সরকারি অনুমতি ছাড়া ১০ লাখ টাকার বেশি সম্পদ ক্রয় নিষিদ্ধ! - আমার বাঁশখালী ডটকম AmarBanskhali.Com

ব্রেকিং নিউজ

শীর্ষ বিজ্ঞাপন

321

নিউজ এর উপরে বিজ্ঞাপন

Wednesday, July 4, 2018

demo-image

সরকারি অনুমতি ছাড়া ১০ লাখ টাকার বেশি সম্পদ ক্রয় নিষিদ্ধ!

.com/blogger_img_proxy/

সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্পদ অর্জনের পরিসীমায় পরিবর্তন আনা হয়েছে। এখন থেকে প্রত্যেক সরকারি কর্মকর্তাদের পাঁচ লাখ টাকার উপরে অস্থাবর সম্পত্তি ও ১০ লাখ টাকার উপরে স্থাবর সম্পত্তি কিনতে তাদের সরকারের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে। এছাড়াও সরকারি কর্মচারীর স্বামী বা স্ত্রী রাজনৈতিক সংগঠনে যুক্ত হলে সংশোধনী বিধিমালায় সরকারকে তা জানানো বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানায়, বিভিন্ন ক্ষেত্রে পরিবর্তন এনে ও নতুন বিধান যুক্ত করে সরকারি কর্মচারী আচরণ বিধিমালা, ১৯৭৯-এর সংশোধনী খসড়া চূড়ান্ত করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। শিগগিরই এটি প্রণয়ন করা হবে। আচরণ বিধিমালা লঙ্ঘনের অপরাধ অসদাচরণ বলে গণ্য হবে। এ ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার বিধান বহাল রাখা হয়েছে।
সরকারি কর্মচারী আচরণ বিধিমালা, ১৯৭৯-এর সংশোধনী অনুযায়ী, সরকারি কর্মকর্তারা আগের তুলনায় দ্বিগুণ পরিমাণ সম্পদ অর্জন করতে পারবেন সরকারি অনুমতি ছাড়াই। তা ছাড়া এখন থেকে তারা যে কোনো জায়গা থেকে ৫০ হাজার টাকার উপহারও নিতে পারবেন। সেই সাথে সরকারি কর্মকর্তারা সরকারকে জানিয়ে তারা রাজনীতিতেও অংশগ্রহণ করতে পারবেন।
সংশোধিত বিধিতে বলা হচ্ছে, বাড়ি কিংবা ফ্ল্যাট নির্মাণ বা কেনার ক্ষেত্রে প্রকৃত বাজারদর উল্লেখ করে বিনিয়োগকৃত অর্থের উৎস জানানোর পাশাপাশি সরকারের পূর্বানুমোদন নিতে হবে। অর্থাৎ কর্মকর্তা-কর্মচারীর আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের সঙ্গতি না থাকলে অনুমোদন মিলবে না। আত্মীয়স্বজন কিংবা কারও কাছ থেকে ঋণ গ্রহণ দেখালে সে বিষয়েও সংশ্নিষ্ট ঋণ প্রদানকারীর পক্ষ থেকে লিখিত প্রত্যয়নপত্র থাকতে হবে। আপন ভাই হলেও একই প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে। আয়কর রিটার্নেও এসব বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য থাকতে হবে। সংশোধনীতে সরকারি কর্মচারীদের সামাজিক দাওয়াত খাওয়ার ওপর নতুন করে বিধিনিষেধ আরোপ করা হচ্ছে। অনেক সময়ই সরকারি কর্মকর্তারা প্রটোকলের বাইরে কর্মস্থল এলাকায় ঠিকাদারসহ সমাজের বিশেষ ব্যক্তিদের বাসায় গিয়ে কিংবা নিমন্ত্রণ পার্টিতে দাওয়াত খেয়ে থাকেন। অনেক নিমন্ত্রণদাতাই এভাবে প্রশাসনিক সুবিধা নেওয়া এবং নিমন্ত্রণ রক্ষাকারী ও দাতা উভয়েই নানা দুর্নীতি প্রশস্ত করে থাকেন। তাই ডিসি-এসপিসহ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তার কর্মস্থলের আশপাশের এলাকায় দাওয়াত খেতে পারবেন না। অবশ্য নিকটাত্মীয় ও স্বজনদের বিয়েশাদি ও সামাজিক অনুষ্ঠান এর আওতাভুক্ত হবে না। নতুন এ বিধিমালার কারণে সরকারি কর্মকর্তারা ইচ্ছা করলেও যত্রতত্র দাওয়াত খেতে পারবেন না।
সংশোধিত বিধিমালার ২৭(বি) ধারাকে আরও স্পষ্ট করা হচ্ছে। এই ধারা অনুযায়ী, সরকারি কর্মচারীর স্বামী বা স্ত্রী রাজনৈতিক সংগঠনে সম্পৃক্ত হলে তা সরকারকে বাধ্যতামূলকভাবে জানাতে হবে। বিদ্যমান বিধিমালায় এ নিয়ম থাকলেও তা তেমন প্রতিপালন হতো না। কিন্তু সংশোধনীতে এ নিয়ম প্রতিপালন বিষয়ে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, কোনো সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী রাজনীতিতে বা কোনো রাজনৈতিক সংগঠনে সম্পৃক্ত হতে পারবেন না। কারও বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাকে বরখাস্ত করা হবে। আরেকটি উপধারায় বলা হয়েছে, সরকারি কর্মচারীর স্বামী বা স্ত্রী রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হলে সরকারকে তা জানাতে হবে। কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী এ বিষয়ে না জানালে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিধিমালায় প্রতিবছরের জানুয়ারির মধ্যে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বার্ষিক মূল্যায়ন রিপোর্ট (এসিআর) জমা দেওয়ার বিধানও রাখা হচ্ছে।
এ বিষয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ থেকে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্পদ অর্জন ও উপহার গ্রহণের পরিমাণ বাড়ানোর পক্ষে মত পাওয়া গেছে। তাদের অধিকাংশই মনে করছেন, বিদ্যমান বিধিমালা বাস্তবের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। এসব দিক বিবেচনা করে বর্তমান অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্পদ অর্জন ও উপহার গ্রহণের পরিমাণ বাড়ানো হচ্ছে। আমার বাঁশখালী ডেস্ক রিপোর্ট।

No comments:

Post a Comment

পোস্টের নীচে বিজ্ঞাপন

Pages

Contact Form

Name

Email *

Message *