গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় মাদক বিক্রির সময় এক পুলিশ কনস্টেবল, হাইস্কুল ও প্রাইমারী শিক্ষকসহ সাত জনকে আটক করেছে পুলিশ। অথচ তাদের মাদক সেবনের অভিযোগে ভ্রাম্যমান আদালতে হাজির করা হয় এবং জব্দকৃত মাদকও গায়েব হয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রোববার ভোররাতে একদল পুলিশ অভিযান চালিয়ে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার রামজীবন ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামের ছাগলকাটি মৎস্য খামার এলাকায় ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদক কেনা বেচার সময় লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী থানায় কর্মরত পুলিশ কনস্টেবল ও রামজীবন ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামের আশেক আলীর ছেলে সুমন মিয়া, একই গ্রামের আব্দুল কাদেরের ছেলে এনামুল হক রিজু, সুর্বণদহ গ্রামের আমির উদ্দিনের ছেলে আনিছুর রহমান, মোসলেম আলীর ছেলে আব্দুর রহিম, ঘগোয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও পৌর সভার মুক্তিযোদ্ধা গাওছল রহমানের ছেলে বেলাল উদ্দিন, হাইস্কুল শিক্ষক ও ভবানীপুর গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে মশিউর রহমান ও ভবানীপুর গ্রামের আকবার আলীর ছেলে আব্দুল হান্নানকে আটক করে পুলিশ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক এলাকাবাসি জানায়, পুলিশ কনস্টেবল সুমন মিয়া লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী থানায় কর্মরত হলেও প্রতিদিন তিনি বাড়ি এসে এলাকায় মাদক ব্যবসা চালাতেন। তিনি এই ব্যবসা দীর্ঘদিন ধরে করে আসছেন। সূত্র মতে, পুলিশ সাতজনকে আটক করার সময় প্রচুর পরিমানে ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদক দ্রব্য জব্দ করে থানায় নিয়ে যায়। রোববার ভোর থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত থানায় বসে পুলিশ ও মাদক ব্যবসায়ীদের মধ্যে দফারফা হয়। দিনভর থানার গেট লাগিয়ে রাখা হয়। কোন সংবাদ কর্মীদের থানায় ঢুকতে দেওয়া হয়নি। পরে রাত ৯ টার দিকে আটককৃতদের মাদক সেবনের অভিযোগে ভ্রাম্যমান আদালতে হাজির করা হয়।
সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম আব্দুস সোবহান গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে মাদক বিক্রির অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, পুলিশ কনস্টেবলকে আদিতমারী থানা পুলিশের কাছে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকি ছয় জনকে মাদক সেবনের দায়ে ভাম্যমান আদালতে হাজির করা হলে আদালতের বিচারক এসএম গোলাম কিবরিয়া প্রত্যেকে আট হাজার টাকা করে জরিমানা করেছেন।আমার বাঁশখালী.কম। সূত্র: কারেন্টনিউজ ডটকমডটবিডি।
No comments:
Post a Comment