![]() |
আমার বাঁশখালী ডেস্ক:
বাঁশখালী উপজেলার চাম্বল বাংলাবাজার সড়ক ও পুঁইছড়ি ইউনিয়নের সরল্ল্যা বাজার সড়ক দুটি ভেঙে গিয়েযানবাহন চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ছোট যানবাহনগুলি চলাচল করলেও ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধথাকায় ৬ ইউনিয়নের ২ লক্ষ মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
পুঁইছড়ি ইউনিয়নের প্রেমবাজার হতে সরল্ল্যা বাজারপর্যন্ত সাড়ে ৪ কিলোমিটার সড়ক ও চাম্বল ইউনিয়নের বারীর হাট থেকে গন্ডামারা সীমান্তে বাংলাবাজার পর্যন্ত৪ কিলোমিটার সড়ক ভেঙে গিয়ে গর্ত ও খানান্ডখন্দে পরিণত হয়েছে।
এই সড়ক দিয়ে পেকুয়া উপজেলাররাজাখালী, বারবাকিয়া, মগনামা, বাঁশখালীর ছনুয়া, গন্ডামারায় পায়ে হেঁটে ও ছোট যানবাহনে ২ লক্ষ মানুষযাতায়াত করে থাকেন।
গন্ডামারায় ও ছনুয়া রাজাখালীর হাজার হাজার লবণ ব্যবসায়ী দীর্ঘদিন থেকে লবণ ওচিংড়ি উৎপাদন করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। এই সড়ক ভেঙে গিয়ে যোগাযোগের অনুপযোগী হওয়ায়স্কুল–কলেজের শিক্ষার্থী, হাট–বাজার যাতায়াতকারী নারী–পুরুষদের সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
সরল্যা বাজারের ব্যবসায়ী আবু বক্কর জানালেন, এই সড়কটি সংস্কারের জন্য কেউ নেই। দীর্ঘ দু’বছর ধরেসড়কটি ভেঙে গেছে। গর্ত ভরাট করার জন্য কোন লোক কাজ করতে দেখা যায়নি।
সড়কের কারণেব্যবসায়ীরা বাজারে আসতে চায় না।
বাংলাবাজারের মাছ ব্যবসায়ীরা এই সড়কটি আরব্যবহার করছে না। বিকল্প সড়ক দিয়ে প্রতিদিন শহরে যাতায়াত করছেন।
স্কুলছাত্র কামাল হোসেন ও জসিমউদ্দিন বলেন, এই সড়কটি ভেঙে গেছে দীর্ঘদিন। সিএনজিচালিত ট্যাক্সিই যাতায়াতে একমাত্র ভরসা। একদিনগাড়িযোগে আসা–যাওয়া করলে শরীর ব্যথা হয়ে যায়। এজন্য পায়ে হেঁটে হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করেথাকেন।
মাছ ব্যবসায়ী মফিজুর রহমান বলেন, বাংলাবাজার থেকে দৈনিক ১৫–১৮টি ট্রাক চট্টগ্রাম শহরে মাছপরিবহন করে থাকে। সড়কটি ভেঙে যাওয়ায় ব্যবসায়ীদের কষ্ট হচ্ছে। পুঁইছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য জহিরুল ইসলাম বলেন, সরল্ল্যা বাজার সড়কটি সংস্কার বেশি প্রয়োজন।প্রতিদিন এই সড়কে যানবাহন দুর্ঘটনা ঘটছে।
ব্যবসায়ীরা ভারী যানবাহন নিয়ে চলাচল করতে পারে না।ছাত্রছাত্রীদের আসা যাওয়ার ক্ষেত্রে দুর্ভোগের অন্ত নেই। চাম্বল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চৌধুরী বলেন, বাংলাবাজার সড়কটি দিয়ে যাতায়াতেমানুষের দুর্ভোগের কথা তুলে ধরে সংস্কারের জন্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছে। কিছুদিনের মধ্যে পরিমাপহতে পারে।
No comments:
Post a Comment