বাঁশখালীতে উপজেলা ও ইউপি চেয়ারম্যানের দায়িত্বহীনতায় যে কোন মুহুর্তে ঘটতে পারে রক্তক্ষয়ি সংঘর্ষের ঘটনা!

আমার বাঁশখালী.কম, নিজস্ব প্রতিবেদক:

বাঁশখালী উপজেলার খানখানাবাদ ইউনিয়নের পূর্ব রায়ছটা গ্রামের মহুরি বাড়ীর প্রায় ১০০ বছরের পুরানা একটি চলাচল পথ নিয়ে চলছে বিগত ২ বছর যাবত স্থানীয় ফজল কাদের, রশিদ আহম্মদ ও আলম নুরদের ৩ গ্রুপের রশি টানাটানি চলে আসছে। এতে দুর্ভোগে শিকার হচ্ছে উক্ত বাড়ির প্রায় ১০-১২ টি পরিবারের সদস্যসহ মাদ্রসা পড়ুয়া শির্ক্ষাথীরা।

বিষয়টি নিয়ে বাঁশখালী নিউজ সহ স্থানীয় সংবাদ মাধমে সংবাদ প্রকাশ হয়। "সরকারি চলাচল পথে ব্যক্তিগত হস্তক্ষেপ" এবং "খানখানাবাদে রশিদ ও ফজলের দ্বিমুখি টেলাটেলির চাপায় অতিষ্ঠ স্থানীয়রা" শিরোনামে পৃথক পৃথক সংবাদও প্রকাশ করা হলে বাঁশখালী উপজেলা চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম ও খানখানাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান বদরু উদ্দিন দুই জনপ্রতিনিধিই বাঁশখালী নিউজের ফেসবুক ফ্যান পেইজে কমেন্ট করে জানান, তাদেরকে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হলে তারা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। পরে ভুক্তভোগীদের পক্ষ তাদের লিখিত ভাবে অভিযোগ দেওয়া হয়, অভিযোগের প্রেক্ষীতে ইউপি চেয়ারম্যান ঘটনাস্থলে এসেও কোন সুরহা করতে পারেন নাই।

স্থানীয় সূত্র জানা যায়, ইউনিয়নের পূর্ব রায়ছটা গ্রামের মহুরি বাড়ীর প্রায় ১০০ বছরের পুরানা একটি চলাচল পথ নিয়ে  বিগত ২ বছর যাবত স্থানীয় ফজল কাদের, রশিদ আহম্মদ ও আলম নুরদের ৩ গ্রুপের বিরোধ। বিষয়টি নিয়ে কয়েক দফাই আলাপ আলোচনা হলেও কোন সমধান হয়নি,  যে কোন মুহুর্তে ঘটতে পারে রক্তক্ষয়ি সংঘর্ষের ঘটনা।

এব্যাপারে বাঁশখালী উপজেলা চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম মোবাইল মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে, বিষয়টি শুনে তিনি মুঠোফোনের লাইন কেটে দেন।

খানখানাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান বদরু উদ্দিনের মুঠোফোনে যোগযাযোগের চেষ্টা করা হলে, তিনিও বিষয়ে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করে লাইন কেটে দেয়। পরে অনেকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তারা ফোন রিসিভ না করে বিষয়টি এড়িয়ে যাচ্ছেন।