ঠাণ্ডায় বাড়ছে শিশু রোগী চট্টগ্রামে - আমার বাঁশখালী ডটকম AmarBanskhali.Com

ব্রেকিং নিউজ

শীর্ষ বিজ্ঞাপন

নিউজ এর উপরে বিজ্ঞাপন

Friday, December 8, 2017

ঠাণ্ডায় বাড়ছে শিশু রোগী চট্টগ্রামে

চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে শিশু ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন শিশুরা-সুপ্রভাত
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে শিশু ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন শিশুরা-সুপ্রভাত



আমার বাঁশখালী ডেক্স:

ঠাণ্ডার প্রকোপে বাড়ছে নিউমোনিয়া, ব্রঙ্কিউলাইটিসসহ শ্বাসজনিত নানা রোগে আক্রান্ত শিশু রোগীর সংখ্যা। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল ও বিভিন্ন চিকিৎসকের চেম্বারে এ ধরনের রোগীর আধিক্য দেখা গেছে। শীত বাড়ার সাথে সাথে শিশুরা এ ধরনের রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বলে বিশেষজ্ঞরা চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
চমেক হাসপাতালে শিশু ওয়ার্ডে বেড রয়েছে ৬৬টি ও নবজাতক ওয়ার্ডে রয়েছে ৩২ টি। আর শীতের শুরুতেই দুই ওয়ার্ডে স্বাভাবিক সময়ের থেকে কয়েক গুণ বেশি রোগী ভর্তি রয়েছে। প্রতিদিনই ভর্তি হচ্ছে নতুন নতুন রোগী। এরমধ্যে শিশু ওয়ার্ডে নিউমোনিয়া, জ্বর, শ্বাস কষ্টজনিত রোগী সংখ্যা একশ’র কাছাকাছি। এতে করে এক বেডে একাধিক রোগীকে রাখতে হচ্ছে। আসনের তুলনায় রোগীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় হিমশিম খেতে হচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। জনবল সংকটের কারণে অতিরিক্ত রোগীর চাপ সামাল দিতে হচ্ছে চিকিৎসকদের।
গতকাল শুক্রবার হাসপাতালের দ্বিতীয় তলার শিশু ওয়ার্ড ঘুরে দেখা যায়, সবাইকে কাঁথা-কম্বল আর শীতের কাপড়ে মুড়িয়ে রেখেছেন তাদের মা বা আত্মীয়-স্বজনরা। এই ওয়ার্ডে কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে ঠাণ্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা অনেকগুণ বেড়ে গেছে। দিন দিন শিশু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক ও নার্সরা। ওয়ার্ডে দায়িত্বরত চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ‘ভর্তি হওয়া শিশুদের মধ্যে এক থেকে তিন বছর বয়সের বাচ্চার সংখ্যা বেশি। প্রতিদিন ভর্তি হচ্ছে নতুন নতুন রোগী। কিন্তু সহজে হাসপাতাল ছাড়তে পারছে না শিশু রোগীরা।’
জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে আটদিন আগে চার মাসের শিশু আজাদকে নিয়ে হাসপাতালে আসেন ফটিকছড়ির বাসিন্দা রীমা আকতার। এ কয়দিনে জ্বর কমলেও শ্বাসকষ্টের সমস্যা কিছুটা রয়েছে। রীমা বলেন, ‘ঠাণ্ডার কারণে প্রথমে কয়েকদিন কাশি ছিল আজাদের। পরে শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা দেখা দেয়। এরপর চিকিৎসকের পরামর্শে হাসপাতালে নিয়ে আসি।’ অন্যদিকে সাত বছর বয়সী মেয়ে ইশতিমামকে নিয়ে আসা রোজী আখতার বলেন, ‘প্রথমে হালকা জ্বর ও শাসকষ্ট ছিল। চিকিৎসককে দেখিয়েছি। অবস্থা খারাপ হওয়াতে হাসপাতালে নিয়ে এসেছি।
শীতের অসুখগুলোতে নবজাতকদের ঝুঁকি বেশি জানিয়ে চমেক হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে সহকারি অধ্যাপক নাসির উদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘কয়েকদিনে ওয়ার্ডে জ্বর, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্টের রোগীর বেশি পাচ্ছি। আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে শিশুদের ঠাণ্ডাজনিত রোগ দেখা দিচ্ছে। এজন্য বাচ্চাদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও ঠাণ্ডা থেকে দূরে রাখতে হবে। তাই তিনি বাচ্চাদের নিয়ে বিশেষ সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন।
শীতে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া চলাচলে সুবিধা হওয়ায় শিশুদের ঠাণ্ডাজনিত রোগ বেড়ে যায় বলে জানান আগ্রাবাদ মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতালে সহকারি পরিচালক ও শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. মো. আবু সাঈদ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘এমনিতে ছোটদের সহ্য ক্ষমতা কম। সামান্য ঠাণ্ডাতে নানা রোগে আক্রান্ত হয় তারা। এর মধ্যে শীতের শুরুতে আবহাওয়ার পরিবর্তন। সবমিলিয়ে সকালের ঠাণ্ডা বাতাস ও কুয়াশার কারণে শিশুদের রোগবালাই বেড়েছে।
ডা. মো. আবু সাঈদ চৌধুরী বলেন, ‘ছোটদের ঘন ঘন মায়ের বুকের দুধ পান করাতে হবে। পাশাপাশি বাচ্চাদের সকালে পরিধান করাতে হবে গরম কাপড়। বাচ্চার মাকেও ঠাণ্ডা থেকে দূরে থাকতে হবে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে গরম কাপড় পরিবর্তন করে সুতির কাপড় পড়াতে হবে। এতে করে শরীরে ঘামগুলো ঢুকবে না আর। তাছাড়া খেয়াল রাখতে হবে খাবারের দিকে। ঠাণ্ডা ও তরলজাতীয় খাবার খাওয়াতে হবে। এতে করে হজম হবে তাড়াতাড়ি।’

সূত্র: দৈনিক সুপ্রভাত বাংলাদেশ

No comments:

Post a Comment

পোস্টের নীচে বিজ্ঞাপন