বাঁশখালীতে মাদ্রাসার শিক্ষকের মাথা মালিশ করে না দেওয়ায় ছাত্রকে মারধর ও শেকল দিয়ে বেঁধে রাখে! - আমার বাঁশখালী ডটকম AmarBanskhali.Com

ব্রেকিং নিউজ

শীর্ষ বিজ্ঞাপন

নিউজ এর উপরে বিজ্ঞাপন

Saturday, July 21, 2018

বাঁশখালীতে মাদ্রাসার শিক্ষকের মাথা মালিশ করে না দেওয়ায় ছাত্রকে মারধর ও শেকল দিয়ে বেঁধে রাখে!


আমার বাঁশখালী ডেস্ক:

বাঁশখালীর শেখেরখীল গুইল্লাখালী কাদেরীয়া তাজবীদুল কোরআন দারুল উলুম মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা মো.মুজিবের মাথা মালিশ করে না দেওয়ায় মাদ্রাসার দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্র এনামুল হককে (৯) মারধর করে সারা শরীর রক্তাক্ত করেন।

এ খবর যাতে বাইরে প্রকাশ না পায় তার জন্য ওই ছাত্রকে শেকল দিয়ে ২২ ঘন্টা বেঁধে রাখেন। অনাহারে থাকা এ শিক্ষার্থী বাথরুমে যাবে বলে ২২ ঘণ্টা পর কৌশলে পালায়।

পরে পিতাসহ অন্যদের জানালে তারা ঘটনাটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ থানার অফিসার ইনচার্জকে অবহিত করে এবং থানায় অভিযোগ দায়ের করে। পরে বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের বৈঠকে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় শেখেরখীল গুইল্লাখালী কাদেরীয়া তাজবীদুল কোরআন দারুল উলুম মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা মো. মুজিব ও মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আনোয়ারকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া এবং চিকিৎসার সকল ব্যয়ভার তাদের বহন করার সিদ্ধান্ত হয়।

বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার বরাবরে করা শিক্ষার্থী এনামুল হকের (৯) পিতা মোজাম্মেল হকের অভিযোগের সূত্রে এসব জানা যায়। জানা যায়, শেখেরখীল গুইল্লাখালী কাদেরীয়া তাজবীদুল কোরআন দারুল উলুম মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা মো: মুজিব সোমবার সকালে ক্লাসের এক পর্যায়ে এনামুল হককে মাথা মালিশ করতে বলে। সে মালিশ না করায় তাকে বেদম মারধর করে পিঠে এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে।

এ খবর যাতে প্রকাশ না পায় সে জন্য তাকে একটা রুমে নিয়ে শেকল দিয়ে বেঁধে রাখে। মঙ্গলবার সকাল ১০টায় এনামুল হক বাথরুমে যাবে বলে কৌশলে বাড়িতে চলে আসে।

পরবর্তীতে তাকে নিয়ে তার পিতা মোজাম্মেল হক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে অভিযোগসহ তাকে নিয়ে আসে। একই সময়ে ঘটনাটি উপজেলা চেয়ারম্যান মাওলানা জহিরুল ইসলাম ও বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জকে অবহিত করেন।

মাদ্রাসা সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা ও ইউনিয়ন পরিষদের চৌকিদার ছৈয়দ নুর জানান এ মাদ্রাসায় প্রায় সময় এ ধরনের ঘটনা হয়। বিগত কিছুদিন আগেও এক ছাত্রকে মেরে রক্তাক্ত করে পরে ক্ষমা চেয়ে রক্ষা পায়। শেখেরখীল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইয়াছিন বলেন, ছাত্রের পরিবারের পক্ষ থেকে ঘটনাটি আমাকে অবহিত করার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে প্রেরণ করি যাতে যথাযথ বিচারের ব্যবস্থা করা হয়।


বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার বলেন, ঘটনাটি বিস্তারিত অবগত হয়ে মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতাকে অভিযুক্ত শিক্ষক মাওলানা মো. মুজিব ও মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আনোয়ারকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আনোয়ার ঘটনা অবহিত হয়েও কেন ব্যবস্থা নেননি সে জন্য তাকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে আর আহত ছাত্রের চিকিৎসার সকল ব্যয়ভার তারা বহন করবে। সূত্র: দৈনিক আজাদী।

No comments:

Post a Comment

পোস্টের নীচে বিজ্ঞাপন