অপরদিকে আজ যদি নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে স্বাগতিকদের কাছে হারে তবে টুর্নামেন্টে টিকে থাকার লড়াইয়ে অনেকটা ছিটকে যাবে বাংলাদেশ। তাই নিজেদের শতভাগ দিয়ে খেলতে হবে বাংলাদেশের।
শ্রীলংকা বর্তমানে টি-২০ ফরমেটে বেশ ভাল অবস্থানে রয়েছে। তারা শেষ ৫টি ম্যাচের মধ্যে ৩টি তে জয়লাভ করেছে। অন্য বাংলাদেশের অবস্থা খুবই খারাপ। বাংলাদেশ শেষ ৫টি ম্যাচের ৫টি তেই পরাজিত হয়েছে।
টসের ফলাফলঃ বাংলাদেশ টসে জয়লাভ করে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বাংলাদেশ দলঃ লিটন দাস, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, ইমরুল কায়েস, মুশফিকুর রহীম, সাব্বির রহমান, মোস্তাফিজুর রহমান, রুবেল হোসেন, তাসকিন আহমেদ, আবু হায়দার রনি, আবু জায়েদ রাহি, আরিফুল হক, নাজমুল অপু, নুরুল হাসান সোহান এবং মেহেদী হাসান মিরাজ।
শ্রীলংকা দলঃ দিনেশ চান্ডিমাল (অধিনায়ক), উপুল থারাঙ্গা, দানুশকা গুনাথিলাকা, কুশল মেন্ডিস, দাসুন শানাকা, কুশল পেরেরা, থিসারা পেরেরা, জীবন মেন্ডিস, সুরাঙ্গা লাকমল, ইসুরু উদানা, আকিলা ধনাঞ্জয়া, আমিলা আপোন্সো, নুয়ান প্রদীপ, দুশমান্থা চামিরা, ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা।
শ্রীলঙ্কাঃ ৫২/০ , ওভার=৪
অনলাইনে দেখুন এখানেই
এই মুহুর্তে অন্যরা যা পরছেন…
১৮ বছরের বাংলাদেশ টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা দশটি বিশ্ব রেকর্ডের তালিকা
১. আমিনুল ইসলামের সেঞ্চুরি (প্রতিপক্ষ ভারত,২০০০)
বাংলাদেশ আইসিসির টেস্ট খেলুড়ে দেশের মর্যাদা পায় ২০০০ সালের ২৬ শে জুন। একই বছরের নভেম্বরে ভারতের বিপক্ষে নিজেদের প্রথম টেস্ট খেলে বাংলাদেশ। সে ম্যাচে ভারত জয় লাভ করলেও ম্যাচটি স্মরণীয় হয়ে আছে আমিনুল ইসলাম বুলবুলের খেলা একটি ইনিংসের জন্য।
১৭টি বাউন্ডারির সাহায্যে খেলা সেই ইনিংসটি ছিল ১৪৫ রানের। এর ফলে বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরিয়ানের পাশাপাশি বিশ্বের তৃতীয় ক্রিকেটার হিসেবে নিজের এবং দেশের অভিষেক টেস্টে সেঞ্চুরি করার গৌরব অর্জন করেন তিনি। তবে আমিনুল ইসলামের অসাধারণ সেঞ্চুরি ও প্রথম ইনিংসে দুর্জয়ের ৬ উইকেট পাওয়া সত্ত্বেও ম্যাচটিতে হারতে হয় বাংলাদেশকে।
২. মোহাম্মদ আশরাফুলের সেঞ্চুরি (প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা, ২০০১)
এশিয়ান টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের দ্বিতীয় ম্যাচ। শ্রীলঙ্কা বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ অলআউট মাত্র ৯০ রানে। প্রথম ইনিংসে শ্রীলঙ্কা ৫৫৫ রান করে ইনিংস ঘোষণা করলে ৪৬৫ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। ৮১ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে যথারীতি ব্যাটিং বিপর্যয়ে বাংলাদেশ।
ঠিক তখনই ১৭ বছর বয়সী এক ব্যাটসম্যান ৫ নাম্বারে ব্যাটিং করতে নেমে করে ফেলেন সেঞ্চুরি। ইতিহাসের পাতায় সর্বকনিষ্ঠ সেঞ্চুরিয়ান হিসেবে নাম উঠে যায় তাঁর। ২০০১ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গড়া আশরাফুলের এই রেকর্ডে এখনো আচড় লাগেনি। ১৬টি চারে ২১২ বলে ১১৪ রানের সেই ইনিংসটি এখনো ইতিহাসের পাতায় আশরাফুলের হয়ে কথা বলছে।
৩. অলক কাপালির হ্যাটট্রিক (প্রতিপক্ষ পাকিস্তান,২০০৩)
