আমার বাঁশখালী ডেক্স: অবশেষে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ব্যক্তিগত গৃহ পরিচারিকা হিসেবে ফাতেমাকে রাখার অনুমতি পেলেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
রোববার খালেদা জিয়ার আইনজীবীর আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. আখতারুজ্জামান এই নির্দেশ দেন।
পরিচারিকা ফাতেমার বিষয়ে জেল কোডের বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়ার জন্য কারা কর্তৃপক্ষকে আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খালেদার আইনজীবী জয়নুল আবেদিন মেজবাহ।
এর আগে ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদার সঙ্গে কারাগারে একজন পরিচারিকা (সেবিকা) নেয়ার আবেদন করেন তার আইনজীবী সানাউল্লা মিয়া।
আবেদনে তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া বয়স্ক
মানুষ। তিনি একা চলাফেরা করতে পারেন না। তাই তার জন্য একজন পরিচারিকা
প্রয়োজন। এজন্য তার পরিচারিকা হিসেবে থাকার জন্য ফাতেমা প্রস্তত রয়েছেন।
উল্লেখ্য, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি
মামলায় বৃহস্পতিবার বকশীবাজার আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার পাঁচ
নম্বর বিশেষ আদালতের বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের
কারাদণ্ড দেন।
এছাড়া একই মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসনের
ছেলে তারেক রহমান, সাবেক এমপি কাজী সলিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন
আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও
প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমানকে ১০ বছর করে
কারাদণ্ড দেয়া হয়।
একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা করে জরিমানা করেন আদালত।
রায়ের পর পরই খালেদা জিয়াকে আদালতের পাশে নাজিমউদ্দিন রোডের লালদালানখ্যাত ২২৮ বছরের পুরান ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
২০১৬ সালের ২৯ জুন থেকে ছয় হাজার ৪০০
বন্দিকে কেরানীগঞ্জের তেঘরিয়ার রাজেন্দ্রপুরের নতুন কারাগারে স্থানান্তর
করে পুরান কারাগার বন্ধ ঘোষণা করা হয়। কিন্তু দুই বছর চার মাস ১০ দিন পর
দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি হিসেবে এই পরিত্যক্ত কারাগারেই দিন পার
করছেন খালেদা জিয়া।
No comments:
Post a Comment