সৌদি আরবের নতুন শর্তে বিপাকে বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স - আমার বাঁশখালী ডটকম AmarBanskhali.Com

ব্রেকিং নিউজ

শীর্ষ বিজ্ঞাপন

নিউজ এর উপরে বিজ্ঞাপন

Thursday, July 12, 2018

সৌদি আরবের নতুন শর্তে বিপাকে বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স


আমার বাঁশখালী.কম.ডেক্স রিপোর্টার মোঃ রোবেল.
এবার হজ ফ্লাইট শুরু আগমুহূর্তে নতুন শর্ত দিয়েছে সৌদি আরবের সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ। লিজ বা ভাড়ায় সংগ্রহ করা কোনও বিমান দিয়ে সেদেশে ফ্লাইট পরিচালনা করা যাবে না। এ কারণে হজের মৌসুমে সৌদি আরবের সব রুটে টিকেট বিক্রি বন্ধ রেখেছে বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। এর আগে এ বছর পূর্বনির্ধারিত হজ ফ্লাইটের বাইরে নতুন করে হজ ফ্লাইটের স্লটের অনুমতি দেবে না বলে জানায় সৌদি আরব। অন্যদিকে এজেন্সিগুলোর হজ ফ্লাইটের টিকিটি সংগ্রহ না করায় দুশ্চিন্তা বাড়াচ্ছে এয়ারলাইন্সটির কর্মকর্তাদের।বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স জানিয়েছে, ১৪ জুলাই শুরু হচ্ছে এ বছরের হজ ফ্লাইট। ১৫৫টি ডেডিকেটেডে ও ৩২টি শিডিউল ফ্লাইটে হজযাত্রী পরিচালনার অনুমতি পেয়েছে বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। এসব ফ্লাইটে বাংলাদেশ থেকে ৬৩ হাজার ৬০০ জন হজযাত্রী সৌদ আরবে পাঠানো যাবে। কিন্তু ২৫ জুলাই থেকে ১০ আগস্ট— এ সময়ের ১২ হাজার ৫০০ টিকিট এখনও বিক্রি হয়নি। সরকারের সিদ্ধান্ত অনুসারে এ বছর ভিসার আগেই সব এজেন্সিকে হজযাত্রীদের টিকিট সংগ্রহ করতে বলা হয়।
অন্যদিকে সৌদি সরকার পূর্ব নির্ধারিত স্লটের বাইরে অতিরিক্ত কোনও হজ ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি দেবে না। ফলে কোনও হজযাত্রী ফ্লাইট মিস করলে সৌদি আরবে যাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়বেন। এ কারণে হজ এজন্সিগুলোকে দ্রুত টিকিট সংগ্রহের অনুরোধও জানাচ্ছে বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।
সূত্র জানায়, হজ ফ্লাইট চলাকালীন সৌদি আরবের সব রুটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের টিকেট বিক্রি ও বুকিং বন্ধ রেখেছে। আগের বিক্রি করা টিকিটের যাত্রীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে করা হচ্ছে ফ্লাইটের তারিখ পরিবর্তনে। বিগত বছরগুলোতে বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স নিজস্ব বিমান দিয়ে হজ ফ্লাইট পরিচালনা করেছে। বাড়তি চাপ সামলাতে হজের মৌসুমে নিয়মিত ফ্লাইটগুলো পরিচালনা করা হয়েছে লিজে সংগ্রহ করা বিমান দিয়ে। তবে সম্প্রতি সৌদি সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ লিজে সংগ্রহ করা বিমান সেদেশে অবতরণের অনুমতি দেবে না বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সকে। ফলে হজ ফ্লাইট ছাড়া সৌদি আরবের নিয়মিত ফ্লাইট পরিচালনা নিয়ে নতুন সংকটে পড়েছে এয়ারলাইন্স।
বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স জানিয়েছে, হজ মৌসুমে ফ্লাইট শিডিউল ঠিক রাখতে চারটি বিমান সংগ্রহের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে তিনটি বিমান বহরে যুক্ত হয়েছে। বাকিটা শিগগির যুক্ত হবে।
