আমার বাঁশখালী ডেক্স:
সঞ্চয় কেবল বড়দের জন্যই নয়।
ছোটদের মধ্যে সঞ্চয়ের প্রবৃত্তি জাগিয়ে তোলার জন্য বর্তমান সরকারের নেওয়া
উদ্যোগ সুফল পেতে শুরু করেছে। স্কুল ব্যাংকিং শুরু হওয়ার পর থেকে এখন
পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ১৪ লাখ ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলেছে ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা।
আর তাদের সঞ্চয়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৩৬৩ কোটি টাকা।
জানা গেছে, ২০১০ সালের ২ নভেম্বর স্কুল
ব্যাংকিং বিষয়ে একটি পরিপত্র জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এরপর শিক্ষার্থীদের
কাছে ব্যাংক হিসাব আকর্ষণীয় করে তুলতে বেশি মুনাফার নানা স্কিম চালু করে
দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো।
এরপর ২০১১ সাল থেকে শিক্ষার্থীরা ব্যাংকে
টাকা আমানত রাখা শুরু করেন। প্রথম বছরেই শিক্ষার্থীরা ২৯ হাজার ৮০টি ব্যাংক
অ্যাকাউন্ট খোলেন। পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০১২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত
স্কুল ব্যাংকিংয়ের আওতায় দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে মোট এক লাখ ৩২ হাজার
৫৩৭টি হিসাব খোলা হয়। ওই অ্যাকাউন্টগুলোর বিপরীতে মোট আমানতের পরিমাণ ছিল
৯৬ কোটি ৫১ লাখ টাকা। আর গত বছরের ডিসেম্বরের শেষ নাগাদ ১৪ লাখ ৫৩ হাজার
৯৩৬টি অ্যাকাউন্টের বিপরীতে জমাকৃত সঞ্চয়ের পরিমাণ দাঁড়ায় এক হাজার ৩৬৩
কোটি টাকা।
এদিকে স্কুল ব্যাংকিং সেবার দিক থেকে
সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে ইসলামী ব্যাংক। এরপরেই রয়েছে অগ্রণী ব্যাংক ও ডাচ-বাংলা
ব্যাংক। তবে ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খোলার দিক থেকে তিন নম্বরে থাকলেও
ডাচ-বাংলা ব্যাংকে শিক্ষার্থীদের স্থিতির পরিমাণ সবচেয়ে বেশি। এরপরেই রয়েছে
ইসলামী ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক ও রূপালী
ব্যাংক।
এদিকে স্কুল ব্যাংকিংয়ে শিক্ষার্থীদের
ব্যাপক অংশগ্রহণে সন্তোষ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এদিকে স্কুল
ব্যাংকিং কার্যক্রমকে আরও বেগবান করতে দেশের প্রতিটি জেলা-উপজেলায়
স্কুল-ব্যাংকিং কনফারেন্স করছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা
জানিয়েছেন, স্কুল ব্যাংকিং কার্যক্রমে কেবল ১১ থেকে ১৮ বছর বয়সী
শিক্ষার্থীরা অংশ নিতে পারবেন। বাবা-মা অথবা বৈধ অভিভাবকের সঙ্গে যৌথ নামে
অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবে শিক্ষার্থীরা। এতে প্রাথমিকভাবে তাদের জমা দিতে হবে
১০০ টাকা
No comments:
Post a Comment