আমার বাঁশখালী ডেক্স: নাজিম উদ্দিন রোডের পুরাতন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার সুপারের সাবেক অফিস কক্ষেই কাটছে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার। ডিভিশন পাওয়ার আগ পর্যন্ত ২৫০-৩০০ স্কয়ার ফুটের একটি কক্ষেই কাটবে তার সময়।
জানা গেছে, কারাগারে স্বাভাবিকভাবেই সময় কাটাচ্ছেন খালেদা জিয়া। তিনি কারাগারের দেওয়া খাবারই খেয়েছেন। বিশ্রামের পাশাপাশি তিনি নামাজ পড়েছেন।
কারা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, জেল কোড অনুযায়ী সাধারণ বন্দীর সব সুযোগ-সুবিধাই দেওয়া হচ্ছে খালেদা জিয়াকে।
যদিও নির্ভরযোগ্য সূত্র বলছে, খালেদার পছন্দ অনুযায়ী খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে। তার ব্যক্তিগত গৃহপরিচারিকা ফাতেমা বেগমকে খালেদা জিয়ার সেবা করার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার গুলশানের বাসা থেকে ফাতেমাকে নিয়ে একই গাড়িতে করে আদালতে উপস্থিত হন খালেদা জিয়া। রায় পড়ার সময়ও তার সাথেই ছিলেন ফাতেমা। আদালতের রায় পড়া শেষ হলে বিচারকরা কক্ষ ত্যাগ করেন।
এরপর খালেদা জিয়ার অসুস্থতার কথা উল্লেখ করে, পরিচর্যার জন্য ফাতেমাকে তার সাথে কারাগারে রাখার আবেদন জানান আইনজীবীরা। আবেদনে স্বীকৃতি দিয়ে এ বিষয়ে একটি আবেদনপত্র দেওয়ার জন্য আইনজীবীদের নির্দেশ দেন বিচারক। আদালতের স্বীকৃতি পেলে, ফাতেমাকে নিয়ে নাজিমউদ্দিন রোডের কারাগারে যান খালেদা জিয়া।
এদিকে, বিকাল বেগম খালেদা জিয়ার সাথে সাক্ষাৎ করতে কারাগারে গিয়েছেন ৫ আইনজীবী। তার সাথে দেখা করতে যাওয়া আইনজীবীরা হলেন- ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, খন্দকার মাহবুব হোসেন, ব্যারিস্টার আবদুর রেজ্জাক খান ও এ জে মোহাম্মদ আলী।
এর মধ্যে প্রথম দিন খালেদা জিয়ার সাথে তার ভাই-বোনসহ পরিবারের সদস্যরা দেখা করে। তারা তার জন্য কাপড় চোপড় নিয়ে যায়। এছাড়া বিএনপির নেতাকর্মীরাও কিছুক্ষণ পর পর কারাগারের সামনে ভিড় করে। কেউ কেউ খাবারও নিয়ে আসে। তবে পুলিশের ব্যারিকেডের কাছেই তাদের আটকে দেওয়া হয়। খাবারও ভেতরে পাঠানোর অনুমোদন মেলেনি।
No comments:
Post a Comment