![]() |
আমার বাঁশখালী.কম, নিজস্ব প্রতিবেদক:
দীর্ঘদিন যাবৎ চট্টগ্রামেরঐতিহ্যবাহী দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আল জামিয়া আল ইসলামিয়া জলদী মাখজনুল উলুম (বাইঙ্গাপাড়া) বাঁশখালী বড় মাদ্রাসার চলমান সংকট সমস্যা সমাধান নিরসনের লক্ষে এক জরুরী আলোচনা দিক নির্দেশনা মুলক সভা মাদ্রাসা কার্যালয় সোমবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০ টায় হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মুহতারাম আমীর, দারুল উলূম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারীর মহাপরিচালক ও কওমী মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড (বেফাক) চেয়ারম্যান শায়খুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফী (দাঃবাঃ) সভাপতিত্বে অনুষ্টিত হয়।”
এতে মজলিশে শুরার সদস্য বৃন্ধ সহ উপস্থিত ছিলেন,চাম্বল দারুল উলুম অাইনুল ইসলাম মাদ্রাসার পরিচালক পীরে কামেল আল্লামা শাহ আব্দুল জলিল,পুকুরিয়া মাদ্রাসার পরিচালক আল্লামা হাফেজ নুর আহমদ,আল জামিয়া ইসলামিয়া পটিয়া মাদ্রাসার মুহাদ্দিস আল্লামা জাহেদ উল্লাহ বিন শেখ ইউনুস,রাঙ্গুনিয়া মেহেরিয়া মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা ইসহাক নুর,নাছিরাবাদ মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা আব্দুল জাব্বার,বাহারছড়া মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা নুর মুহাম্মদ, হাটহাজারী মাদ্রাসার সহকারী নাজেমে তালীমাত মাওলানা আনাছ মাদানী,ছনুয়া মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা আবু তৈয়ুব কাছেমী,কারী মুবিন,মাদ্রাসার প্রতিষ্টাতা পরিচালকের পুত্র মাওলানা হাসান আহমদ,মাওলানা ছাবের আহমদ,পশ্চিম পটিয়া আশরাফুল উলুম মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা মাহবুবুর রহমান,জুমহুরিয়া মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা শফিকুল ইসলাম,সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা হাফিজুর রহমান,জলদী মাদ্রাসার সাবেক সহকারী পরিচালক মাওলানা ইলিয়াছ,মাওলানা আব্দুর রহমান,হেফাজত আমীরের একান্ত সচিব মাওলানা মুহাম্মদ শফী,মাওলানা মুহাম্মদ ইসমাঈল,কাজী মুহাম্মদ মনছুরুল হক,হেফাজত নেতা মাওলানা মুঈনুদ্দীন রুহী,আল ফারুক মাদ্রাসার সহকারী পরিচালক মাওলানা নছিম প্রমূখ। ”
সূত্র মতে,দক্ষিণ চট্টগ্রামেরঐতিহ্যবাহী দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠা আল জামিয়া আল ইসলামিয়া জলদী মখজনুল উলুম (বাইঙ্গাপাড়া) বাঁশখালী বড় মাদ্রাসাটি ১৯২৮ ইং সনে বাঁশখালী পৌরসভা নিবাসী বিশিষ্ট আলেমেদ্বীন পীরে কামেল মরহুম মাওলানা মোহাম্মদ আলীর সাহেব প্রতিষ্টিত এই মাদ্রাসাটি দীর্ঘ দিন যাবৎ সুন্দর সুষ্ট ভাবে পরিচালনা হয়ে আসছিল।সর্বশেষ ১৯৮৮ সালে মাখজুনুল উলুম মাদরাসার মুহতামিম তথা পরিচালকের দায়িত্ব নেন মাওলানা আবদুস সোবহান।” সম্প্রতি এই মাদরাসা পরিচালনায় নানা দূর্নীতি ও নিয়ম বহিঃর্ভূত কাজের কারণে ঐতিহ্য হারাতে বসেছে। শিক্ষার্থী শুন্য হয়ে পড়েছে মাদরাসাটি।”
দীর্ঘদিন যাবৎ বাঁশখালীর এই মাদ্রাসাটির অর্থ আত্বসাৎ ও মাদ্রাসার অব্যবস্থাপনা রোধে সকলকে সর্তক থাকার আহবান করলেন হেফাজত আমীর ও কওমী মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড (বেফাক) চেয়ারম্যান। মাদ্রাসার যাবতীয় সম্পদ মাদ্রাসা ফিরে দেওয়ার জন্য সাবেক পরিচালক পরিবারের প্রতি তিনি আহবান জানান।”
