আমার বাঁশখালী.কম ডেক্স:
চট্টগ্রামে এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী মেজবান
খেতে গিয়ে নিহতদের মধ্যে ৩ জনের লাশ সৎকার হয়েছে নগরীর বলুয়ারদীঘি
শ্মশানে। সেখানে রাতভর উপস্থিত থেকে শেষকৃত্য অনুষ্ঠানের তদারকি করেছেন
মহিউদ্দিনের ছেলে ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা ব্যারিষ্টার মহিবুল হাসান
নওফেল।
রাতে যে ৩ জনের মরদেহ সৎকার হয় তারা
হলেন-সুবীর দাশ, ঝন্টু দাশ ও রিটন ভট্টাচার্য্য। মহিবুল হাসান নওফেলের সাথে
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন সগর আওয়ামী লীগ নেতা এ্যাডভোকেট শেখ ইফতেখার
সাইমুল চৌধুরী, মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নূরুল আজিম রনি, কোতোয়ালী
থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) হাসান মনসুর।
আজ মঙ্গলবার ভোররাতে বলুয়ারদীঘি
সিটি কপোরেশন শ্মশানে দাহ করা হয় পদদলিত হয়ে নিহত ১০ জনের মধ্যে তিনজনকে।
এর আগে গত রাতেই নিহত ১০ জনের মধ্যে নয়জনের লাশ স্বজনদের হাতে তুলে দেওয়া
হয়। এই তিনজন ছাড়াও নিহতদের রাঙামাটি, সীতাকুণ্ড, মীরসরাই, আনোয়ারাসহ
বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
পদদলনের এই ঘটনায় আহত চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এদিকে ঘটনা তদন্তে জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি সিএমপি কমিশনার আরেকটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
গতকাল সোমবার দুপুর ১২টার দিকে
চট্টগ্রামের সাবেক মেয়র ও আওয়ামী লীগ নেতা এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর
কুলখানিতে পায়ের চাপে পিষ্ট হয়ে ১০ জন নিহত হন। একই ঘটনায় আহত হয়েছেন
অর্ধশত মানুষ। নগরীর জামাল খান রোডের রীমা কনভেনশন সেন্টারে ওই দুর্ঘটনা
ঘটে।
হতাহতদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ
হাসপাতালে নেওয়া হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘটনা শুনে হাসপাতালে ছুটে
আসেন মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। হাসপাতালে এসেই তিনি হতাহত ব্যক্তিদের
খোঁজখবর নেন। এ সময় তিনি এতো লাশ দেখে তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনি
আহাজারিও করতে থাকেন। এরই একপর্যায়ে কিছুক্ষণের জন্য জ্ঞান হারানোর মতো
অবস্থা হলে হাসপাতালের কর্মী ও অন্যরা নওফেলকে দ্রুত ওই এলাকা থেকে বের করে
নিয়ে আসেন। পরে তাঁকে একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে একটি বেসরকারি হাসপাতালে
নিয়ে যাওয়া হয়। নওফেলের স্বজনরা জানান, সেখানে কিছুক্ষণ বিশ্রামের পর
নওফেলকে বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়।
No comments:
Post a Comment