বঙ্গোপসাগর উত্তাল, ভয়াভহ বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা করছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত লঘুচাপটি উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর তৎসংলগ্ন উপকূলীয় এলাকায় অবস্থান করছে। যার ফলে সাগর উত্তাল রয়েছে। আজ সোমবার (৯ জুলাই) দুপুরে এটি ভারতের ওডিশা ও বিহার এলাকায় অবস্থান করছে।
এ কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, লঘুচাপের কারণে উত্তর বঙ্গোপসাগর, উপকূলীয় এলাকা এবং বন্দরসমূহের ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। যদিও স্থলভাগে চলে আসায় লঘুচাপটি স্থল নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে যাবে বলেও মনে করছে তারা। তবে বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে চট্টগ্রাম, টেকনাফসহ উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো বৃষ্টিপাত হতে পারে।
পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত মাছ ধরা নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে গভীর সাগরে চলাচল করতে নিষেধ করেছে আবহাওয়া অধিদফতর।
সকালে আবহাওয়া অধিদফতর পূর্বাভাসে বলা হয়, মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় রয়েছে। এটি উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে। এ কারণে খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও ঢাকা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী তিন দিন এই আবহাওয়ার সামান্য পরিবর্তন হতে পারে।
ভারী বর্ষণ হলেও পাহাড় ধস বা নদী বন্দরগুলোতে কোনো সতর্কতা নেই। আবহাওয়ার এই অবস্থা বৃহস্পতিবার সকাল নাগাদ পরিবর্তন হবে।
গতকাল সকাল ছয়টা থেকে আজ সকাল ছয়টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে কক্সবাজারে টেকনাফে- ১১৪ মিলিমিটার। বিভাগীয় শহরের মধ্যে রাজধানী ঢাকায় ৩, ময়মনসিংহে ৭, চট্টগ্রামে ১৩, সিলেটে ৩, খুলনায় ৫ ও বরিশালে ১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিফতর।আমার বাঁশখালী.কম। সূত্র: কারেন্টনিউজ ডটকমডটবিডি।
No comments:
Post a Comment