আমার বাঁশখালী.কম:
সব মায়েরাই প্রত্যাশা থাকে, তার সন্তান যেন বুদ্ধিমান ও মেধাবী হয়। আর এটা অনেকটাই নির্ভর করে মায়ের সঠিক খাদ্যাভ্যাসের ওপর।
যদি
কোনও মা পুষ্টিকর খাবার না খান যেমন : ফলিক অ্যাসিড, ভিটামিন ডি, লোহা
ইত্যাদি তাহলে তার শরীরে কিছুটা ঘাটতি থেকে যাবে। আর এর প্রভাব পড়বে
সন্তানের ওপর।
মায়ের
সঠিক খাবারের অভাবে শিশুর মানসিক বিকাশে সমস্যা দেখা দিতে পারে।
গর্ভাবস্থায় মা কী খায় সেটা সন্তানের শারীরিক ও মানসিক গঠনে বড় ভূমিকা পালন
করে।
গর্ভাবস্থায় আপনি এমন কিছু খাবার খেতে পারেন যা আপনার বাচ্চার আইকিউ (ইন্টেলিজেন্স কোশেন্ট) বাড়াতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের
মতে, আপনার সন্তান যখন জন্মগ্রহণ করে ওর মস্তিষ্কের মাপ যে কোনও পূর্ণ
বয়স্ক মানুষের ২৫% হয়। ২ বছর বয়সে সেটা বেড়ে হয় ৭৫% যা স্বাভাবিক মস্তিষ্ক।
প্রথম দুই বছর সন্তানের জন্য দরকার মস্তিষ্কের সঠিক বিকাশ।
তাহলে দেরি কেন? আসুন জেনে নিই গর্ভাবস্থায় কী কী খাবার খেলে আপনি বুদ্ধিমান সন্তানের জন্মদিতে পারবেন।
মাছ
: স্যালমন, টুনা, ম্যাকারেল ইত্যাদি ওমেগা-৩ ফ্যাটি এ্যাসিড সমৃদ্ধ।এগুলো
বাচ্চার মস্তিষ্কের বিকাশের জন্য খুবই জরুরি।একটা গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব
মায়েরা গর্ভাবস্থায় সপ্তাহে দুবারের বেশি মাছ খায় তাদের সন্তানের বুদ্ধি বা
আইকিউ বেশি হয়।
ডিম
: ডিম এ্যামিনো এ্যসিড কোলিন সমৃদ্ধ,যাতে মস্তিষ্কের গঠন ভাল হয় ও
স্মরণশক্তি উন্নতি হয়।গর্ভবতী নারীদের দিনে অন্তত দুটো করে ডিম খাওয়া উচিত
যার থেকে কোলিনের প্রয়োজনের অর্ধেক পাওয়া যায়। ডিমে থাকা প্রোটিন ও লোহা
জন্মের সময় ওজন বাড়িয়ে দেয়।
দই
: সন্তানের স্নায়ু কোষগুলো গঠনের জন্য আপনার শরীর প্রচুর পরিশ্রম করে। এ
জন্য আপনার বাড়তি কিছু প্রোটিন লাগবে। আপনাকে প্রোটিনযুক্ত খাবার বেশি করে
খেতে হবে যেমন : দই। দইয়ে ক্যালসিয়াম আছে যেটা গর্ভাবস্থায় লাগে।
আয়রন
: আয়রন সমৃদ্ধ খাবার যা আপনার সন্তানকে বুদ্ধিমান হতে সাহায্য।এই
খাবারগুলো গর্ভাবস্থায় অবশ্যই খাওয়া উচিত। আয়রন আপনার গর্ভের সন্তানের কাছে
অক্সিজেন পৌঁছে দেয়। এছাড়াও চিকিৎসকের পরামর্শে আপনার আয়রনের সাপ্লিমেন্ট
খাওয়া উচিত।
ব্লুবেরি
: ব্লুবেরির মত ফল, আর্টিচোক (ডাটা গাছ), টমেটো ও লাল বিন্সে এ্যান্টি
ওক্সিডেন্ট থাকে। তাই গর্ভাবস্থায় এই ফলগুলো আপনার সন্তানের মস্তিষ্কের
টিস্যুকে রক্ষা করে ও বিকাশে সাহায্য করে।
ভিটামিন-ডি
: এটা শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশের জন্য খুব দরকার। গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব
মায়েদের ভিটামিনের মাত্রা প্রয়োজনের চেয়ে কম থাকে তাদের বাচ্চার মস্তিষ্ক
দুর্বল হয়। ডিম, চিজ, বিফ, লিভার ইত্যাদি খাবারে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়।
এছাড়া ভিটামিন-ডি এর ভাণ্ডার সূর্য্যের আলো তো আছেই।
আয়োডিন
: আয়োডিনের অভাব, বিশেষ করে গর্ভাবস্থার প্রথম ১২ সপ্তাহে সন্তানের আইকিউ
কম করে দিতে পারে। গর্ভাবস্থায় আয়োডিনযুক্ত লবণ খান। এছাড়া সামুদ্রিক
মাছ, শামুক, ডিম, দই ইত্যাদি খেতে পারেন।
সবুজ
শাক-সবজী যেমন : পালং শাক, ডাল ইত্যাদি ফলিক এ্যাসিড সরবরাহ করে।এছাড়াও
ফলিক এ্যাসিড সাপ্লিমেন্ট ভিটামিন বি-১২- এর সঙ্গে খাওয়া উচিত।
মস্তিষ্কের
কোষ গঠনে ফলিক এ্যাসিড খুব প্রয়োজনীয়।একটা গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব নারীরা
গর্ভবস্থায় সন্তান প্রসবের চার সপ্তাহ আগে ও আট সপ্তাহ পর অবধি ফলিক
এ্যাসিড নিয়ে থাকে তাদের ৪০ শতাংশ অটিস্টিক সন্তান জন্ম দেয়ার আশংকা কম
থাকে।
No comments:
Post a Comment