পাশাপাশি এই মাদ্রাসাটা নিয়ে কোন ধরনের ষড়যন্ত্র না করার জন্য হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন।বাঁশখালীর সকল কওমী মাদ্রাসা ও এলাকার হাজার হাজার জনগণের সর্বসম্মতিক্রমে উক্ত মাদ্রাসা পরিচালনার দায়িত্ব নিলেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মুহতারাম আমীর, দারুল উলূম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারীর মহাপরিচালক ও কওমী মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড (বেফাক) চেয়ারম্যান শায়খুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফী দাঃবাঃ।
মাখজুনুল উলুম মাদরাসার আর্থিক কেলেঙ্কারীর অভিযোগটি দীর্ঘদিনের।”উল্লেখ্য যে মাদরাসার মুহতামিম মরহুম মাওলানা আবদুস সোবহান মধ্যপ্রাচ্য থেকে কোটি কোটি টাকা অনুদান সংগ্রহের কয়েক বছরের মধ্যেই মাদরাসায় আর্থিক কেলেঙ্কারীর বিষয়টি উঠে আসে। তারই জিবদ্দশায় তার তৃতীয়কন্যা উম্মে হাবীবা (স্বামী- মাও ইসহাক) নানা কৌশলে পিতার কাছ থেকে স্বাক্ষর নিয়ে তার মৃত্যু পরবর্তী মাদরাসার একাউন্ট থেকে ব্যাক্তিগত স্বার্থে কোটি কোটি টাকা উত্তোলন করে। পরবর্তীতে বিষয়টি জানতে পেরে এলাকাবাসীর দাবীর প্রেক্ষিতে বাঁশখালীর সকল কাওমী শিক্ষাপ্রতিষ্টানের সকল মোহতামিমগণ বাংলাদেশ কওমী মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড (বেফাক) এর চেয়ারম্যান ও হেফাজত আমির আল্লামা আহমদ শফির স্বরনাপর্ণ হন।তিনি সামগ্রীক বিষয়ে অবহিত হওয়ার পর এই জরুরী মজলিসে শুরা অধিবেশন করেন।” তিনি ওলামায়ে কেরাম ও এলাকাবাসীদের উদ্যেশ্যে বলেন- ঐতিহ্যবাহী এই মাদরাসাটি আর্থিক কেলেঙ্কারিতে জর্জরিত। এই মাদরাসার সকল দায়ীত্ব এখন আমার। আমি মোহতামিমের সকল দায়িত্ব গ্রহণ করলাম।”
তাছাড়া এলাকাবাসীদের উদ্যেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা এই দ্বীনি প্রতিষ্টানকে অার্থিক সহযোগীতা ও পরামর্শ প্রদান করবেন। যে বা যারা প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করছে তাদের বিচার আমি করার অধিকার রাখি কিন্তু আমি করবোনা।”
কেয়ামতের দিন এর বিচার আমি আল্লাহকে দিব।দূর্ষ্কৃতকারীদের ইন্ধনে একটি দ্বীনি প্রতিষ্ঠান ধ্বংস কিছুতেই ধ্বংস হতে পারেনা।”
উপস্থিত স্হানীয় জনতাকে লক্ষকরে আল্লামা শফী বলেন, আপনারা ওয়াদা করেন , যে প্রত্যেকের অন্তত একটি ছেলেকে হাফেজ,আলেম, মুহাদ্দিস বানাবেন। কওমী মাদ্রাসায় লেখা পড়া করে কেউ বেকার থাকেনা। কেউ উপবাস থাকেনা। রিজিকের মালিক আল্লাহপাক । তিনি কাউকে উপবাস রাখেননা। নিজেকে একটি কওমী মাদ্রাসার পরিচালক উল্লেখ করে আল্লামা শফী আরো বলেন, আমি আপনাদের নিকট ভিক্ষা চাইতেছি , অন্তত একটি ছেলেকে মাদ্রাসায় দিন! বর্তমানে ৯০ বছর বয়সে উপনিত হয়েছি কোন দিন কাপড় ক্রয় করিনি। উপবাস থাকিনী। ফারিগীন আলেম উলামাদের উদ্দেশ্যে হাজার হাজার আলেমের উস্তাদ বয়োবৃদ্ধ এই আলেমে দ্বীন স্বীয় মুর্শিদসায়্যিদ হোসাইন আহমদ মাদানীর স্মৃতিচারণ করে বলেন, আমি অসুস্থ শরীর নিয়ে আপনাদের বাঁশখালীতে এই মাদ্রাসাটি রক্ষা করার জন্য এসেছি শুধু কওমী মাদ্রাসার প্রতি ভালবাসার কারনে।”
তিনি আরো বলেন,প্রতিটি মুসলমানকে হালাল-হারাম বেচে চলতে হবে। ইসলামী শরীয়তে যে সব বিষয় হারাম করা হয়েছে এসব থেকে নিজেকে মুক্ত রাখতে হবে।যারা মাদ্রাসার টাকা আত্বসাথ করেছেন তারা দেশ ও জাতির শত্রু।”আমার বাঁশখালী ডটকম।
No comments:
Post a Comment