২০০৩ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলা ৩ ম্যাচের টেস্ট সিরিজটি নানা কারণে স্মরণীয় হয়ে আছে। বিশেষ করে মুলতান টেস্টে প্রায় জিতে গিয়েও শেষ পর্যন্ত এক রানে হেরে যাওয়ার মুহূর্ত কী কখনো ভুলার মত! তবে সেটা তো দুঃখের স্মৃতি। পাকিস্তানের বিপক্ষে ওই সিরিজে আরো একটি স্মৃতি আছে যা সবসময় মনে রাখার মত।
আর সেটি হলো অলক কাপালির হ্যাটট্রিক। পেশোয়ারে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে পরপর তিন বলে সাব্বির আহমেদ, দানিশ কানেরিয়া ও উমর গুলের উইকেট তুলে নিয়ে টেস্টে বাংলাদেশের প্রথম হ্যাটট্রিককারী বোলার বনে যান স্পিনার অলক কাপালি। তখনকার সময়ে কাপালির এ কীর্তি অনেকটা অবাক করেছিল পুরো ক্রিকেটবিশ্বকে।
৪. আবুল হাসান রাজুর সেঞ্চুরি (প্রতিপক্ষ ওয়েস্টইন্ডিজ, ২০১২)
টেল এন্ডারে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতা অনেক বছর ধরেই চলে আসছে। বাংলাদেশের প্রথম সারির ব্যাটসম্যানরা ভালো খেলতে না পারলে নিচু সারির ব্যাটসম্যানদের সাপোর্ট না পাওয়ার ঘটনা ভুরি ভুরি রয়েছে। তবে ব্যতিক্রম শুধু ২০১২ সালের ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে খুলনা টেস্ট।
ওই টেস্টে প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে প্রথম সারির ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় মাত্র ১৯৩ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে যায় বাংলাদেশ। কিন্তু তখন দৃশ্যপটটা যেন তোলা ছিল আবুল হাসান রাজুর জন্য। অভিষেক টেস্টে ১০ নাম্বারে ব্যাটিংয়ে নেমে সবাইকে অবাক করেন তিনি করে বসেন সেঞ্চুরি।
তাঁর ১২৩ বলের ১১৩ রানের ইনিংসটি সাজানো ছিল ১৪টি চার ও ৩টি ছয়ে। আবুল হাসান রাজু ক্রিকেট ইতিহাসের ৪র্থ ক্রিকেটার হিসেবে ১০ নাম্বারে ব্যাটিংয়ে নেমে ও ২য় ক্রিকেটার হিসেবে অভিষেক ম্যাচে সেঞ্চুরি করার গৌরব অর্জন করেন।
৫. মুশফিকুর রহিমের ডাবল সেঞ্চুরি (প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা, ২০১৩)
২০১৩ সালে গলে ৫৭০ রানের ট্রায়ালে চাপা পড়ে প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। ব্যাট করতে নেমে ৬৫ রানে ২ উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে যায় তাঁরা। তবে অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের ডাবল সেঞ্চুরি ও মোহাম্মদ আশরাফুলের সেঞ্চুরিতে ৫৭০ রানের পাহাড় টপকে বাংলাদেশ লিড পায় ৬৮ রানের।
মুশফিক ২২টি চার ও ১টি ছয়ে ২০০ রান করে আউট হন। আউট হবার আগে অবশ্য প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে টেস্টে ডাবল সেঞ্চুরি হাকানোর রেকর্ডটা নিজের করে নিয়েছিলেন তিনি। আশরাফুল সে ম্যাচে করেছিলেন ১৮৯ রান। মুশফিক-আশরাফুল জুটি ওই ইনিংসে যোগ করে ২৬৭ রান যা পরবর্তীতে ম্যাচটি ড্র করতে সাহায্য করে বাংলাদেশকে।
৬. সোহাগ গাজীর সেঞ্চুরি ও হ্যাটট্রিক (প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ড, ২০১৩)
একই টেস্টে সেঞ্চুরি ও হ্যাটট্রিক করা চাট্টিখানি ব্যাপার না। আর এজন্যই ২০১৩ সাল পর্যন্ত ১৩৬ বছরের টেস্ট ইতিহাসে কোন ক্রিকেটারই এ কীর্তি গড়তে পারেননি। অবশেষে ২০১৩ সালের অক্টোবরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টে সেঞ্চুরি ও হ্যাটট্রিক করার অনন্য রেকর্ড করেন সোহাগ গাজী।
