গণহত্যা বিষয়ে জাতিসংঘের প্রতিবেদন মিয়ানমারের প্রত্যাখ্যান - আমার বাঁশখালী ডটকম AmarBanskhali.Com

ব্রেকিং নিউজ

শীর্ষ বিজ্ঞাপন

নিউজ এর উপরে বিজ্ঞাপন

Wednesday, August 29, 2018

গণহত্যা বিষয়ে জাতিসংঘের প্রতিবেদন মিয়ানমারের প্রত্যাখ্যান


আমার বাঁশখালী.কম.ডেক্স রিপোর্টার মোঃ রোবেল.
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা গণহত্যায় অভিযুক্ত করে জাতিসংঘের দেওয়া তদন্ত প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে মিয়ানমার।জাতিসংঘের স্বাধীন আন্তর্জাতিক ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের একটি তদন্ত দল ওই প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনে দেশটির সেনাপ্রধানসহ শীর্ষ সেনা কর্মকর্তাদের অভিযুক্ত বলে চিহ্নিত করেছে।
২৭ আগস্ট, সোমবার জাতিসংঘের মিয়ানমার-বিষয়ক স্বাধীন আন্তর্জাতিক তথ্যানুসন্ধান মিশন জেনেভার জাতিসংঘ দফতরে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে।প্রতিবেদনে বলা হয়, গণহত্যার উদ্দেশ্যেই মিয়ানমার সেনাবাহিনী রাখাইনে অভিযান চালিয়েছিল। অভিযানের সময় সেনারা সেখানে নির্বিচার হত্যা, ধর্ষণ ও অগ্নিসংযোগ করেছে।
প্রতিবেদনে দেশটির সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাইংসহ শীর্ষ ছয় সেনা কর্মকর্তাকে বিচারের মুখোমুখি করতেও দাবি জানানো হয়।এ ছাড়া তদন্তে দেশটির স্টেট কাউন্সিলর অং সান সুচি সেনাবাহিনীর লাগাম টানতে ব্যর্থ হয়েছেন বলেও উল্লেখ করা হয়। গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত এক বছর মাঠপর্যায়ে কাজ করে অন্তত ৮৭৫ জন রোহিঙ্গার সঙ্গে সাক্ষাতকার, ভিডিও ফুটেজ, স্যাটেলাইট চিত্র ব্যবহার, সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা, গবেষক ও কূটনীতিকদের সঙ্গে অন্তত আড়াইশ’ বৈঠক ইত্যাদির পর জাতিসংঘের মিশনটি এ প্রতিবেদন দেয়। এ সময় তথ্যানুসন্ধানী মিশনের সদস্যরা বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড ও যুক্তরাজ্য সফর করেছেন।
 ২০১৬ সালের অক্টোবরে রোহিঙ্গাদের ওপর নৃশংসতার পরিপ্রেক্ষিতে জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদ ওই তথ্যানুসন্ধানী মিশন গঠন করেছিল। কিন্তু জাতিসংঘের ওই তদন্ত প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে মিয়ানমার সরকারের মুখপাত্র এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমরা এফএফএম (দ্য ইউএন ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন) সংস্থাকে মিয়ানমারে প্রবেশের অনুমতি দেইনি। তাই মানবাধিকার সংস্থার কোনো প্রতিবেদন আমরা গ্রহণ করতে পারছি না এবং তাদের দেওয়া কোনো সমাধানও আমরা মেনে নিচ্ছি না।’ ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট রাখাইনে রোহিঙ্গা নিধন অভিযান শুরু হলে প্রাণ বাঁচাতে মরিয়া রোহিঙ্গাদের ঢল নামে বাংলাদেশে।
ইতোমধ্যে কক্সবাজারে এখন নিবন্ধিত রোহিঙ্গার সংখ্যা ১১ লাখ ১৮ হাজার ৫৭৬ জন। এর মধ্যে শুধু ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর থেকে এসেছেন সাত লাখ দুই হাজার। অন্যরা বিভিন্ন সময়ে সেনা অভিযানের কারণে আগে থেকেই বাংলাদেশে অবস্থান করছিল। নেট সূত্র....

No comments:

Post a Comment

পোস্টের নীচে বিজ্ঞাপন