আমার বাঁশখালী ডটকম:
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, খালেদা জিয়া অসুস্থ নন, তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ। যদি তিনি অসুস্থ হতেন তাহলে বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল ও সিএমএইচ হাসপাতালে ভর্তি হবেন না কেন? তিনি বিদেশে যাওয়ার জন্য পাঁয়তারা করছেন।
আজ রবিবার ভোলা সদর উপজেলার দক্ষিণ দিঘলদি ইউনিয়ন আাওয়ামী লীগ কতৃক আয়োজিত এক কর্মী সভাবেশ শেষে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এখন আমার মনে হচ্ছে ব্যক্তিগতভাবে খালেদা জিয়া সম্পূর্ণ সুস্থ। কারণ তিনি যদি অসুস্থ হতেন, তাহলে একটা বিশেষায়িত হাসপাতাল বিএমএমএসইউতে কেনো তার চিটিৎসা নিতে অনাগ্রহ? এছাড়াও সেনাবহিনীর সিএমএইচ হাসপাতাল একটা চমৎকার হাসপাতাল, বিখ্যাত হাসপাতাল। এখানে রাষ্ট্রপতি অসুস্থ হলে চিকিৎসা নেন, প্রধানমন্ত্রী চিকিৎসা নেন, সেনা প্রধানরা এখানে চিকিৎসা নেন। উনি ওখানেও চিকিৎসা নেবেন না। তার মানে তিনি যদি অসুস্থ হতেন তাহলে চিকিৎসা নিতে যেতেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু হাসপাতালে গিয়ে যদি তার চিকিৎসার ব্যত্যয় ঘটতো বা চিকিৎসা করা না যেতো তাহলে অন্য কোনো হাসপাতালের প্রশ্ন উঠতো। কিন্তু একটা হাসপাতালের কেনো? এর একটা কারণ আছে, হয়তোবা ওই হাসপাতালে এমন কোনো ডাক্তার আছেন তিনি বলে দিবেন যে তার বিদেশ ছাড়া তার চিকিৎসা হবে না। সুতরাং তাকে বিদেশ নেওয়ার জন্য এটা একটা পাঁয়তারার হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে একটি দুর্ণীতির মামলায় আদালত তাকে সাজা দিয়েছে। উচ্চতর আদালতে তারা আপিল করেছে, এটা আাদালতের সিদ্বান্তে সব বাস্তবায়ন হবে। কারণ এখানে সরকার বা কোনো দল এ ব্যাপারে সিদ্বান্ত নিতে পারে না, পারবে না।
বিএনপি যে দাবি করেছে এই সরকারের পদত্যাগ, তত্ত্বাবধায়ক সরকার, জাতীয় সরকার কোনোটাই বাস্তব সম্মত নয় বলে বাণিজ্যমন্ত্রী আরো বলেন, এর কোনোটা কোনো দিন বাস্তবায়ন হবে না। নির্বাচন হবে সংবিধান অনুসারে, বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকারের অধীনে। বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকার নির্বাচনকালীন দৈনন্দিন কার্য পরিচালনা করবে, নির্বাচনকে পরিচালনা করতে সহায়তা করবে। নির্বাচন কমিশন নির্বাচন পরিচালনা করবে।
বিএনপি যে নির্বাচন কমিশনের যে পদত্যাগের দাবি করেছে তা একটা সার্চ কমিটির মাধ্যমে গঠিত হয়েছে। এ নির্বাচন কমিশনে বিএনপির তালিকা দেয়া সদস্য কমিশনারও আছে। সুতরাং এ নির্বাচন কমিশন সকলের কাছে একটি গ্রহণযোগ্য একটি প্রতিষ্ঠান। কারণ তারা অতীতে নির্বাচন না করে এবং জ্বালাও পোড়াও করে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এবার ভুল করলে তারা আবারো ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলেও মন্তব্য করেন মন্ত্রী।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোশারেফ হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মইনুল হোসেন বিপ্লব, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. কামাল হোসেনসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।আমার বাঁশখালী ডটকম।সূত্র: কারেন্টনিউজ ডটকমডটবিডি।
No comments:
Post a Comment