![]() |
আমার বাঁশখালী.কম,
প্রতিবেদক-এম.ছৈয়দুল আলম:
বাণিজ্য তো বহুবিধ হয়। চট্টগ্রামের বাঁশখালী সড়কে প্রতি দিন সন্ধ্যা ও চুটি’র
বাঁশখালী স্পেশাল সার্ভিস ও বাঁশখালী সুপার সর্ভিসের ব্যানের চলেছে দিগুন ভাড়া আদায়। সচেতন যাত্রী’রা প্রতিবাদ করলেই হেনস্তার শিকার হন।
![]() |
একসময় মালিক সমিতি স্বাক্ষরিত হিসাব অনুসারে বাঁশখালী আনোয়ারা তৈলারদ্বীপ ফেরিঘাট হয়ে উপজেলা সদরের দূরত্ব ছিল ৪৪ কিলোমিটার। পরবর্তীতে শংখ নদীতে সাঙ্গু ব্রীজ নির্মাণ হওয়ার পর তার দূরত্ব প্রায় ৬ কিলোমিটার কমে আসে। কিন্তু মালিক কর্তৃপক্ষ পূর্বের কিলোমিটার অনুসারে ভাড়া আদায় করলেও নেওয়া হচ্ছে তার চেয়েও দিগুন। যা সরকারি কোন সিডিউলেই পড়ে না। তা নিয়ে প্রতিদিন যাত্রী ও বাস শ্রমিকদের মাঝে প্রতিনিয়ত ঝগড়া বিবাদ লেগে থাকে।অনেক সময় দেখা যায় যাত্রীবাহী বোঝায় বাস নিয়ে ড্রাইবার মোবাইল হাতে গাড়ি চালাচ্ছেন।
চট্টগ্রাম শহর হতে বাঁশখালীর সড়কের বিভিন্ন জায়গায়, ভিন্ন ভিন্ন ভাবে ভাড়া আদায়ে
চলছে যানবাহনগুলো।
এ ভাড়া বাণিজ্যের যানহাহন মালিক
সমিতি’র নিয়ন্ত্রকরা ঈদসহ বিভিন্ন মৌসমকে ঘিরে দিগুণ ভাড়া আদায়ের নির্দেশ দেন, শ্রমিকদের। এতে
শ্রমিকদেরও লাভ বেশি তাই তারা বিভিন্ন ষ্টেশনে যাত্রীদের সাথে হাতা-হাতী ও
মারা-মারী করতে ভয় করে না।
বর্তমানে বাঁশখালীর বহু ছাত্র-ছাত্রী শহরের বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লেখা-পড়া করে।
এইসব শিক্ষার্থীদের খচরের টাকা সীমাবদ্ধা থাকে, ফলে ছাত্র-ছাত্রীদের লেখা-পড়ায় বিপর্যায়
পড়ে।
বাঁশখালীর বিভিন্ন স্টেশেন ঘুরে যাত্রীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, অনেকে বলেন, বাস শ্রমিকরা
বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে তাদের কাছ থেকে দিগুন ভাড়া আদায় করছে।
ভাড়া নিয়ে একটু এদিক ওদিক হলেই বাস হেলপার গুলো বিভিন্ন সময় যাত্রীদের সাথে অভদ্র আচার আচারন থাকে।
স্পেশাল এবং সুপার বাস নাম থাকলে ও তারা এটাকে লোকাল বাসে পরিনত করেছে। আমার এর থেকে পরিত্রাণ চাই।
স্পেশাল গাড়িগুলো পুকুরিয়া নামক স্থানে চেক কাউন্টার থাকলেও তারা (ড্রাইভারের) সাথে আঁতাত করে চলে।বাঁশখালীতে মালিক/ শ্রমিক সমিতি থাকলেও তারা শুধু নামেই সীমাবদ্ধ এ বিষয়ে তাদের কোন মাথাব্যথা নাই।
অতিরিক্র ভাড়া নিয়ে প্রায় সময় ঝগড়া-বিবাদ হলেও তা নিরসনে তারা কোন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে না বাস মালিকরা।
তাছাড়া শ্রমিকদের এ ধরনের অযৌক্তিক ভাড়া আদায় নিয়ে বিভিন্ন রকম ঝগড়াবিবাদ লেগে থাকলেও কোন কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না তারা। এ মুহুর্তে এটি বাঁখালীবাসীর প্রধান সমস্যা হিসেবে গণ্য।
