আমার বাঁশখালী ডেক্স:
“চাকরির ক্ষেত্রে দেশের বর্তমানে
প্রচলিত কোটা ব্যবস্থা আমি সমর্থন করিনা। কোটা ব্যবস্থা আমরা তৈরি করি যারা
পিছিয়ে থাকবে তাদের এগিয়ে নেওয়ার জন্য। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশেও কোটা পদ্ধতি
আছে। আমি যদি মনে করি, কোটার দ্বারা আমি এটার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেব, তাহলে
কিন্তু কোটার যথার্থতা থাকেনা।” বর্তমানে সাধারণ শিক্ষার্থীরা কোটা বিরোধী
যে আন্দোলন করছে তার সম্পর্কে এসব কথা বলেন শিক্ষাবিদ অধ্যাপক শফি আহমেদ।
একুশে টেলিভিশন অনলাইনের সাথে আলাপকালে
প্রবীণ এ শিক্ষাবিদ বলেন, “ব্যাঙের ছাতার মতো কোটা দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে
অন্যদের প্রতি অন্যায় করা হয়।”
কোটা ব্যবস্থার সংস্কার কেমন হওয়া
উচি-এমন প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক শফি আহমেদ বলেন, “আমি মনে করি পার্বত্য
চট্টগ্রামে আদিবাসীরা বা দেশের পিছিয়ে পড়া যেসব অনগ্রসর জনগোষ্ঠী আছে তাদের
জন্য, যাদের প্রথম প্রজন্ম পড়াশুনার সুবিধা পায়নি তারা যাতে এগিয়ে আসতে
পারে- এমন জনগোষ্ঠীর জন্য কোটা সুবিধা দেওয়া যায়। কিন্তু ঢালাও ভাবে আমি এই
জেলার লোক বলে কোটা সুবিধা পাব, ঢালাওভাবে মুক্তিযুদ্ধের তিন প্রজন্ম পরে
এসেও কোটা সুবিধা পাব, তা তো হতে পারেনা।
এসময় তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের প্রতি
শ্রদ্ধা রেখে বলছি, অনেক মুক্তিযোদ্ধার নাতি নাতনী এখন মুক্তিযুদ্ধের
বিরোধীতা করে। তাহলে সেই চেতনার মূল্য থাকল কোথায়? রাষ্ট্রের প্রতি সকল
নাগরিক সমান অধিকার রাখে। এই সমান অধিকারের জন্যই একজন ডোমের ছেলে যদি বিএ
পরীক্ষা দিতে আসে, তাহলে অবশ্যই তাকে প্রাধান্য দেব।
উল্লেখ্য, দেশে বর্তমানে প্রায় ২ শত
ছাপ্পান্ন ধরনের কোটা আছে। এর ফলে প্রকৃত যোগ্য প্রার্থীরা বঞ্চিত হচ্ছে
এমন যুক্তিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে আসছে সাধারণ শিক্ষার্থী
পরিষদ। একুশে টেলিভিশন
No comments:
Post a Comment