প্রধানমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়ার
বিরুদ্ধে মামলা তো আওয়ামীলীগ দেয় নাই। মামলা দিয়েছে তাঁর পছন্দের
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সেই মঈনুদ্দিন ফখরুদ্দিনরা। আর কোর্ট যখন রায় দিয়েছে
তিনি কোর্টের রায়ও মানেন না।
বুধবার (২১ মার্চ) বিকেলে চট্টগ্রামের পটিয়া কলেজ মাঠে আওয়ামী লীগের জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগন দুর্নীতিবাজ আর
জঙ্গিবাদের সাথে নেই। বাংলাদেশে দুর্নীতিবাজ জঙ্গিবাদের স্থান নেই । তিনি
বলেন, গ্যাস বিক্রির মুচলেখা আমরা দিই নাই। খালেদা জিয়াই ক্ষমতায় থাকাকালে
ভারতের কাছে গ্যাস বিক্রির মুচলেখা দিয়েছিল।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে
হত্যার পর দেশে আর কোন উন্নয়ন হয়নি। বিএনপি জামায়াত জোট সরকার দেশকে পঙ্গু
করেছিল। আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার পর ১৬ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুত উৎপাদন
হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামীলীগ করে
উন্নয়নের রাজনীতি আর বিএনপি করে মানুষ মারার রাজনীতি। আন্দোলনের নামে তারা
দেশে এক ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করেছিল। ২০১৪ -১৫ সালে বিএনপি জামায়াত জোট ৫
শতাধিক মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছিল।
উন্নয়নের ফলে বাংলাদেশ স্বল্প উন্নত দেশ
থেকে উন্নতশীল দেশে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশকে আর কেউ অবহেলা করতে পারবেনা
বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘যাদের ঘর নাই আমরা তাদের ঘর
করে দিবো। যাদের ঘর করার মতো সক্ষমতা আছে কিন্তু জমি নাই আমরা তাদের জমি
দেবো। বাংলাদেশের একটি মানুষও ঘরবাড়ি ছাড়া থাকবে না। না খেয়ে থাকবে না।’
তিনি বলেন, ‘এক বছরে আমরা ১০ লাখ মানুষের
কর্মসংস্থান করেছি। প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের বিদেশে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা
করে দিয়েছি। যেন তারা নিজেদের পায়ে দাঁড়াতে পারে। আমরা বিনা আমানতে ঋণের
ব্যবস্থা করে দিয়েছি। যেন নিজেই চাকরি ব্যবস্থা করতে পারে সেই ব্যবস্থা
আমরা করছি।
শেখ হাসিনা বলেন, দুর্নীতি আর অর্থ
পাচারের দায়ে খালেদা জিয়া এবং তারেক জিয়ার সাজা হয়েছে। তাদেও পাচার করা
অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি। আমেরিকা এবং সিঙ্গাপুরে তাদের অর্থ
পাচারের ঘটনা ধরা পড়ে।
তিনি বলেন, ক্ষমতায় থাকাকালে খালেদা জিয়া
তার কালো টাকা সাদা করেছে। অস্ত্রেও ঝনঝনানিতে দেশ মিনি ক্যান্টনমেন্টে
পরিণত হয়েছিল। পাচারকালে ১০ ট্রাক অস্ত্র চট্টগ্রাম ধরা পরেছিল।
বাংলাদেশ কোন বিদেশির কাছে হাত পেতে
করুনার পাত্র হবেনা বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। এসময় তিনি উন্নয়নের
জোয়ার অব্যাহত রাখতে আবারো নৌকা মার্কায় ভোট দেয়ার জন্য দক্ষিন চট্টগ্রামের
মানুষের প্রতিদ আহবান জানান।
দক্ষিন জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি মোসলেম
উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক মফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় জনসভায়
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখে সড়ক ও সেতু মন্ত্রী দলের সাধারন সম্পাদক
ওবায়দুল কাদের, গনপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, সাইফুজ্জামান
চৌধুরী জাবেদ, ড.হাসান মাহমুদ,সামসুল আলম চৌধুরী এমপিসহ নগর উত্তর দক্ষিন
জেলার নেতৃবৃন্দ ।
No comments:
Post a Comment