![]() |
আমার বাঁশখালী ডেস্ক:
কর্ণফুলী নদীর অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিতে চূড়ান্ত নোটিশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসন। হাইকোর্টের নির্দেশনার দুই বছর পর এই নোটিশ দেওয়া হয়েছে। অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নোটিশের পরও নদী দখল থামছে না। শাহ আমানত সেতুর নিচে শিকলবাহা এলাকায় নদীর তীর ভরাট করে জেটি নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রকাশ্যে ভরাট করা হলেও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিরা কিছুই জানেন না বলে দাবি করেন। সরেজমিনে গতকাল শুক্রবার দেখা যায়, হযরত শাহ আমানত সেতুর দক্ষিণ পাড়ে সেতুর নিচে বালুর বস্তা, পাথর, কংক্রিট ফেলে নদীর তীর ভরাট করা হচ্ছে। এস আলম জেটির সঙ্গে লাগোয়া নদীর পাড়ের বড় অংশ দখল করা হচ্ছে। এক সপ্তাহ ধরে নদীর তীর ভরাট কাজ চলে আসছে বলে জানান স্থানীয়রা। পাথর-কয়লাবোঝাই জাহাজ নোঙরের সুবিধার জন্য নদীর তীর ভরাট করে জেটি নির্মাণ করা হচ্ছে বলে জানান স্থানীয় দোকানদাররা। দেখা যায়, সেতুর নিচে সওজের বিশাল জায়গা অরক্ষিত রয়েছে। এসব জায়গা এখন পাথর-কয়লার স্তুপ রয়েছে। নদী পথে সংগ্রহ করে সেতুর নিচে রেখে বেচাবিক্রি চলছে। ট্রাকে ট্রাকে এসব পাথর-কয়লা বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানায়, কর্ণফুলী উপজেলার আওয়ামী লীগ সমর্থিত-বিতর্কিত এক চেয়ারম্যান ও তার ভাইয়েরা নদী ভরাট ও দখলের সঙ্গে জড়িত রয়েছে। সরকারি দলের প্রভাব খাটিয়ে দখল করা হচ্ছে। প্রশাসনের নজরদারির অভাবে অবৈধ দখল থামানো যাচ্ছে না বলে অভিযোগ রয়েছে।
শিকলবাহা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার জানা মতে নদী ভরাট বা দখল করা হচ্ছে না। আপনি আসলে আমিও সঙ্গে গিয়ে দেখে আসব।’ গতকাল শুক্রবার বিকেলে দেখে আসার কথা স্মরণ করিয়ে দেওয়ার পর তিনি বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে আপনি বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এসব কাজ বন্দরের লোকজনের নজরে রয়েছে।’ ব্যবসায়ীদের উদ্ধৃতি দিয়ে জাহাঙ্গীর চেয়ারম্যান বলেন, পাথর ও কয়লার জাহাজ ভিড়ানোর জন্য বন্দরের অনুমতি নিয়েছেন বলে ব্যবসায়ীরা তাকে জানিয়েছেন। নদী দখলের বিষয়টি জানা নেই বলে জানান কর্ণফুলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিজেন ব্যানার্জী। তিনি পূর্বকোণকে বলেন, ‘সেতুর নিচে খালি জায়গা সওজ ও বন্দর কর্তৃপক্ষের। এ বিষয়ে তারা আমাদের কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ কর্ণফুলী নদীর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য জেলা প্রশাসক নোটিশ জারি করেছেন উল্লেখ করে দেওয়ার পর ইউএনও বলেন, ‘ওই পথ দিয়ে আমি যাতায়াত করি। আমার চোখে পড়েনি।’
২০১০ সালে হিউম্যান রাইটস এন্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ কর্ণফুলী নদীর দুই তীরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করেন। ২০১৬ সালের ১৬ অগাস্ট অবৈধ স্থাপনা অপসারণ ও নদী রক্ষায় ১১ দফা নির্দেশনা দেন হাইকোর্ট। আদালতের রায় বাস্তবায়ন না করায় গত ২৫ জুন উচ্ছেদ সংগঠনটির পক্ষ থেকে আদালত অবমননার নোটিস পাঠানো হয়। এতে সাত দিনের মধ্যে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের অনুরোধ জানানো হয়। কিন্তু নোটিসের জবাব না পাওয়ায় গত ২ জুলাই রুল জারি করেন আদালত। এতে সিটি মেয়র, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, চট্টগ্রাম পুলিশ কমিশনার, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সচিব, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যানকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
