![]() |
আমার বাঁশখালী.কম, ফাইল ফটো |
আমার বাঁশখালী ডেস্ক:
৪ উপ-সহকারীর পদই শূন্য বাঁশখালী উপ-সহকারী প্রকৌশলীর দায়িত্বে সার্ভেয়ার রাসেল !
বাঁশখালী উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) এর অধীনে প্রায় ৫০ কোটি টাকার উন্নয়নের কাজ চলছে।
এখানে সার্ভেয়ার মছুদুল আলম রাসেলকে উপসহকারী প্রকৌশলী হিসাবে ২ বছর ধরে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
৩টি উপসহকারী প্রকৌশলীর পদের স্থলে রকিবুল ইসলাম ১ বছর দায়িত্ব পালন করার পর তাকেও টেকনাফে বদলি করা হয়েছে।
বাঁশখালী প্রকৌশলী অফিসে সার্ভেয়ার দিয়ে প্রকৌশলীর দায়িত্ব পালন করায় এ.ডি.পি, এলজিএসপি, আরএফকিউ এবং টেন্ডারে আহ্বান করা প্রতিবছর কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে স্কুল ভবন, রাস্তাঘাট, ব্রিজ, কালভার্টসহ উন্নয়ন কর্মকা-ে কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
এদিকে উপজেলার জুন ফাইনালে বিভিন্ন ইউনিয়নে উন্নয়ন খাতে বরাদ্দকৃত টাকা পে-অর্ডারের মাধ্যমে উত্তোলন করে রাখা নিয়ে চেয়ারম্যানদের সাথে বিরোধ সৃষ্টি হয়েছে। এই নিয়ে দু-দফা বৈঠকও হয়েছে। কিন্তু কোন সমাধান হয়নি।
জানা যায়, বাঁশখালী উপজেলায় ১৪টি ইউনিয়নে প্রায় ৫ লক্ষ মানুষের যাতায়াতের জন্য এলজিইডি প্রকৌশল অধিদপ্তর অধীনে দাতা সংস্থার অর্থায়নে ও সরকারের রাজস্ব তহবিল থেকে এডিপি, এলজিএসপি, আরএফকিউ এবং টেন্ডারে গ্রামীণ সড়ক কার্পেটিং, ব্রিজ, কালভাট, স্কুল ভবন নির্মাণ করা হয়ে থাকে। প্রতি বছর সরকারি ভাবে ২০১৫-১৬, ২০১৬-১৭, ২০১৭-১৮ইং অর্থবছরে বাঁশখালী উপজেলার এলজিইডি (প্রকৌশলী) অধিদপ্তর থেকে ও দাতা সংস্থার মাধ্যমে ২০/২৫ কোটি টাকার বরাদ্দ দেওয়া হয়ে থাকে। গত অর্থ বছরেও বাঁশখালী উপজেলায় প্রায় ৫০ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে।
তম্মধ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয় নতুন ভবন নির্মাণ প্রায় ৩০ কোটি টাকা, উপজেলা প্রশাসনিক ভবন ৬ কোটি টাকা, বামের ছড়া বাধ নির্মাণ ৪ কোটি টাকা, ছনুয়া শেখেরখীল সড়ক ৬ কোটি টাকা, ছনুয়া সরল্ল্যা বাজার মাদ্রাসা সড়ক ৫ কোটি টাকা, কাথারিয়া চুনতি বাজার সড়ক ১.৫ কোটি টাকা উল্লেখযোগ্য কাজ চলমান রয়েছে। এছাড়াও উপজেলা পরিষদ থেকে রিকুয়েস্ট ফর কোটেশন (আরএফকিউ), দাতা সংস্থার অর্থায়নে এলজিএসপি এডিপি ও রাজস্ব তহবিল থেকে রাস্তা ঘাটের ব্যাপক উন্নয়ন কাজ করে থাকে। গত দেড়/দুই বছর পূর্বে উপজেলা প্রকৌশলী শাহ আলম বদলী হওয়ার পূর্বে ৪জন উপ-সহকারী প্রকৌশলী থাকলেও বর্তমানে এই পদটি শূন্য হয়ে গেছে।
তবে সার্ভেয়ার কখনো উপ-সহকারী প্রকৌশলীর দায়িত্ব পালন করতে পারেন না। বাঁশখালী উপজেলা প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলাম ভূ্ইঁয়া বলেন, বাঁশখালী উপজেলায় উন্নয়নের জন্য প্রতি বছর এলজিইডি প্রকৌশলী বিভাগসহ বিভিন্ন কাজে ১৫/২০ কোটি টাকা বরাদ্দ থাকে। কোন কোন কাজ দেরী হয়ে যায়। উপ-সহকারী প্রকৌশলী না থাকার কথা তিনি স্বীকার করেন। এলাকার উন্নয়ন কাজ সঠিক ভাবে হচ্ছে বলে দাবি করেন। সূত্র: দৈনিক পূর্বকোণ।
এলেকার কাজ মোটেও ভাল হচ্ছে না। যার প্রমাণ সাধনপুর জাকেরুল হক সড়কে একটি কালভার্ট নির্মান হয়েছে খুবই নিন্ম মানের। কালভার্টের উপরিভাগে এখনো রট দাড়িয়ে আছে। অন্য দিকে সিংহ বাড়ির ঘাটা থেকে ব্রাম্মণ পাড়ার টেক পর্যন্ত কার্পেটিং কাজে হয়েছে ব্যাপক অনিয়ম।
ReplyDeleteধন্যবাদ, সুন্দর ও সত্য তথ্য প্রদান করায়।
Delete