সর্বপরি বাঁশখালীতে যাত্রী হয়রানি চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। গলাকাটা ভাড়া
আদায়ের অভিযোগ রয়েছে অনেক দিন ধরে। বাস ও সিএনজি অটোরিকশাসহ যানবাহনগুলোতে অতিরিক্ত
ভাড়া আদায়, যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং এবং যাত্রীদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ কিছুতেই থামানো
যাচ্ছে না।
পার্শ্ববর্তী উপজেলায় যে পরিমাণ ভাড়া আদায় করে যানবাহনগুলো, তার চাইতেও
অধিক ভাড়া আদায় করে বাঁশখালীর যানবাহনগুলো।
অপরদিকে বাঁশখালীতে বাস টার্মিনাল না থাকায় উপজেলা ও পৌর সদরের সড়কের
উপর এলোমেলোভাবে বাস পার্কিং করে রাখায় পৌর শহরে যানজট এখন নিত্য ঘটনা। উপজেলা পরিষদ,
থানা কমপ্লেক্স গেইট, হাসপাতাল গেইট, সোনালী ব্যাংক, গার্লস স্কুল ও আদালত ভবন গেইটসহ
সর্বত্র প্রধান সড়কের দুই পাশে বাস মিনিবাস পার্কিং করে রাখা হয় এলোমেলোভাবে। এতে পৌরবাসী
ও স্কুল-কলেজ এবং মাদরাসার ছাত্র-ছাত্রীসহ রোগীদের চরমভাবে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
তাছাড়া পৌর এলাকার বাইরে চাম্বল, নাপোড়া, গুনাগরী, বৈলছড়ি, সাধনপুর, কালীপুর,
পুকুরিয়াসহ সর্বত্র সড়কের উপর বাজার বসানো এবং বাস, ট্রাক পার্কিং করে রাখার ফলে পুরো
বাঁশখালীতে যানজট লেগেই থাকছে।
বাঁশখালী উপজেলা সদর থেকে চট্টগ্রাম শহরের দূরত্ব ৪৮ কিলোমিটার হলেও বাস
ভাড়া আদায় করা হচ্ছে সুপার সার্ভিসে ৮০ টাকা। লালবোর্ড ৬০ টাকা এবং স্পেশাল সার্ভিস
৬৫ টাকা। অথচ এই দূরত্বে চট্টগ্রামের অন্য কোনো উপজেলায় এতো বেশি ভাড়া আদায় হয় না।
এছাড়া লক্কড়-ঝক্কড় বাস দিয়েই চলে বাঁশখালীর সাত লক্ষাধিক মানুষের যাতায়াত।
পত্র-পত্রিকায় বহু সংবাদ প্রচার হলেও নজরে পড়েনি
প্রশাসনের।
চট্টগ্রাম, পটিয়া, আনোয়ার, বাঁশখালী (পি.এ.বি) সড়কের
যানবাহনে ভাড়া ‘বাণিজ্য’ নিয়ন্ত্রণ করবে কে? সাধারণ যাত্রীদের প্রশ্ন?
দীর্ঘদিনের পরিবহন নৈরাজ্যের বিষয় নিয়ে পত্রিকায় অনেক লেখালেখি হলেও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
আমার বাঁশখালী ডটকম
প্রেস
বিজ্ঞপ্তি ও প্রতিনিধিরা নিউজ পাঠান
ই-মেইল: amarbanskhali@gmail.com
ভিজিট
করুন: www.amarbanskhali.com
এম.ছৈয়দুল আলম কর্তৃক
প্রকাশিত সংবাদ।
নিচে আপনার মতামত লিখুন
সহমত প্রকাশ করলাম আপনার সাথে।আমাদের বাঁশখালীতে যারা আছেন,মানে শিল্পপতিরা ওনারা চাইলে এক সপ্তাহর মধ্যে সব নির্মুল করতে পারেন।কারন সব রাস্তা ওনাদের জানা শুনা,যেই গ্রাম থেকে ওনারা বড় হয়ে আজ এই অবদি উঠছে,আমি মনে করি ঐ গ্রামবাসীকে উনাদের সুখে দু:খে পাশে থাকাটা জরুরী।কারন গ্রাম বাসী ওনাদের দিকে তাকিয়ে থাকে।
ReplyDelete