২০১৫ সালে রিটের পরিপ্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসন কর্ণফুলীর সীমানা নির্ধারণ ও অবৈধ স্থাপনা চিহিৃত করেন। এতে নদীর উভয় তীরে দুই হাজার ১৮৭টি অবৈধ স্থাপনা চিহিৃত করেছেন। আদালতের নোটিশ পাওয়ার পর চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিতে নোটিশ দিয়েছেন। ৩ মাসের মধ্যে নিজ উদ্যোগে সরিয়ে নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, কর্ণফুলী তীরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে ৩ মাস সময় দিয়েছেন হাইকোর্ট। আদালতের আদেশ বাস্তবায়ন না করায় বিবাদীদের বিরুদ্ধে কেন আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, সেই বিষয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। ৪ সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। এরমধ্যে নতুন করে ভরাট বা দখলের সুযোগ নেই। সূত্র: পূর্বকোণ।’
শিকলবাহা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার জানা মতে নদী ভরাট বা দখল করা হচ্ছে না। আপনি আসলে আমিও সঙ্গে গিয়ে দেখে আসব।’ গতকাল শুক্রবার বিকেলে দেখে আসার কথা স্মরণ করিয়ে দেওয়ার পর তিনি বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে আপনি বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এসব কাজ বন্দরের লোকজনের নজরে রয়েছে।’ ব্যবসায়ীদের উদ্ধৃতি দিয়ে জাহাঙ্গীর চেয়ারম্যান বলেন, পাথর ও কয়লার জাহাজ ভিড়ানোর জন্য বন্দরের অনুমতি নিয়েছেন বলে ব্যবসায়ীরা তাকে জানিয়েছেন। নদী দখলের বিষয়টি জানা নেই বলে জানান কর্ণফুলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিজেন ব্যানার্জী। তিনি পূর্বকোণকে বলেন, ‘সেতুর নিচে খালি জায়গা সওজ ও বন্দর কর্তৃপক্ষের। এ বিষয়ে তারা আমাদের কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ কর্ণফুলী নদীর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য জেলা প্রশাসক নোটিশ জারি করেছেন উল্লেখ করে দেওয়ার পর ইউএনও বলেন, ‘ওই পথ দিয়ে আমি যাতায়াত করি। আমার চোখে পড়েনি।’
২০১০ সালে হিউম্যান রাইটস এন্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ কর্ণফুলী নদীর দুই তীরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করেন। ২০১৬ সালের ১৬ অগাস্ট অবৈধ স্থাপনা অপসারণ ও নদী রক্ষায় ১১ দফা নির্দেশনা দেন হাইকোর্ট। আদালতের রায় বাস্তবায়ন না করায় গত ২৫ জুন উচ্ছেদ সংগঠনটির পক্ষ থেকে আদালত অবমননার নোটিস পাঠানো হয়। এতে সাত দিনের মধ্যে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের অনুরোধ জানানো হয়। কিন্তু নোটিসের জবাব না পাওয়ায় গত ২ জুলাই রুল জারি করেন আদালত। এতে সিটি মেয়র, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, চট্টগ্রাম পুলিশ কমিশনার, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সচিব, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যানকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
২০১৫ সালে রিটের পরিপ্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসন কর্ণফুলীর সীমানা নির্ধারণ ও অবৈধ স্থাপনা চিহিৃত করেন। এতে নদীর উভয় তীরে দুই হাজার ১৮৭টি অবৈধ স্থাপনা চিহিৃত করেছেন। আদালতের নোটিশ পাওয়ার পর চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিতে নোটিশ দিয়েছেন। ৩ মাসের মধ্যে নিজ উদ্যোগে সরিয়ে নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, কর্ণফুলী তীরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে ৩ মাস সময় দিয়েছেন হাইকোর্ট। আদালতের আদেশ বাস্তবায়ন না করায় বিবাদীদের বিরুদ্ধে কেন আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, সেই বিষয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। ৪ সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। এরমধ্যে নতুন করে ভরাট বা দখলের সুযোগ নেই। সূত্র: পূর্বকোণ।’





No comments:
Post a Comment