আমার বাঁশখালী ইসলামীক ডেক্স:
নামায
হচ্ছে ইসলামের মূল পাঁচটি ভিত্তির মধ্যে দ্বিতীয় ও অধিকগুরুত্বপূর্ণ একটি
ইবাদত।যা কিনা প্রত্যেকে প্রাপ্তবয়স্ক ও প্রাপ্তবয়স্কাদের উপর ফরয করা
হয়েছে।কোরআন ও হাদীস শরীফের বিভিন্ন স্থানে এই নামাজ পড়ার ফযিলত ও না পড়ার
কঠোর বিধানের কথা উল্লেখ আছে।আমরা অনেক সময় নিজেদের ইচ্ছায়-অনিচ্ছায়
গুরুত্বপূর্ণ ইবাদাতটিকে আদায় করি না,বা ছেড়ে দেই।
নামায না পড়ার শাস্তিঃ যারা নামায পড়েনা
তাদের জন্য আল্লাহ্ পাক পনেরটি আজাব নির্দিষ্ট করিয়া রাখিয়াছেন। পনেরটি
আজাবের মধ্যে ছয়টি দুনিয়ায়, তিনটি মৃত্যুর সময়, তিনটি কবরের মধ্যে এবং
বাকি তিনটি হাশরের মধ্যে দেয়া হইবে। দুনিয়াতে যে ছয়টি আযাব দেওয়া হয়। তা
নিম্নরূপ।
১. তাহার জীবনে কোনরূপ বরকত পাইবেনা ।
২. আল্লাহ্ তার চেহারা হইতে নেক লোকের চিহ্ন উঠাইয়া লইবেন।
৩. যে যাহা কিছু নেক কাজ করবে, তাহার ছওয়াব পাইবেনা।
৪. তাহার দোয়া আল্লাহ্ পাকের নিকট কবুল হইবে না।
৫. আল্লাহ্ পাকের সমস্ত ফেরেশতা তাহার উপর অসন্তুষ্ট থাকবে।
৬. ইসলামের মূল্যবান নেয়ামত সমূহ হইতে বঞ্চিত করা হইবে ।
মৃত্যুর সময় যে তিনটি আযাব দেওয়া হয়। তা নিম্নরূপ।
১. অত্যন্ত দুর্দশাগ্রস্ত হইয়া মৃত্যুবরণ করিবে।
২. ক্ষুধার্ত অবস্থায় মৃত্যু বরন করিবে।
৩. মৃত্যুকালে তাহার এত পিপাসা পাইবে যে,তাহার ইচ্ছা হইবে দুনিয়ার সমস্ত পানি পান করিয়া ফেলিতে ।
কবরের মধ্যে যে তিনটি আযাব দেওয়া হয়। তা নিম্নরূপ।
১. তাহার কবর এমন সংকীর্ণ হবে যে তাহার এক পাশের হাড় অপর পাশের হাড়ের সংগে মিলিত হইয়া চূর্ণবিচূর্ণ হইয়া যাইবে।
২. তাহার কবরে, দিনরাত্রি সবসময় আগুন জ্বালাইয়া রাখা হবে।
৩. আল্লাহ্ তাহার কবরে একজন আজাবের ফেরেশ্তা নিযুক্ত করিবেন। তাহার হাতে লোহার মুগুর থাকবে।
Namaz
সে মৃত ব্যক্তিকে বলতে থাকবে যে,দুনিয়ায় কেন নামায পড় নাই। আজ তাহার ফল ভোগ কর। এই বলিয়া ফজর নামায না পড়ার জন্য ফজর হইতে জোহর পর্যন্ত, জোহর নামাযের জন্য জোহর থেকে আছর পর্যন্ত, আছরের নামাযের জন্য আছর থেকে মাগরিব পর্যন্ত, মাগরিবের নামাযের জন্য মাগরিব হইতে এশা পর্যন্ত এবংএশার নামাযের জন্য এশা হইতে ফজর পর্যন্ত লোহার মুগুর দ্বারা আঘাত করতে থাকবে।
সে মৃত ব্যক্তিকে বলতে থাকবে যে,দুনিয়ায় কেন নামায পড় নাই। আজ তাহার ফল ভোগ কর। এই বলিয়া ফজর নামায না পড়ার জন্য ফজর হইতে জোহর পর্যন্ত, জোহর নামাযের জন্য জোহর থেকে আছর পর্যন্ত, আছরের নামাযের জন্য আছর থেকে মাগরিব পর্যন্ত, মাগরিবের নামাযের জন্য মাগরিব হইতে এশা পর্যন্ত এবংএশার নামাযের জন্য এশা হইতে ফজর পর্যন্ত লোহার মুগুর দ্বারা আঘাত করতে থাকবে।
আর বাকি তিনটি দেওয়া হবার রোজ হাসরের দিন কিয়ামতের ময়দানে।
আমাদের মধ্যে যারা মুসলিম আছে আসুন ভাই
আমরা সবাই নিয়মিত এবং সময়মত নামাজ পড়ি, অপর ভাইদের ও বলি নামাজ পরার
জন্য । তাহলেই একমাত্র আমাদের সমাজে প্রকৃত শান্তি ও মুক্তি
No comments:
Post a Comment