নিজস্ব ও লিজে নেওয়া মিলিয়ে বর্তমানে বহরে ১৩টি বিমান রয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের নিজস্ব চারটি বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর বিমান ও দুটি ৭৩৭-৮০০ বিমান। অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট পরিচালনার রয়েছে দুটি ড্যাস-৮ কিউ ৪০০ বিমান। হজের মৌসুমের জন্য স্বল্প মেয়াদে লিজে সংগ্রহ করা বিমানসহ বহরে সাতটি বিমান রয়েছে লিজে সংগ্রহ করা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন,‘নিজস্ব বিমান দিয়ে ১৫৫টি ডেডিকেটেডে ও ৩২টি শিডিউল ফ্লাইটে হজযাত্রী পরিচালনার পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়াও জেদ্দা, দাম্মাম ও রিয়াদ রুটেও নিয়মিত ফ্লাইট রয়েছে আমাদের। বিমানের পরিকল্পনা ছিল হজ ফ্লাইট নিজস্ব বিমান এবং নিয়মিত ফ্লাইটগুলো লিজে সংগ্রহ করা বিমান দিয়ে পরিচালনা করার। কিন্তু হজ ফ্লাইট শুরু আগমুহূর্তে লিজের বিমান পরিচালনা অনুমতি না দেওয়ায় নতুন করে সংকটের সৃষ্টি হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা এখন রিয়াদের সব ফ্লাইট বন্ধ রাখছি। দাম্মামে নিজস্ব বিমান দিয়ে সীমিত আকারে নিয়মিত ফ্লাইট পরিচালনা করবো। যেসব যাত্রী রিয়াদে যাবেন তাদের দাম্মাম পর্যন্ত বিমানে পৌঁছানোর পর সেখান থেকে বাসে রিয়াদে পৌঁছে দেওয়া হবে।’
এদিকে রিয়াদে ফ্লাইট বাতিল করায় যাত্রীদের মধ্যে ক্ষোভ বেড়েছে। সেসব যাত্রী রিয়াদ যাবেন তারা বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মতিঝিল সেলস সেন্টারে ভিড় করছেন। বিশেষ করে যেসব যাত্রী সৌদি আরবে চাকরি করেন তারা নির্ধারিত সময়ে সৌদি আরবে যেতে পারবেন কিনা, তা নিয়ে শঙ্কিত।
সৌদি আরব প্রবাসী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘বাংলাদেশে আসার আগেই রিটার্ন টিকিট কেটে এসেছি। এখন জানতে পারলাম বিমান রিয়াদে যাবে না। এখন এ মুহূর্তে তারা টাকা ফেরত দিলেও অন্য এয়ারলাইন্স থেকে টিকিট পাবো কিনা, সেটিও নিশ্চিত নয়।’
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) শাকিল মেরাজ বলেন, ‘অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে এ পরিস্থিতিতে পড়তে হয়েছে আমাদের। গত বছরও যে প্রতিষ্ঠান থেকে বিমান লিজ নেওয়া হয়েছে, এ বছরও একই প্রতিষ্ঠান থেকে নেওয়া হয়েছে। সেই প্রতিষ্ঠান থেকে লিজ নেওয়া বিমান দিয়ে সৌদি আরবে শিডিউল ফ্লাইট পরিচালনা 4করা হয়েছিল। এ বছর হজ ফ্লাইট শুরু আগমুহূর্তে সৌদি আরবের এ সিদ্ধান্তে আমাদের বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলেছে।’
তিনি বলেন, ‘সৌদি আরবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে যোগাযোগ করে কোনও সমাধান করা যায় কিনা, সে চেষ্টাও অব্যাহত রয়েছে। এরপরও আমরা যাত্রীদের সুবিধার্থে বিকল্প ব্যবস্থা নিয়েছি। আশা করছি, যাত্রীরা বিষয়টি অনুধাবন করবেন।’ নেট সূত্র.........

No comments:

Post a Comment

পোস্টের নীচে বিজ্ঞাপন