![]() |
চট্টগ্রামের বাকলিয়ায় নিজ বাসায় শিশু ইলহাম খুনের রহস্য উদঘাটন হয়নি, থানা পুলিশের পাশাপাশি নগর গোয়েন্দা পুলিশ ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন কাজ করছেদন্ত করছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন। পুলিশ খুব আশাবাদি,অল্প সময়েই এখুনের রহস্য বের করতে পারবে তারা।
অবুঝ মেয়েটি কি এমন দোষ করেছে তাকে জবাই করে মেরে ফেলতে হবে। খুবই লাজুক ছিল আমার মেয়েটি। চলাফেরা, কাজকর্ম সবকিছুতেই তার কেমন জানি ধীরগতি ছিল। গ্রামে কিংবা শহরে আমাদের সাথে কারো শত্রুতা ছিল না। কেন এমন হলো তা কিছুতেই বুঝতে পারছি না। আশা করবো আমার মেয়ের হত্যাকারীকে পুলিশ খুঁজে বের করবো। নিজে খুব বেশি লেখাপড়া করতে পারিনি। প্রবাস জীবনের কষ্টার্জিত অর্থ দিয়ে চার ভাই মিলে বাকলিয়ার ভবনটি নির্মাণ করেছি বেশ কয়েকবছর আগে। বড়ই আশা ছিল মেয়েটিকে ডাক্তার বানাবো। কান্নজড়িত কণ্ঠে কথাগুলো বলছিলেন বাকলিয়া নিজের ঘরে খুন হওয়া শিশু ইলহামের বাবা নাসির উদ্দিন।
শিশু ইলহাম খুনের রহস্য উদঘাটন হয়নি। কি কারণে শিশুটি খুনের শিকার হয়েছে তা জানতে থানা পুলিশের পাশাপাশি নগর গোয়েন্দা পুলিশ ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন কাজ করছে।
গত বুধবার সকালে বাকলিয়া সৈয়দ শাহ রোডের ল্যান্ডমার্ক আবাসিক এলাকার এমএস লায়লা ভবনের ষষ্ঠ তলায় নিজেদের ঘরে জবাই করে হত্যা করা হয় ইলহামকে। বাকলিয়া থানার পরিদর্শক (ওসি) প্রণব কুমার জানান, শিশু হত্যার বিষয়টি আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। সিনিয়র কর্মকর্তারাও বিষয়টি তদারকি করছেন। আশা করছি, দ্রুত সময়ের মধ্যে মধ্যে ভাল খবর দিতে পারবো।
ইলহাম হত্যায় মামলা হয়েছে কিনা প্রসঙ্গে ওসি বলেন, ময়না–তদন্তের পর ধর্মীয় বিষয়াদি নিয়ে পরিবারের সদস্যরা ব্যস্ত ছিলেন। বৃহস্পতিবার রাতে মামলা দায়ের করা হয়।
নিহত ইলহামের বাবা নাসির দীর্ঘদিন ধরে সৌদিআরব প্রবাসী। বৃহস্পতিবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে নাসির জানান, সন্তানদের লেখাপড়ার সুবিধার্থে স্ত্রী সন্তানদের গ্রামে না রেখে শহরে রেখেছি। নিজের সুখের দিকে না তাকিয়ে বছরের পর বছর ধরে প্রবাসে রয়েছি। পরিবার নিয়ে আমি বেশ সুখেই ছিলাম। আমার অবুঝ মেয়েটি কি এমন দোষ করেছে তাকে জবাই করে মেরে ফেলতে হবে।
নাসির বলেন, বছরের অধিকাংশ সময় সৌদিআরবেই থাকি। ব্যবসা বাণিজ্য করি। মাঝে মাঝে দুই–চার মাসের জন্য দেশে আসি। বাসার কাছেই সন্তানগুলো ভাল স্কুলে পড়ে। বেশ ভালোই ছিলাম। অনেক স্বপ্নের জাল বুনেছিলাম প্রথম সন্তানকে নিয়ে। সবকিছুই আমার এলোমেলো হয়ে গেলো।





No comments:
Post a Comment