বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ নৌ-টহল শুরু - আমার বাঁশখালী ডটকম AmarBanskhali.Com

ব্রেকিং নিউজ

শীর্ষ বিজ্ঞাপন

নিউজ এর উপরে বিজ্ঞাপন

Thursday, June 28, 2018

বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ নৌ-টহল শুরু


বঙ্গোপসাগরে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ ও ভারতের নৌবাহিনী দুদেশের সমুদ্রসীমার নির্ধারিত এলাকায় যৌথ টহল শুরু করতে যাচ্ছে। বাংলাদেশ এবং ভারতীয় নৌবাহিনীর জাহাজ ও টহল বিমানের (মেরিটাইম পেট্রল এয়ারক্রাফট) অংশগ্রহণে আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের জলসীমা থেকে এই টহল শুরু হবে।

আগামী ৩ জুলাই ভারতের বিশাখাপত্তমে পৌঁছে টহল শেষ হবে। সমুদ্র এলাকায় অবৈধভাবে মৎস্য আহরণ, চোরাচালান ও মানব পাচার, জলদস্যুতা ও সন্ত্রাসবাদ এবং মাদক পাচারসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ড নিরসনের লক্ষ্যে এ যৌথ টহল পরিচালিত হবে।
এ উপলক্ষে গতকাল বুধবার চট্টগ্রামে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জাহাজ (বানৌজা) ঈশাখানের এসএমডব্লিউটি মিলনায়তনে যৌথ টহলের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল নিজামউদ্দিন আহমেদ ও ভারতীয় নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল সুনীল লানবা। যৌথ এ টহলে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর দুটি যুদ্ধজাহাজ ও এমপিএ এবং ভারতীয় নৌবাহিনীর দুটি যুদ্ধজাহাজ ও এমপিএ অংশগ্রহণ করবে। গতকাল আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
বাংলাদেশ ও ভারতীয় সমুদ্রসীমার নির্ধারিত এলাকায় নিয়মিতভাবে এ কার্যক্রম পরিচালিত হবে উল্লেখ করে আইএসপিআর জানায়, প্রাথমিকভাবে এ কার্যক্রমে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর দুটি যুদ্ধজাহাজ ‘বানৌজা আবু বকর’ ও ‘বানৌজা ধলেশ¡রী’ এবং এমপিএ ( মেরিটাইম পেট্রল এয়ারক্রাফট) এবং ভারতীয় নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ ‘আইএনএস সাতপুরা’ ও ‘আইএনএস খেদমত’ এবং এমপিএ অংশগ্রহণ করবে।
দুদেশের এই যৌথ টহল বঙ্গোপসাগরে নিজ নিজ জলসীমায় সমুদ্রবিষয়ক অপরাধ সম্পর্কিত তথ্য আদান প্রদান, তথ্যাদির সঠিক ব্যবস্থাপনা, সমুদ্রপথে অবৈধ কার্যক্রম পরিচালনাকারী জাহাজসমূহ চিহ্নিতকরণ ও বিভিন্ন অপরাধ নিরসনকল্পে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এই পদক্ষেপ আঞ্চলিক সমুদ্র নিরাপত্তা রক্ষা, সমুদ্র নিরাপত্তার ঝুঁকি মোকাবিলা ও সমুদ্র অর্থনীতির উন্নয়নে আরো কার্যকর ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে বলে আশা করা যায়।
এ ছাড়া, পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি, অভিজ্ঞতা অর্জনের লক্ষ্যে ভারতীয় নৌবাহিনীর দুজন কর্মকর্তা বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জাহাজযোগে এবং বাংলাদেশ নৌবাহিনীর দুজন কর্মকর্তা ভারতীয় নৌবাহিনীর জাহাজযোগে বিশাখাপত্তমে যাবেন। এই যৌথ টহল দুদেশের জলসীমায় অপরাধ নিয়ন্ত্রণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে নৌবাহিনী প্রধান উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, বিশাল সমুদ্র এলাকায় এককভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা একটি চ্যালেঞ্জের বিষয়। এক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা, এ-সংক্রান্ত তথ্যাদির আদান প্রদান এবং সমন্বিত নজরদারি সমুদ্র এলাকার নিরাপত্তা জোরদারে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে, যা এ অঞ্চলের সমুদ্রবিষয়ক সচেতনতাকে বহুলাংশে বৃদ্ধি করতে সহায়তা করবে।
বঙ্গোপসাগরে শান্তি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এ ধরনের যৌথ টহল আয়োজনের জন্য তিনি বাংলাদেশ ও ভারতীয় সরকারকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানান। একইসঙ্গে যৌথ এ টহলকে ফলপ্রসূ করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার জন্য ভারতীয় নৌবাহিনী প্রধানকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
যৌথ টহলের সাফল্য কামনা করে ভারতীয় নৌবাহিনীর প্রধান বলেন, ‘বর্তমানে বাংলাদেশ ও ভারত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের একটি যুগান্তকারী সময় পার করছে। বিশাল সমুদ্র এলাকার নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে ঐতিহাসিক এ উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আমি আশা করি।’
তিনি বলেন, ভারত সবসময়ই বাংলাদেশের সঙ্গে সহাবস্থানে থেকে বিশাল সমুদ্র এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিত, সন্ত্রাসবাদ দমন, যেকোনো দুর্যোগ মোকাবিলা, সমুদ্রসম্পদ রক্ষাসহ ‘ব্লু-ইকোনমির’ উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করে যেতে আগ্রহী। দুই দেশের সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে ভারতীয় নৌবাহিনীর প্রধান বলেন, বর্তমান নৌপ্রধানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ নৌবাহিনী এখন এগিয়ে গেছে। সম্প্রতি বঙ্গোপসাগরে অনুষ্ঠিত ‘আইএমএমএসএআরইএক্স’র মতো আন্তর্জাতিক সমুদ্র মহড়া সফলভাবে শেষ করায় তিনি বাংলাদেশের ভূয়সী প্রশংসা করেন। আমার বাঁশখালী ডটকম। 

প্রিয় পাঠক,
প্রেস বিজ্ঞপ্তি  প্রতিনিধিরা নিউজ পাঠান
-মেইল: amarbanskhali@gmail.com
ভিজিট করুনwww.amarbanskhali.com
প্রধান সম্পাদক শাহ্ মুহাম্মদ শফিউল্লাহ্  প্রকাশক 
এম.ছৈয়দুল আলম কর্তৃক প্রকাশিত সংবাদ
নিচে আপনার মতামত লিখুন

No comments:

Post a Comment

পোস্টের নীচে বিজ্ঞাপন