কক্সবাজারের বাঁকখালী নদীর উপর কস্তুরাঘাটে বক্স গার্ডার ব্রিজ
নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে বেশ কিছুদিন আগে। কাজের দীর্ঘ সংযোগ সড়ক
নির্মাণের কাজ করতে গিয়ে সন্ধান মিলেছে টন টন পাথরের। নদী থেকে উৎসব মুখর
পরিবেশে উত্তোলন করা হচ্ছে পাথর। সারা দিনই চলছে পাথর উত্তোলনের কাজ। রাতের
আঁধারে গোপনে সেই সব পাথর দেদারছে বিক্রি করা করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সাইফুল আশ্রাব বলেন, যদি পাথর তোলা হয় তা সম্পূর্ণ অবৈধভাবে উত্তোলন করা হচ্ছে। পাথর উত্তোলন করতে হলে প্রথমত পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র লাগবে; এরপর খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অনুমতি দিলে রাজস্ব ধার্য্য করার পর পাথর উত্তোলন করতে পারবে। যেহেতু তারা পরিবেশ ছাড়পত্র নেয়নি সেহেতু তাদের কোনো অনুমতি নাই পাথর উত্তোলনের।
অভিযোগ উঠেছে, সংযোগ সড়ক নির্মাণ করতে গিয়ে পাথরের সন্ধান মেলায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্মী আর শ্রমিক মিলে সরকারি পাথর বিক্রি করে নিজেদের পকেট ভারী করছে। এতে টেকসই ব্রিজ ও সড়ক নির্মাণ হয়ে পড়েছে ঝুঁকির মধ্যে।
জানা গেছে, কক্সবাজার বিমান বন্দর উন্নয়ন প্রকল্প (১ম পর্যায়) এর আওতায় বাঁকখালী নদীর উপর কস্তুরাঘাটে ৫৯৫ মিটার দীর্ঘ পিসি বক্স গার্ডার ব্রিজ নির্মাণের প্রাথমিক কাজ শুরু হয়েছে বেশ কিছুদিন আগে। কাজের অংশ হিসেবে শুরুতে করা হচ্ছে কস্তুরাঘাটে সংযোগ সড়ক ভরাট করার কাজ। কিন্তু ভরাটের পরিবর্তে উল্টো খনন করে উত্তোলন করা হচ্ছে পাথর। প্রতিদিন বিপুল পরিমাণের পাথর উত্তোলন করে বিক্রি করে দেয়া হচ্ছে। এ খাতে সরকার হারাচ্ছে বিপুল অংকের রাজস্ব।
এদিকে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনের খবর পেয়ে সেখানে পৃথক অভিযান চালান কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নোমান হোসেন ও সদর সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাজিম উদ্দিন।
মো. নোমান হোসেন পূর্বকোণকে বলেন, সরকারি কাজের জন্য বাঁকখালী নদী খনন করা হচ্ছে ঠিক আছে। কিন্তু পাথর উত্তোলন করার কথা নয়। অবৈধভাবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা স্থানীয় একটি চক্রের সাথে চুক্তি করে সপ্তাহ ধরে টন টন পাথর উত্তোলন করে বিক্রি করে দিচ্ছে। গত অভিযানে পাথর উত্তোলনের সত্যতা পাওয়া যায় এবং উত্তোলন হওয়া টন টন পাথর স্তুপ করে রাখা হয়। পরে একটি স্থায়ী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
এসিল্যান্ড নাজিম উদ্দিন বলেন, আপাতত পাথরগুলো লাল পতাকা দিয়ে প্রশাসনের হেফাজতে নিয়ে আসা হয়েছে এবং পাথর উত্তোলন এবং পাথর ভাঙা ও পরিবহণের কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, কস্তুরাঘাটস্থ ভরে যাওয়া বাঁকখালী নদী থেকে শত শত শ্রমিক পাথর উত্তোলন কাজে নিয়োজিত রয়েছে। শুধু শ্রমিক নয় তিনটি স্ক্রেভেটর দিয়েও উত্তোলন করা হয় পাথর। আর এসব পাথর ট্রাকে ট্রাকে করে বিক্রি করে দেয়া হচ্ছে। গত সাতদিন ধরে প্রতিদিন শত শত টন পাথর উত্তোলন করা হয় আর লাখ লাখ টাকায় এসব পাথর বিক্রি করা হচ্ছে।
শ্রমিক সরবরাহকারী মো. সেলিম জানান, তিনি পাথর উত্তোলনের জন্য শ্রমিক দেন। কিন্তু অনুমতি আছে কিনা তার জানা নেই। সোনালী ড্রেজার বাঁকখালী নদী ড্রেজিং করে ভরাট করছে। এতে উক্ত সংযোগ সড়ক ও ব্রিজ নির্মাণ ঝুঁকিপূর্ণ হবে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সদস্য নগর পরিকল্পনাবিদ প্রকৌশলী বদিউল আলম জানান, পাহাড় থেকে নদীতে নেমে আসা পাথর উত্তোলন করা হয় তাও বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে। কিন্তু বাঁকখালী নদীতে যে পাথর রয়েছে তা তলদেশে মজুদ থাকা পাথর। এসব পাথর উপরের মাটির স্তর ধরে রাখে। আর এসব উত্তোলন করা হলে মাটির উপর স্তর ভেঙে পড়বে। যুগ যুগ ধরে এসব পাথর বাঁকখালী নদীর মোহনা ও আশে পাশের এলাকা টিকিয়ে রেখেছে। এসব পাথর উত্তোলনের কারণে শহরবাসীর ব্যাপক ক্ষতি হবে। তিনি আরও বলেন, পাথর উত্তোলনের কারণে মাটির ভীত নড়েবড়ে হচ্ছে আর এখানে সড়ক হলে তা টেকসই হবেনা।
