আমার বাঁশখালী ডেক্স:
নিজের জীবনের বিনিময়ে সম্ভাবনাময় তরুণ বৈমানিক প্রিথুলা রশিদ বাঁচিয়ে গেছেন ১০ নেপালি যাত্রীর প্রাণ। নেপাল ও ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সোশ্যাল সাইটে বীর ওই নারী পাইলটকে ‘ডটার অব বাংলাদেশ’ আখ্যা দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হচ্ছে।
নিজের জীবনের বিনিময়ে সম্ভাবনাময় তরুণ বৈমানিক প্রিথুলা রশিদ বাঁচিয়ে গেছেন ১০ নেপালি যাত্রীর প্রাণ। নেপাল ও ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সোশ্যাল সাইটে বীর ওই নারী পাইলটকে ‘ডটার অব বাংলাদেশ’ আখ্যা দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হচ্ছে।
সোমবার বিধ্বস্ত হওয়া ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের উড়োজাহাজের সহকারী পাইলট
সম্পর্কে ভারত ও নেপালের সোশ্যাল সাইটগুলোতে বলা হচ্ছে, `ডটার অফ বাংলাদেশ`
তার জীবন উৎসর্গ করে নেপালিদের জীবন বাঁচিয়েছেন সোমবার। এই তরুণ পাইলট
নেপালে বিধ্বস্ত বিমানে নিহত হয়েছেন। তিনিই ছিলেন বিধ্বস্ত বিমানটির
কো-পাইলট। তিনি নিজের জীবনের বিনিময়ে ১০ জন নেপালির জীবন বাঁচিয়েছেন, যারা
এখন বেঁচে আছেন।
দুর্ঘটনা কবলিত বোমবার্ডিয়ার ড্যাশ ৮ কিউ৪০০ উড়োজাহাজটিতে ৩৭ জন পুরুষ ও
২৭ জন নারী ছাড়াও উড়োজাহাজটিতে ছিল শিশু। দুর্ঘটনায় নিজের কথা না ভেবে আগে
সেই যাত্রীদের রক্ষা করার চেষ্টা করেন প্রিথুলা। ১০ জন নেপালি যাত্রীকে
মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচিয়ে নিরাপদে সরিয়ে দিতে নিজের সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন।
তাদের বাঁচানোর চেষ্টা করতে করতেই মর্মান্তিক মৃত্যু হয় প্রিথুলার। জীবনের
শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত প্রিথুলা রশিদের অন্যের জীবন বাঁচানোর চেষ্টা ব্যর্থ
হয়নি। বেঁচে গেছে দশ নেপালী যাত্রী।
বিমানটিতে ৬৭ যাত্রীর মধ্যে ৩৩ জন বাংলাদেশি, ৩২ জন নেপালি, একজন
মালদ্বীপের এবং একজন চীনের নাগরিক ছিলেন। ৪ জন ক্রু ছিলেন বলে ইউএস বাংলা
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। সেই হতভাগাদেরই একজন প্রিথুলা রশিদ।
No comments:
Post a Comment