সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বিষয়ে কেবিনেট সচিবের নেতত্বে একটি কমিটি কাজ করছে। বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতীয় সংসদে বাজেট অধিবেশনে প্রদত্ত ভাষণে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, তবে আমি ধন্যবাদ জানাই বিরোধী দলীয় নেতাকে। তিনি বলেছেন, মুক্তিযোদ্ধা কোটাটা থাকতে হবে। অবশ্যই মুক্তিযোদ্ধাদের জন্যই তো আজ আমরা স্বাধীন। তাদের অবদানেই তো আমরা দেশ পেয়েছি। শেখ হাসিনা বলেন, হঠাৎ দেখলাম আমাদের সব শিক্ষার্থীরা এর বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামলো- এই পদ্ধতি বাতিল করার জন্য।
আমি চিন্তা করলাম হলে যারা থাকে তারা তো এসব গ্রাম থেকেই আসে। তারাই যদি এই পদ্ধতি না চায়, যাদের জন্য করি তারাই যদি না চায়, তাহলে এটি রাখার দরকারটা কি! প্রধানমন্ত্রী বলেন, এজন্য আমি কেবিনেট সেক্রিটারিকে দিয়ে একটি কমিটি গঠন করে দেই।
এটা কীভাবে কার্যকর করা যায় তার জন্য কেবিনেট সেক্রেটারিকে দিয়ে একটি কমিটি করে দেয়া হয়েছে। শেখ হাসিনা বলেন, দেশের মানুষের কল্যাণের কথা চিন্তা করেই আগামী অর্থবছরের বাজেট প্রণয়ন করা হয়েছে। অন্যান্য সরকারগুলোর মতো কতিপয় মানুষের বা গোষ্ঠীর স্বার্থ বিবেচনা করে নয়।
তিনি বলেন, একদা দেশের জনগণ স্বপ্ন দেখতে ভুলে গিয়েছিল। আমাদের অর্থনৈতিক কর্মসূচির ওপর ভরসা করে সে স্বপ্ন এখন আবার তারা দেখতে শুরু করেছে। ২০০১ সালের ঝড়ের পর ২০০৯ সালে আমরা সরকার গঠন করলে সত্যিই মানুষের দিন বদল হতে শুরু করে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগামী এক বছর দেশ কিভাবে চলবে, দেশের মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন কিভাবে হবে তারই প্রতিফলন ঘটেছে এই বাজেটে।
প্রধানমন্ত্রী একটানা ১০টি বাজেট উপস্থানের জন্য অর্থমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘এই বাজেটটি এমন একটি চমৎকার বাজেট যে বাজেট নিয়ে কেউ কোনো কথা বলতে পারবে না।’ রোহিঙ্গা ইস্যু সম্পর্কে শেখ হাসিনা বলেন, মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে তাঁর সরকার মানবিক কারণে আশ্রয় দিয়েছে এবং সর্বোপরি স্থানীয় জনগণের সমস্যা লাঘবেও সরকার সচেতন রয়েছে। এ সময় প্রধানমন্ত্রী দেশব্যাপী চলমান মাদক বিরোধী অভিযান অব্যাহত রাখার পক্ষেও সরকারের অবস্থান ব্যক্ত করেন। আমার বাঁশখালী ডটকম। সূত্র: কারেন্টনিউজ ডটকমডটবিডি।




No comments:
Post a Comment