‘গুম’ হওয়া গৃহবধূ জীবিত উদ্ধার! - আমার বাঁশখালী ডটকম AmarBanskhali.Com

ব্রেকিং নিউজ

শীর্ষ বিজ্ঞাপন

নিউজ এর উপরে বিজ্ঞাপন

Friday, July 20, 2018

‘গুম’ হওয়া গৃহবধূ জীবিত উদ্ধার!


আমার বাঁশখালী ডেস্ক:
মরজিনা আক্তার (২৪)। কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার ৪নম্বর রাজাপালং ইউনিয়নের হাজির পাড়া এলাকারমোহাম্মদ আলমের স্ত্রী।

সাফা ও সুমাইয়া নামে দুই শিশু কন্যার জননীও। তাকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ ‘গুম’ করার হয়েছে মর্মে মামলা দায়ের করা হয়। মরজিনা আক্তারের মা রাশেদা বেগম বাদি হয়ে চলতি বছরেরআট মে কক্সবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলাটি দায়ের করেন।

মামলায় আসামি করাহয়েছে মরজিনার স্বামী মোহাম্মদ আলম ও তার এক দেবরকে। আদালতে অভিযোগ তুলেছে, যৌতুকের জন্যস্বামী প্রায় সময় নির্যাতন করত। যৌতুক না দেয়ায় হত্যা করে লাশ ‘গুম’ করা হয়।

এমন মামলার পর থেকেইপলাতক রয়েছে স্বামী মোহাম্মদ আলম ও তার এক দেবর। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল মামলাটিতদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দেয়। পিবিআই মামলার রহস্য উদঘাটনে তদন্ত শুরু করে। তদন্তকালে বিশ^স্তসোর্স ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তা নেন পিবিআই।
সেই সহায়তায় কথিত ‘গুম’ হওয়া মরজিনা আক্তারকে প্রায় তিনমাস পর চট্টগ্রাম থেকে জীবিত উদ্ধার করেছে কক্সবাজারের পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
ওইনারী চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামী থানার রুবি কলোনির কাছে টেকনিক্যাল গেট এলাকার একটি ভাড়া বাসায়এতদিন আত্মগোপনে ছিলেন। মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে চট্টগ্রাম পিবিআই এর সহায়তায় কক্সবাজারেরএকটি টিম তিনদিন অভিযান পরিচালনা করে। এরপর তার অবস্থান নিশ্চিত হওয়ার পর গত ১৬ জুলাইদিবাগত রাত ১১টার দিকে তাকে উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে ১৮ জুলাই সকাল সাড়ে ১১টার দিকে পিবিআই কক্সবাজার কার্যালয়ে এক সংবাদসম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এ সময় পিবিআই কক্সবাজার কার্যালয়ের পরিদর্শক (এডমিন) মেজবাহ উদ্দিনবলেন, উদ্ধার করা মরজিনাকে সকালে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

জানতে চাইলে মরজিনা পূর্বকোণকে বলেন, আমাকে স্বামী ও দেবর প্রায় সময় নির্যাতন করত। বিশেষ করেযৌতুকের কারণে নির্যাতন করা হতো। এমনকি আমার দেবর আমাকে যৌন নির্যাতনও করেছিল।

বিষয়টিআমি আমার স্বামীকেও অবগত করেছি। কিন্তু সুরাহা পাইনি। এলাকার সবাই জানে আমাকে নির্যাতনেরবিষয়টি।

কোনো প্রতিকার পাইনি কোনো সময়। তাই বাধ্য হয়ে নিজেকে আত্মগোপন করে রেখেছিলাম। এদিকেমরজিনাকে উদ্ধারের পর কক্সবাজার পিবিআই কার্যালয়ে তিনমাস পর মা মেয়ের একসাথে দেখা হয়। দুই শিশুমেয়েকে পেয়ে কান্নায় জড়িয়ে পড়ে মরজিনা। কোলে তুলে নেন সন্তানদের।

No comments:

Post a Comment

পোস্টের নীচে বিজ্ঞাপন