প্রত্যাশী বিশিষ্ট ব্যবসায়ী গোলাম মওলা খান বাবলু। তিনি দুইবারের বিএনপির এই আসনের এমপি মরহুম শহীদুল্লাহ খানের ভাতিজা। ২০০৮ সালে নির্বাচনে এই আসনে বিএনপি থেকে গেলাম মওলা খান বাবলু এবং মেজর (অব:) মঞ্জুর কাদের যৌথভাবে মনোনয়ন পান। দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গোলাম মওলা খান বাবলু মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিলে মঞ্জুর কাদের নির্বাচন করেন। গোলাম মওলা খানের পিতা তৎকালীন বেলকুচি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু কোরাইশ খান  একজন শিক্ষানুরাগী ছিলেন। বেলকুচি ডিগ্রি কলেজসহ একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তিনি। এ কারনে বেলকুচিতে গোলাম মওলা খানের জনসমর্থন রয়েছে। তিনি এলাকায় পোষ্টার প্যানা টানিয়ে মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে অনেক আগে থেকেই জানান দিয়েছেন। এলাকার সামাজিক-সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে এবং ঈদসহ বিভিন্ন পর্বনে এলাকার মানুষের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে যাচ্ছেন। মনোনযনের জন্য বিএনপির হাইকমান্ডেও তার পক্ষে চলছে জোর লবিং। মনোনয়নের পাওয়ার ব্যাপারে তিনি শতভাগ আশাবাদী।
কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহপ্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলীম এলাকায় দলীয় কর্মকান্ড চালাচ্ছেন একই সাথে কেন্দ্রে লবিং করছেন মনোনয়নের জন্য। তিনি বিগত আন্দোলন সংগ্রামে দলের কর্মকান্ডে নেতা-কর্মীদের সাথে নিয়ে মাঠে ছিলেন এই তরুন নেতা। তিনি বন্যার্তদের মাঝে ত্রান বিতরণসহ এলাকার গরীব অসহায়দের মধ্যে বিভিন্ন সময় শাড়ী-লুঙ্গি ও টাকা পয়সা দিয়ে সহায়তা করে সাধারণ মানুষের মন জয় করার চেষ্টা করছেন। এ ছাড়া তিনি তৃণমূল থেকে ধাপে ধাপে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক হয়েছিলেন। এই দীর্ঘ সময়ে সিরাজগঞ্জের ছাত্রদল ও বিএনপির নেতা-কর্মীদের সাথে গড়ে ওঠা তার সম্পর্কটা মনোনয়ন পেলে কাজে লাগবে। তাছাড়া কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক হওয়ার সুবাদে আলীম বেগম খালেদা জিয়ার সুনজরে আছেন এবং তিনিই এই আসনে মনোনয়ন পাবেন বলে আশা করেন তার এলাকার নেতা-কর্মীরা। বেলকুচি উপজেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক গোলাম আজম বলেন,‘বেলকুচির মানুষ এ উপজেলার বাইরের লোককে ভোট দেবেনা। আমিরুল ইসলাম খান আলীম তাঁতপ্রসিদ্ধ বেলকুচি উপজেলার বৃহত্তর তামাই গ্রামের বাসিন্ধা। বেলকুচির ভোটার সংখ্যা চৌহালী-এনায়েতপুরেরর চাইতে সোয়া দুই গুনেরও বেশি। তাই এই এলাকার সন্তান হিসেবে আলীম মনোনয়ন পেলে নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।’
এ আসনে সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির আশীর্বাদপুষ্ট তরুন নেতা রকিবুল করিম খান পাপ্পু আগামী নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন চাইবেন। ঈদ, নববর্ষ ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে তিনি এলাকায় পোষ্টার প্যানা ফেষ্টুন দিয়ে মানুষের কাছে পরিচিতি লাভ করার চেষ্টা করছেন। তিনি বিএনপি রাজনীতিতে এসে অল্প দিনের মধ্যেই নেতা-কর্মীদের মন আকৃষ্ট করার মাধ্যমে সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সহসভাপতির পদ পেতে সক্ষম হন। ইতোমধ্যেই তিনি দলীয় নেতা-কর্মীদের সাথে নিয়ে বিএনপির নতুন সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কর্মসূচি পালন করেন। বিগত আন্দোলন-সংগ্রামে মামলা খাওয়া নেতা-কর্মীদের পাশে দাঁড়িয়ে সহযোগিতা করেছেন। এছাড়া দলের কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচি পালনসহ বিভিন্ন সময়ে এলাকায় সভা-সমাবেশ করে কর্মীদের উজ্জীবিত রাখার চেষ্টা করছেন। বানভাসি দুঃস্থ মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণসহ নানাভাবে মানুষকে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। এই আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী রকিবুল করিম খান পাপ্পু বলেন, ‘আমি দলের জন্য কাজ করে যাচ্ছি; আগামী নির্বাচনে বেলকুচি আসনে মনোনয়ন চাইবো, আমি মনোনয়ন পাওয়ার আশা করছি। তবে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া  যাকে মনোনয়ন দেবেন তাকেই বিজয়ী করার জন্য কাজ করবো।
সূত্র: কারেন্ট নিউজ ডটকম ডটবিডি

No comments:

Post a Comment

পোস্টের নীচে বিজ্ঞাপন