আমার বাঁশখালী.কম (ডেক্স রিপোর্টার):
মোহাং রোমান চৌধুরী
ঝিনাইদহে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশীদ ওরফে জব্বার এর জীবন চলে চা
বিক্রি করে। আব্দুর রশীদ এর বর্তমান বাড়ি ঝিনাইদহের হরিনাকুন্ড উপজেলার
মথুরাপুর গ্রামে।
অশ্রু ভেজা কন্ঠে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশীদ বলেন, ১৯৭১ সালে
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর নির্দেশে দেশকে স্বাধীন করার জন্য মুক্তি
যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ি, পাকিস্থান আমলে আমি আনসার বাহীনিতে চাকুরী পাই। আনসারের
ট্রেনিং শেষ করে বাড়ি ফেরার ১৫ দিন পর মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করি। সেই সময়
আমার কমান্ডার ছিলেন ভোলা ভাই।
তিনি জানান, পিয়ার পুরে পাকিস্থানী ক্যাম্পে হানা দেওয়ার সময় শহীদ হন ভোলা ভাই। তারপর আমি চলে যাই রতি ডাঙ্গার কমান্ডার মোস্তফা ভাইয়ের সাথে। এবং সেখান থেকে মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করি তার সাথে।
তিনি জানান, পিয়ার পুরে পাকিস্থানী ক্যাম্পে হানা দেওয়ার সময় শহীদ হন ভোলা ভাই। তারপর আমি চলে যাই রতি ডাঙ্গার কমান্ডার মোস্তফা ভাইয়ের সাথে। এবং সেখান থেকে মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করি তার সাথে।
কমান্ডারের নির্দেশে, জোহা ভাইয়ের সাথে কুষ্টিয়ার গোবরা চাদপুর
মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্পে যোগদান করি। এবং পাকিস্থানি হায়নার সাথে সম্মুখ
যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করি। দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধের পর স্বাধীন হয় বাংলাদেশ।
মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করা আমার সকল সনদ ১৯৮৭ সালে নিজ বাড়িতে আগুন লেগে
ভষ্মিভূত হয়। তারপর থেকেই ঘুরছি। দেখার কেউ নেই। ২০১৭ সালে মুক্তিযোদ্ধাদের
যাচাই বাচাইয়ের নামের তালিকায় ইউএনও মহোদয়ের মাধ্যমে সকল ডকুমেন্ট
পাঠিয়েছি ঢাকায়।
ঝিনাইদহের হরিনাকুন্ডু মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মহিউদ্দিন মাস্টার বলেন,
যুদ্ধ চলাকালীন সময় জব্বার ঝিনাইদহ সীমানা থেকে কুষ্টিয়া জেলা গোবরা চাদপুর
মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্পে যোগদান করেন। আব্দুর রশীদ ওরফে জব্বার ছিলেন একজন
প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা। তিনি আরও বলেন ,জেলার হরিনাকুন্ডু উপজেলার
মুক্তিযোদ্ধা কোম্পানী কমান্ডার ছিলেন আব্দুর রহমান আব্দার। তার নেতৃত্বে
আমরা হরিনাকুন্ডু উপজেলায় ২০৪ জন মুক্তিযোদ্ধা যুদ্ধ করেছিলাম।
ঝিনাইদহ বীর মুক্তিযোদ্ধা জেলা কমান্ডার মকবুল হোসেন জানান, যাচাই বাচাইয়ের কাগজপত্র মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রাণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
No comments:
Post a Comment