আমার বাঁশখালী ডেক্স:
মুক্তাঝুরি সাধারণত পথের
পাশে, জঙ্গলে হতে দেখা যায়। এই মুক্তাঝুরি গাছ ঔষুধী কাজের জন্য খুবই
গুরুত্বপূর্ণ। ড. তপন কুমার দে তার ‘বাংলাদেশের প্রয়োজনীয় গাছ-গাছড়া’ বইয়ে
এর ঔষধী গুণাগুণ তুলে ধরেছেন।
একুশে টিভি অনলাইনে এর গুণাগুণ দেওয়া হলো-
ঔষধী ব্যবহার :
১) এই গুল্মটি ব্রঙ্কাইটিস, হাঁপানি, নিউমোনিয়া এবং বাতের চিকিৎসায় বিশেষভাবে উপকারী।
২) এর পাতার রস তেলের সঙ্গে মিশিয়ে মালিশ করলে বাতের ব্যথার উপশম হয়।
৩) মুক্তাঝুরির পাতার রস পান করলে বমি উদ্রেক হয়।
৪) ক্ষত বা ঘায়ের জন্য এই উদ্ভিদের পাতার রস খুবই উপকারী।
৫) পুরো গাছের রস কান ও বাতের ব্যথা কমায়।
৬) পাতার রস তিলের তেলে মিশিয়ে ব্যবহারে অর্শ রোগের আরাম হয়।
৭) মুক্তাঝুরির পাতা ও কচি কাণ্ডের রসের সঙ্গে নিম রস মিশিয়ে শিশুদের জিভে লাগালে কোষ্ট পরিষ্কার হয়।
৮) শুকনো পাতার গুড়ো কৃমিনাশক ঔষধ হিসেবে খুবই কার্যকারী।
৯) আগুনে শরীরর কোন অংশ পুড়ে গেলে মুক্তাঝুরির পাতার ক্বাথ লাগালে জ্বালা- যন্ত্রণা কমে।
১০) এই ক্বাথ ঘুংড়ি, কাশি, যক্ষ্মা ও শিশুর শ্বাসনালীর প্রদাহে হিতকর।
১১) উন্মাদ রোগেও মুক্তাঝুরির ব্যবহারের কথা জানা যায়। এর পাতার ক্বাথ বিছার দংশনের ব্যথা-বেদনা নিরাময় করে।
পরিচিতি : মুক্তাঝুরি বর্ষজীবী গুল্ম।
অবহেলিত এ গুল্মটি ৩০ থেকে ৭৫ সে.মি. লম্বা হয়। পাতার অগ্রভাগ করাতের মতো
কাঁকরা কাটা রয়েছে। পাতা লোমযুক্ত ও ডিম্বাকৃতি। পাতার কোল থেকে বের হয়
খাড়া পুষ্পমুঞ্জুরী। ফুলের বোঁটা ফুল অপেক্ষা ছোট সবুজ বর্ণ। বছরের সকল
সময়ে ফুল ও ফল হয়।
No comments:
Post a Comment