![]() |
আমার বাঁশখালী.কম, নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাঁশখালী প্রধান সড়কে বাস হেলপারের বিরুদ্ধে কৃষি ব্যাংকে কর্মরত এক ব্যাংকারকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে।
রবিবার (২৭মে) সকাল সাড়ে ১০ টায় উপজেলার গুনাগরী চৌমুহনী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। জানা যায়, চট্টগ্রাম থেকে বাঁশখালী গামী স্পেশাল গাড়িতে করে প্রতিদিনের সকাল ৮.২০ মিনিটের সময় চট্টগ্রাম বদ্দারহাট বাস টার্মিনাল থেকে টিকেট করে দক্ষিন জলদী মনছুরিয়া এলাকার মৃত মাষ্টার হাসান মাষ্টারের ছেলে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের বাঁশখালী গুনাগরি শাখার অফিসার মোঃ কামাল (৫০) সকাল নিজ বাসা চট্টগ্রাম থেকে নিজের কর্মস্থল গুনাগরি শাখা অফিসে যাওয়ার জন্য বাঁশখালী স্পেশাল সার্ভিস নামদারি নাজ কোম্পানীর লক্কর ঝক্কর বাস (চট্টোমেট্রো জঃ- ০-৩৪) তে উঠে। বাসটি বাস টার্মিনাল থেকে নতুন ব্রীজ পৌঁছতে প্রায় ১ঘন্টার সময় অতিক্রম করে।তখন আমি বলি আমার তো ১০ টায় গুনাগরি ব্যাংকে পৌছতে হবে। এত সময় করলে কেমনে হয়।তখন উক্ত বাসটি আবারো পুনরায় কালামিয়া বাজারের দিকে গুরে ফিলিং স্টেশন থেকে তেল নিয়ে আবারো নতুন ব্রীজে এসে যাত্রী তুলার জন্য দীর্ঘ সময় ব্যয় করলে আমি বলি আমার দেরী হয়ে যাচ্ছে। আপনাদের দেরী হলে আমার টাকা ফেরত দেন। তখন তারা টাকা দিবে না বল্লে সামান্য কথাকাটাকাটি হলে বাস ড্রাইভার আমাকে অকথ্য ভাষায় বলে "তুর বৈনর জামাই টিকেট কাউন্টারে গিয়ে টাকা ফেরত ল"তখন আমার সাথে কিছু কথা কাটাকাটি হলে অন্যান্য বাসের ড্রাইবারেরা এসে উক্ত বাসকে তারাতরি চলে যেতে বলে। তখন তারা আমার উপর ক্ষোভে ফেটে পড়ে। গাড়িটি বাঁশখালী গুনাগরি পযার্প্ত পৌছলে দেখি কিছু অন্যান্য বাস হেলপার দাঁড় করিয়ে রাখে। তারা আমাকে চিনে ফেলায় কিছু না করলে ও বাস এবং বাসের ড্রাইবার আমাকে মারধর সহ বুকে রক্তাক্ত জখম করে। উল্লেখ্য, অন্যদিকে চট্টগ্রাম- কক্সবাজারের বিকল্প প্রধান সড়ক আনোয়ারা, বাঁশখালী, চকরিয়া উপজেলার একমাত্র সড়কের প্রতিনিয়ত বাস হেলপারদের অভদ্র দুর্ব্যবহার ও অত্যাচার অতিষ্ট সাধারন মানুষ।প্রধান সড়কে চলাচলকারী বাস ও সিএনজি অটোরিক্সার অতিরিক্ত ভাড়া লাগামহীন অবস্থায় পৌঁছে।এদিকে বাস ও সিএনজি অটোরিক্সা ভাড়া নির্ধারণ করলেও কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে খেয়াল-খুশিমত ভাড়াআদায় করা হচ্ছে সাধারণ যাত্রীদের নিকটথেকে।অন্যদিকে এই উপজেলায় ৫/৬ হাজার নাম্বার বিহীন অটোরিক্সা। এই গাড়ী গুলোর চালকও রয়েছে লাইন্সেন বিহীন ফলে র্দূঘটনা দিন দিন বেড়ে চলছে।এবং বাস ও সিএনজি অটোরিক্সা চলাচলকারী অনেক গাড়ীতে ভিন্ন রঙ্গের লাইট ব্যবহার করায় অহরহ ঘটছে র্দুঘটনা। অন্যদিকে যানজটের শেষ নেই।এদিকে বাঁশখালী উপজেলা সদরের দারোগা বাজার এলাকায় রাস্তার দু পার্শ্বে বাস গাড়ি রাখে,ও রাস্তার উপরে কারনে প্রতিদিন তীব্র দক্ষিণ বাঁশখালী, আনোয়ারা ও চকরিয়া সড়কে প্রতিদিন ঘটছে বড় বড় দুর্ঘটনা । ফলে এই সড়কে চলাচলকারী সাধারণ যাত্রীদের হয়রানি বেড়ে যায়। এমন কি বাস ও অটোরিক্সা চালকদের সাথে অনেক যাত্রীর হাতা-হাতিও ঘটছে। আর অসহায় যাত্রীরা হয়ে পড়েছেন জিম্মি। ভাড়া-নৈরাজ্য চরমে পৌঁছেছে।সরকারিভাবে কি:মি: হিসেবে নির্ধারণ কলেও আগের ছেয়ে বেশি ভাড়া আদায় করছে এবং প্রতি ঈদ মৌসুমে যাত্রীদের কাছ থেকে এই ভাড়ার ছেয়ে ২-৩ গুণ ভাড়া আদায় করে চালকরা। এইভাবে কতিপয় বাস ও অটোরিক্সা চালকরা অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করে চলেছেন। অতিরিক্ত ভাড়া না পেলে চালকরা খারাপ আচরণ করেছেন বলে অভিযোগ করেন একাধিক যাত্রীরা। এ ঘটনায় এ সড়কে চলাচলকারী সকল যাত্রী ও সাধারণ মানুষদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। যে কোন মুহুর্তে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। দীর্ঘদিন থেকে পিএবি সড়কে পরিবহণ নৈরাজ্য ও অতিরিক্ত ভাড়া যাত্রী সাধারণের কাছ থেকে আদায় করলেও স্থানীয় প্রশাসন রহস্যজনক ভাবে বাস মালিক ও পরিবহন শ্রমিকদের কোন প্রকার ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। এতে পরিবহণ শ্রমিকরা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
আমার বাঁশখালী ডটকম





No comments:
Post a Comment