আমার বাঁশখালী ডেক্স:
দুর্নীতি
দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাবেক
প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের
কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রায় ঘোষণার পর দুপুর ২টা ৫০ মিনেটের দিকে তাকে
কারাগারের নেয়ার প্রস্তুতি শুরু হয়।
কারাগারে নেয়ার জন্য খালেদা জিয়ার নিজ গাড়িতে তাকে তোলা হচ্ছে বলে জাগো নিউজের প্রতিবেদক আদালত প্রাঙ্গণ থেকে জানান।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, খালেদা জিয়াকে
পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডে অবস্থিত সাবেক কেন্দ্রীয় কারাগারে নেয়া
হচ্ছে। যদি তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে তাহলে খালেদা জিয়াকে বঙ্গবন্ধু
শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) প্রিজন সেলে নেয়া হবে।
এর আগে, আদালতের রায়ে খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের কারাদণ্ড এবং তারেক রহমানসহ বাকিদের ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
দণ্ডবিধি ১০৯ ও ৪০৯ ধারায় খালেদা জিয়াসহ
বাকিদের সাজা দেয়া হয়। বয়স বিবেচনায় খালেদা জিয়ার সাজা কমানো হয় বলে রায়ে
উল্লেখ করেন আদালত। কারাদণ্ডে পাশাপাশি সব আসামিকে দুই কোটি ১০ লাখ ৭১
হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়।
বৃহস্পতিবার পুরান ঢাকার বকশীবাজারে
স্থাপিত বিশেষ আদালতের বিচারক ড. আখতারুজ্জামান জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট
মামলায় এ রায় দেন। মোট ৬৩২ পৃষ্ঠার রায়ের বিশেষ অংশ পাঠ করেন বিচারক।
রায় ঘোষণার সময় উপস্থিত ছিলেন খালেদা জিয়া ও আরও দুই আসামি। প্রথমেই বিচারক রায়ের প্রসিকিউশনের অভিযোগগুলো পড়ে শোনান।
মামলায় মোট আসামি ছয়জন। তার মধ্যে তিনজন
পলাতক। তারা হলেন- বিএনপির জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান,
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী এবং
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।
গত ২৫ জানুয়ারি রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য আজ (৮ ফেব্রুয়ারি) দিন ধার্য ছিল।
এ মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন ৩২ জন। ১২০
কার্যদিবসের বিচারকার্য শেষ হয়েছে ২৩৬ দিনে। আত্মপক্ষ সমর্থনে সময় গেছে ২৮
দিন। যুক্তি উপস্থাপন হয়েছে ১৬ দিন এবং আসামিপক্ষ মামলাটির বিভিন্ন বিষয়
নিয়ে উচ্চ আদালতে গেছেন ৩৫ বার।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, জিয়া
অরফানেজ ট্রাস্টের দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে
খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা
থানায় একটি মামলা করে দুদক।
২০১০ সালের ৫ আগস্ট তাদের বিরুদ্ধে
অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের উপ-পরিচালক হারুন-অর-রশীদ। ২০১৪ সালের ১৯
মার্চ তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক
বাসুদেব রায়।
No comments:
Post a Comment