আমার বাঁশখালী ডেক্স:
বাঁশখালী উপজেলার খানখানাবাদ ইউনিয়নের ডোংরা মুন্সিপাড়ায় গতকাল সোমবার দুপুর ১টার দিকে জায়গা–জমি সংক্রান্ত পূর্ব শত্রুতার জের ধরে দুই পক্ষের গোলাগুলিতে লেদু মিয়া (৪৫) নামের এক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেলে মারা গেছে। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধসহ ১২ জন আহত হয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল ও স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ মোহাম্মদ সোয়াইব (২০) ও শাহ আলমকে (৫৫) গ্রেপ্তার করেছে। এদিকে লাশের সুরতহাল তৈরি করে চমেক হাসপাতালে ময়না তদন্তের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মৃত্যুর সংবাদে প্রতিপক্ষের লোকজন এলাকা ত্যাগ করেছে। নিহতের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে। পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত রয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান মোল্লা, সহকারী পুলিশ সুপার মফিজ উদ্দিন, বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন হিরা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) আরিফুল হক মৃদুল, ওসি (তদন্ত) শরিফুল ইসলাম পরিদর্শন করেছেন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, খানখানাবাদ ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের ডোংরা গ্রামের (পল্লান পাড় সংলগ্ন) মুন্সীপাড়া আলতাফ আলী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে গতকাল সোমবার দুপুর ১টার দিকে শফিকের চায়ের দোকানে সংঘর্ষের ঘটনার সূত্রপাত ঘটে। জমি নিয়ে পক্ষ বিপক্ষ মামলার জেরে মাতবর বাড়ি ফিরোজ আহমদ গং ও বদিয়াবাপের নুরুল কাদের গংদের লোকজনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ রয়েছে। এ ঘটনার জের ধরে চায়ের দোকানে এক পক্ষের লোকজন নওশা মিয়া ছেলে লেদু মিয়াকে তর্কবিতর্কের পর এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করে। এঘটনা চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়লে ফিরোজ আহমদ গং ও নুরুল কাদের গংদের মধ্যে দা, কিরিচ ও বন্দুক নিয়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটে। গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত লেদু মিয়াকে চট্টগ্রাম নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকাল ৪টার দিকে তার মৃত্যু হয়। সংঘর্ষের ঘটনায় কমবেশি আহতরা হলেন, মির আহমদ (৫০), আমিনুল হক (৫৫), আজিজ (২৪), আলমগীর (২৫), রেনোয়ারা (৩৫), জাহাঙ্গীর (২৪) জিয়াউল হক (৩৬), মুজিবুর রহমান (৪০), আবদুল কাদের (৫০), টিটু (২৩), শফিক আহমদ (৪২)। খানখানাবাদ ইউপি ৫নং ওয়ার্ডের সদস্য নুর হোসেন বলেন, জায়গা জমি সংক্রান্ত দু’পক্ষের বিরোধ ছিল। এ নিয়ে কিছুদিন পূর্বেও ছোটকাট ঘটনা ঘটেছে। পূর্ব পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনাটি ঘটেছে। খানখানাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান বদরুদ্দিন চৌধুরী বলেন, জায়গা জমি সংক্রান্ত নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে আদালতে মামলা ছাড়াও পরিষদেও বিচারাধীন মামলা রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, জায়গা জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বাঁশখালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শরিফুল ইসলাম বলেন, খানখানাবাদে দু’পক্ষের সংঘর্ষের পর সহকারী পুলিশ সুপারস্যার সহ বিপুল পরিমাণ পুলিশ ঘটনাস্থল উপস্থিত হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত ২ জনকে আটক করা হয়েছে। পূর্বকোণ
বাঁশখালী উপজেলার খানখানাবাদ ইউনিয়নের ডোংরা মুন্সিপাড়ায় গতকাল সোমবার দুপুর ১টার দিকে জায়গা–জমি সংক্রান্ত পূর্ব শত্রুতার জের ধরে দুই পক্ষের গোলাগুলিতে লেদু মিয়া (৪৫) নামের এক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেলে মারা গেছে। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধসহ ১২ জন আহত হয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল ও স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ মোহাম্মদ সোয়াইব (২০) ও শাহ আলমকে (৫৫) গ্রেপ্তার করেছে। এদিকে লাশের সুরতহাল তৈরি করে চমেক হাসপাতালে ময়না তদন্তের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মৃত্যুর সংবাদে প্রতিপক্ষের লোকজন এলাকা ত্যাগ করেছে। নিহতের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে। পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত রয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান মোল্লা, সহকারী পুলিশ সুপার মফিজ উদ্দিন, বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন হিরা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) আরিফুল হক মৃদুল, ওসি (তদন্ত) শরিফুল ইসলাম পরিদর্শন করেছেন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, খানখানাবাদ ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের ডোংরা গ্রামের (পল্লান পাড় সংলগ্ন) মুন্সীপাড়া আলতাফ আলী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে গতকাল সোমবার দুপুর ১টার দিকে শফিকের চায়ের দোকানে সংঘর্ষের ঘটনার সূত্রপাত ঘটে। জমি নিয়ে পক্ষ বিপক্ষ মামলার জেরে মাতবর বাড়ি ফিরোজ আহমদ গং ও বদিয়াবাপের নুরুল কাদের গংদের লোকজনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ রয়েছে। এ ঘটনার জের ধরে চায়ের দোকানে এক পক্ষের লোকজন নওশা মিয়া ছেলে লেদু মিয়াকে তর্কবিতর্কের পর এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করে। এঘটনা চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়লে ফিরোজ আহমদ গং ও নুরুল কাদের গংদের মধ্যে দা, কিরিচ ও বন্দুক নিয়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটে। গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত লেদু মিয়াকে চট্টগ্রাম নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকাল ৪টার দিকে তার মৃত্যু হয়। সংঘর্ষের ঘটনায় কমবেশি আহতরা হলেন, মির আহমদ (৫০), আমিনুল হক (৫৫), আজিজ (২৪), আলমগীর (২৫), রেনোয়ারা (৩৫), জাহাঙ্গীর (২৪) জিয়াউল হক (৩৬), মুজিবুর রহমান (৪০), আবদুল কাদের (৫০), টিটু (২৩), শফিক আহমদ (৪২)। খানখানাবাদ ইউপি ৫নং ওয়ার্ডের সদস্য নুর হোসেন বলেন, জায়গা জমি সংক্রান্ত দু’পক্ষের বিরোধ ছিল। এ নিয়ে কিছুদিন পূর্বেও ছোটকাট ঘটনা ঘটেছে। পূর্ব পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনাটি ঘটেছে। খানখানাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান বদরুদ্দিন চৌধুরী বলেন, জায়গা জমি সংক্রান্ত নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে আদালতে মামলা ছাড়াও পরিষদেও বিচারাধীন মামলা রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, জায়গা জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বাঁশখালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শরিফুল ইসলাম বলেন, খানখানাবাদে দু’পক্ষের সংঘর্ষের পর সহকারী পুলিশ সুপারস্যার সহ বিপুল পরিমাণ পুলিশ ঘটনাস্থল উপস্থিত হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত ২ জনকে আটক করা হয়েছে। পূর্বকোণ
No comments:
Post a Comment