স্ত্রীকে খুন করে সেই ছবি ফেসবুকে দেওয়ার অপরাধে শুক্রবার মিয়ামির এক আদালত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেছে। ২০১৩ সালে দোষীসাব্যস্ত ওই ব্যক্তি স্ত্রীকে খুন করে তাঁর রক্তাক্ত দেহের ছবি ফেসবুকে দিয়ে দেন। পাশাপাশি নিজের নৃশংস অপরাধের কথা ফেসবুকেই স্বীকার করেন স্বামী। আইবিএন-এর খবরে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
২০১৩ সালের আগস্টে জেনিফার অ্যালফান্সোকে নিজেদের রান্নাঘরে গুলি করে খুন করেন স্বামী ডেরেক। গত বছরই (২০১৫) ৩৩ বছরের ডেরেক মেডিনাকে খুনের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। প্রথমে আদালতের সামনে ডেরেক দাবি করেছিলেন, তার স্ত্রী তার ওপর ছুরি নিয়ে হামলা চালাতে এসেছিল, নিজেকে বাঁচাতেই তিনি গুলি করেন জেনিফারকে। এছাড়াও ডেরেকর দাবি ছিল তাঁর ওপর দীর্ঘদিন ধরে মানসিক নির্যাতন চালাচ্ছিলেন তাঁর স্ত্রী। তবে ডেরেকের এই সমস্ত দাবি গ্রাহ্য করেনি আদালত।
এই মামলা মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল কারণ, পুলিশের কাছে আত্মসমর্পন করার আগে ফেসবুকেই তিনি নিজের দোষ স্বীকার করেন। সেখানে নিজের স্বপক্ষে তিনি লেখেন, স্ত্রী তাঁর ওপর দীর্ঘসময় ধরে অত্যাচার চালাচ্ছিল। অত্যাচার থেকে বাঁচতে তিনি যা করেছেন ঠিক করেছেন। তিনি লিখেছিলেন, ‘আমি আমার স্ত্রীকে খুন করার জন্য কারাগারে যাচ্ছি। আমার মৃত্যুদণ্ডও হতে পারে। তোমাদের আমি ভালোবাসি। তোমাদের মঙ্গল কামরা করি। ভালো থেক ফেসবুক বন্ধুরা।’
তবে আদালত দোষী সাব্যস্তকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেছে। বিচারক তার মন্তব্যে বলেছেন, ‘আপনি নিজেই আপনার ভবিষ্যত নষ্ট করেছেন। ফেসবুকে আপনি কারাগারে যাওয়ার কথা বলেছিলেন। সেটাই বাস্তব হলো।’ সূত্র: আইবিএন
No comments:
Post a Comment