আমার বাঁশখালী ডেক্স:
বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহত বাংলাদেশিদের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহের জন্য আগামীকাল বৃহস্পতিবার নেপাল যাচ্ছে একটি মেডিক্যাল টিম।
বুধবার ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব মো.
খোরশেদ আলম গণমাধ্যমকে বলেন, আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) ডিএনএ বিশেষজ্ঞ,
ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ ও বার্ন ইউনিটের চিকিৎসকসহ আটজন নেপালে যাচ্ছেন। মৃতদেহ
দেশে আনতে সময় লাগবে।“
নেপালে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাশফি বিনতে
শামস বলেন, আমরা এখানকার ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠক করেছি। তারা
তাদের অভিজ্ঞতা থেকে আমাদের জানিয়েছেন, এ ধরনের দুর্ঘটনায় সাধারণত ১০ শতাংশ
ব্যক্তির ডিএনএ পরীক্ষা করার প্রয়োজন হয়। বাকিদের ক্ষেত্রে দাঁত ও হাড়ের
রেকর্ড, কোনও অলঙ্কার বা ধাতব বস্তু বা অন্য কোনও ধরনের শনাক্তকরণ চিহ্ন
দেখে শনাক্ত করা হয়। আমি কয়েকটি মৃতদেহ দেখেছি। আমার মনে হয়েছে খালি চোখে
তাদের শনাক্ত করা অত্যন্ত কঠিন।“
রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, ‘যে ১০ জন বাংলাদেশি
এখানে চিকিৎসারত আছেন,তাদের মধ্যে একজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর
পাঠানো হচ্ছে। এছাড়া, আরেকজন আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) ঢাকায় ফেরত যাবেন বলে
আশা করছি।’
নিহতদের স্বজনদের নেপালে বাংলাদেশ
দূতাবাস সহযোগিতা করছে না বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের এমন খবরের বিষয়ে
ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব খোরশেদ আলম বলেন, ‘আমাদের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে,
প্রতিটি পরিবার যেন তার স্বজনের মৃতদেহটি পায়, অন্য কারও মৃতদেহ নয়, তা
নিশ্চিত করা। এজন্য কিছুটা সময় দরকার।’
নেপালের পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে
তিনি বলেন, ‘যে মর্গে মৃতদেহগুলো রাখা হয়েছে সেখানে শুধু বাংলাদেশিদের নয়,
নেপালিদের মৃতদেহও রাখা আছে। নেপালের কর্তৃপক্ষ আমাদের জানিয়েছে, তাদের
পরীক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত কাউকেই মৃতদেহগুলো দেখতে দেবে না।
মঙ্গলবার যাত্রীদের স্বজন ও সাংবাদিকরা
নেপালে পৌঁছালে দূতাবাসের উদ্যোগে সবাইকে দূতাবাসে নিয়ে যাওয়া হয় এবং
নেপালি কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।’
সচিব ‘আমি নিহতদের স্বজনদের মানসিক অবস্থা বুঝতে পারি। তারপরও সবাইকে আরেকটু ধৈর্য ধরার জন্য অনুরোধ করবো।’
গত সোমবার নেপালের ত্রিভুবন বিমানবন্দরে
ইউএস বাংলার একটি বিমান ৬৭ যাত্রী ও চার জন ক্রু নিয়ে বিধ্বস্ত হয়। এতে ৫১
জন নিহত হন। এর মধ্যে ২৬ জন বাংলাদেশি। এছাড়া, ১০ জন বাংলাদেশি বিভিন্ন
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
No comments:
Post a Comment