প্রথম ইনিংসে ব্যাট করে গাজি করেন ১০১ রান। আর নিউজিল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংসের ৮৫ তম ও নিজের ২৪ তম ওভারে হ্যাট্রট্রিক করেন তিনি। ওই ওভারের দ্বিতীয় বলে কোরি অ্যান্ডারসনকে এলবিডব্লিউ, তৃতীয় বলে ওয়াটলিংকে কট বিহাইন্ড ও চতুর্থ বলে ব্রেসওয়েলকে ক্যাচ আউট করার মাধ্যমে ইতিহাসের পাতায় নিজের নাম লেখান সোহাগ গাজী।
৭. তামিম–কায়েস জুটি (প্রতিপক্ষ পাকিস্তান,২০১৫)
দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ পিছিয়ে ২৯৬ রানে। খেলা আছে আরো দেড় দিনের মত। এমতাবস্থায় পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ জেতা তো দূরের কথা, ম্যাচ বাঁচানোটাও খুব কষ্টসাধ্য ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায় বাংলাদেশের সামনে। কারণ পাকিস্তানের শক্তিশালি বোলিং লাইন আপের বিপক্ষে দেড় দিন পিচে কাটিয়ে দেয়া তো সহজ কাজ না।
২০১৫ সালে খুলনায় দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথম টেস্টে সেই কঠিন অ্যাসাইমেন্টটি খুব ভালভাবে পাস করে বাংলাদেশের ব্যাটাররা যেখানে সবচেয়ে বড় কৃতিত্বটা তামিম ও কায়েসের। কারণ প্রথম উইকেট পার্টনারশিপে তাঁরা ৪৫৭ বল খেলে যোগ করে ৩১২ রান।
তামিম করেন সর্বোচ্চ ২০৬ রান যা বাংলাদেশের হয়ে টেস্টে মুশফিকের ২০০ রানের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের ইনিংসকে পিছনে ফেলে। ইমরুল কায়েস করেন ১৫০ রান। মূলত তামিম-কায়েস জুটির কারণেই সেই ম্যাচটি ড্র করতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ।
৮. সাকিবের সেঞ্চুরি ও দশ উইকেট (প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে, ২০১৪)
২০১৪ সালের নভেম্বর পর্যন্ত একই টেস্টে সেঞ্চুরি ও দশ উইকেট নেয়ার রেকর্ড ছিল মাত্র দুইজনের। তাঁরা হলেন স্যার ইয়ান বোথাম ও ইমরান খান। তারপর ২০১৪ সালে খুলনায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সেঞ্চুরি ও দশ উইকেট নিয়ে স্যার ইয়ান বোথাম ও ইমরান খানের পাশে নাম লেখান সাকিব আল হাসান।
ওই ম্যাচে প্রথম ইনিংসে সাকিব করেন ১৩৭ রান। আর দুই ইনিংস মিলিয়ে ১২৪ রানে নেন ১০ উইকেট। এটি সাকিবের প্রথম ও এখন পর্যন্ত একমাত্র দশ উইকেট নেয়ার কীর্তি।
৯. মেহেদী হাসান মিরাজের দশ উইকেট (প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড,২০১৬)
৩০ অক্টোবর, ২০১৬ তারিখটা নিশ্চয়ই ভুলার কথা নয় বাংলাদেশি ক্রিকেটপ্রেমিদের। কারণ এ দিনটিতেই তো বাংলাদেশের ইতিহাসের সেরা টেস্ট ম্যাচ জয়টি আসে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেই ঐতিহাসিক জয়ের রূপকার ছিলেন তরুণ মেহেদি হাসান মিরাজ। ওই ম্যাচে ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানদের নিয়ে একাই ছেলেখেলায় মেতে উঠেন মিরাজ।
ক্যারিয়ারের মাত্র দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নেমে মিরাজ সেই ম্যাচে প্রথমববারের মত তুলে নেন দশ উইকেট। ম্যাচে ১৫৯ রান খরচায় মিরাজ তুলে নেন মোট ১২টি উইকেট। ঐতিহাসিক সেই ম্যাচে ম্যাচসেরার পুরস্কারও যায় ১৯ বছর বয়সী মিরাজের দখলে।
লাইভ সরাসরি দেখতে ভিজিট করুন: https://web.facebook.com/probashimedia/videos/350345988804770/?t=4894
No comments:
Post a Comment