![]() |
আমার বাঁশখালী.কম, নিজস্ব প্রতিবেদক:
আকাশে মেঘ কিংবা সামান্য বৃষ্টি বাতাসেই বাঁশখালী থেকে বিদ্যুৎ উধাও হয়ে যায়। ৪-২৪ ঘণ্টা পর আবার তার দেখা মেলে। রাতে একবার বিদ্যুৎ গেলে আসে পরদিন। তীব্র তাপদাহে এই বিদ্যুৎ বিভ্রাটে তাই দুর্ভোগে আছে বাঁশখালী উপজেলাবাসী।
চলতি ইরি-বোরো মৌসুমের শুরু থেকেই জেলায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট শুরু হয়। তবে ধানকাটা মৌসুম শেষে এখনো পর্যন্ত নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে সক্ষম হচ্ছে না বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগ। স্বাভাবিক অবস্থাতেও প্রতিদিন দিনে-রাতে শুধু শহর এলাকাতেই চার-পাঁচবার এক থেকে তিন ঘণ্টারও বেশি লোডশেডিংজনিত
বিদ্যুৎ বিভ্রাট সংঘটিত হচ্ছে।
এছাড়া মেঘ-বৃষ্টি-ঝড়ে তিন-ছয় ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হচ্ছে। চট্টগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ১ এর আওতাধীন গ্রামগুলোতে
বিদ্যুৎ সংকট আরো মারাত্মক।
এদিকে বাঁশখালী উপজেলার
বিভিন্ন গ্রামগুলোতে
খোলা তারে বাঁশ ও গাছের সাথে বিদ্যুৎ লাইন সংযোগ দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে
বিদ্যুৎ সরবরাহ অব্যাহত রাখা হয়েছে। ফলে এসব এলাকায় সামান্য বাতাসেই এবং ঝড়-বৃষ্টিতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকছে।
আবার বাঁশখালীর কোথাও
কোথাও ঘরের চাল আর ভবনের ছাদ ঘেঁষে ৩৩ হাজার ভোল্টের উচ্চমাত্রার
বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন নেওয়া হয়েছে।
ভুক্তভোগীরা জানান, অন্ধকারে কাটাতে হয় অনেক সময়। গুরুত্বপূর্ণ
অফিস, আদালত, স্কুল, কলেজ, বিভিন্ন কারখানায় সময় মতো বিদ্যুৎ না থাকায় কাজের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে চরম মাত্রায়।
ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, নির্দিষ্ট সময়ে লোডশেডিং হলে আমরা আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে থাকতে পারতাম। কিন্তু এভাবে লোডশেডিং চলতে থাকলে বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকাই ভালো।
বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নতি কবে নাগাদ হবে এ ব্যাপারে পটিয়া বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগ নিশ্চিত করে কিছু জানাতে পারেনি।
আমার বাঁশখালী ডটকম
প্রেস বিজ্ঞপ্তি ও প্রতিনিধিরা নিউজ পাঠান
ই-মেইল: amarbanskhali@gmail.com
ভিজিট করুন: www.amarbanskhali.com
প্রধান সম্পাদক শাহ্ মুহাম্মদ শফিউল্লাহ্ ও প্রকাশক
নিচে আপনার মতামত লিখুন





No comments:
Post a Comment