এ বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সাইফুল আশ্রাব বলেন, যদি পাথর তোলা হয় তা সম্পূর্ণ অবৈধভাবে উত্তোলন করা হচ্ছে। পাথর উত্তোলন করতে হলে প্রথমত পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র লাগবে; এরপর খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অনুমতি দিলে রাজস্ব ধার্য্য করার পর পাথর উত্তোলন করতে পারবে। যেহেতু তারা পরিবেশ ছাড়পত্র নেয়নি সেহেতু তাদের কোনো অনুমতি নাই পাথর উত্তোলনের।
অভিযোগ উঠেছে, সংযোগ সড়ক নির্মাণ করতে গিয়ে পাথরের সন্ধান মেলায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্মী আর শ্রমিক মিলে সরকারি পাথর বিক্রি করে নিজেদের পকেট ভারী করছে। এতে টেকসই ব্রিজ ও সড়ক নির্মাণ হয়ে পড়েছে ঝুঁকির মধ্যে।
জানা গেছে, কক্সবাজার বিমান বন্দর উন্নয়ন প্রকল্প (১ম পর্যায়) এর আওতায় বাঁকখালী নদীর উপর কস্তুরাঘাটে ৫৯৫ মিটার দীর্ঘ পিসি বক্স গার্ডার ব্রিজ নির্মাণের প্রাথমিক কাজ শুরু হয়েছে বেশ কিছুদিন আগে। কাজের অংশ হিসেবে শুরুতে করা হচ্ছে কস্তুরাঘাটে সংযোগ সড়ক ভরাট করার কাজ। কিন্তু ভরাটের পরিবর্তে উল্টো খনন করে উত্তোলন করা হচ্ছে পাথর। প্রতিদিন বিপুল পরিমাণের পাথর উত্তোলন করে বিক্রি করে দেয়া হচ্ছে। এ খাতে সরকার হারাচ্ছে বিপুল অংকের রাজস্ব।
এদিকে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনের খবর পেয়ে সেখানে পৃথক অভিযান চালান কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নোমান হোসেন ও সদর সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাজিম উদ্দিন।
মো. নোমান হোসেন পূর্বকোণকে বলেন, সরকারি কাজের জন্য বাঁকখালী নদী খনন করা হচ্ছে ঠিক আছে। কিন্তু পাথর উত্তোলন করার কথা নয়। অবৈধভাবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা স্থানীয় একটি চক্রের সাথে চুক্তি করে সপ্তাহ ধরে টন টন পাথর উত্তোলন করে বিক্রি করে দিচ্ছে। গত অভিযানে পাথর উত্তোলনের সত্যতা পাওয়া যায় এবং উত্তোলন হওয়া টন টন পাথর স্তুপ করে রাখা হয়। পরে একটি স্থায়ী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
এসিল্যান্ড নাজিম উদ্দিন বলেন, আপাতত পাথরগুলো লাল পতাকা দিয়ে প্রশাসনের হেফাজতে নিয়ে আসা হয়েছে এবং পাথর উত্তোলন এবং পাথর ভাঙা ও পরিবহণের কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, কস্তুরাঘাটস্থ ভরে যাওয়া বাঁকখালী নদী থেকে শত শত শ্রমিক পাথর উত্তোলন কাজে নিয়োজিত রয়েছে। শুধু শ্রমিক নয় তিনটি স্ক্রেভেটর দিয়েও উত্তোলন করা হয় পাথর। আর এসব পাথর ট্রাকে ট্রাকে করে বিক্রি করে দেয়া হচ্ছে। গত সাতদিন ধরে প্রতিদিন শত শত টন পাথর উত্তোলন করা হয় আর লাখ লাখ টাকায় এসব পাথর বিক্রি করা হচ্ছে।
শ্রমিক সরবরাহকারী মো. সেলিম জানান, তিনি পাথর উত্তোলনের জন্য শ্রমিক দেন। কিন্তু অনুমতি আছে কিনা তার জানা নেই। সোনালী ড্রেজার বাঁকখালী নদী ড্রেজিং করে ভরাট করছে। এতে উক্ত সংযোগ সড়ক ও ব্রিজ নির্মাণ ঝুঁকিপূর্ণ হবে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সদস্য নগর পরিকল্পনাবিদ প্রকৌশলী বদিউল আলম জানান, পাহাড় থেকে নদীতে নেমে আসা পাথর উত্তোলন করা হয় তাও বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে। কিন্তু বাঁকখালী নদীতে যে পাথর রয়েছে তা তলদেশে মজুদ থাকা পাথর। এসব পাথর উপরের মাটির স্তর ধরে রাখে। আর এসব উত্তোলন করা হলে মাটির উপর স্তর ভেঙে পড়বে। যুগ যুগ ধরে এসব পাথর বাঁকখালী নদীর মোহনা ও আশে পাশের এলাকা টিকিয়ে রেখেছে। এসব পাথর উত্তোলনের কারণে শহরবাসীর ব্যাপক ক্ষতি হবে। তিনি আরও বলেন, পাথর উত্তোলনের কারণে মাটির ভীত নড়েবড়ে হচ্ছে আর এখানে সড়ক হলে তা টেকসই হবেনা।
No comments:
Post a Comment