হৃদরোগ ও হার্টঅ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ায় যে ১০ খাবার - আমার বাঁশখালী ডটকম AmarBanskhali.Com

ব্রেকিং নিউজ

শীর্ষ বিজ্ঞাপন

321

নিউজ এর উপরে বিজ্ঞাপন

Friday, February 16, 2018

demo-image

হৃদরোগ ও হার্টঅ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ায় যে ১০ খাবার

.com/blogger_img_proxy/

আমার বাঁশখালী ডেক্স:
আপনি হয়তো জানেন বা নাও জানতে পারেন বিশেষ কিছু খাবার আছে যেগুলো উচ্চ মাত্রায় স্যাচুরেটেড ফ্যাট, সোডিয়াম এবং কোলেস্টেরল সমৃদ্ধ যেগুলো হৃদরোগ ও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ায়। আসুন জেনে নেওয়া যাক কী সেই খাবারগুলো।

১. প্যাকেটজাত স্যুপ
আপনি কি জানেন রেস্টুরেন্টে বা প্যাকেটজাত যে স্যুপ আপনি কিনে খান তাতে আছে এমএসজি বা মনোসোডিয়াম গ্লুটামেট যা আপনার হৃদডিণ্ডের জন্য পুরোপুরি ক্ষতিকর? এই ধরনের স্যুপে থাকে প্রচুর সোডিয়াম যা আপনার রক্তের শিরা-উপশিরাগুলোকে ধ্বংস করতে পারে। যা থেকে পরে হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। সুতরাং ঘরে বানিয়ে স্যুপ খান।
২. ফ্রাইড চিকেন
সুস্বাদু হলেও ক্ষতিকর। এক টুকরো ফ্রাইড চিকেনে থাকে ৬৩ গ্রাম চর্বি, ৩৫০ গ্রাম কোলেস্টেরল এবং ৯২০ গ্রাম ক্যালোরি। আর এ থেকেই বুঝা যায় ফ্রাইড চিকেন কতটা ক্ষতিকর হতে পারে। রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রাও বাড়ায় এই খাবার।
৩. সসেজ
হট ডগ এর রুপে আপনি যে সসেজ খান তাতে থাকে উচ্চ মাত্রায় স্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং সোডিয়াম। ১০০ গ্রাম সসেজে থাকে ৩০১ ক্যালোরি যা আপনার রক্তের শিরা-শিরাগুলো বন্ধ করে দিতে পারে।
৪. চিজকেক
এতে থাকে প্রচুর পরিমাণে ক্যালোরি এবং চর্বি যা হার্টের জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। এক টুকরো চিজকেকে আছে ৮৬০ ক্যালোরি, ৫৭ গ্রাম চর্বি এবং ৮০ গ্রাম কার্বোহাউড্রেটস। সুতরাং খাওয়ার আগে দ্বিতীয়বার চিন্তা করুন।
৫. স্টিক
এতে থাকে উচ্চহারে কোলেস্টেরল এবং স্যাচুরেটেড ফ্যাট যা আপনার হার্টকে দুর্বল করার জন্য যথেষ্ট। এক বিফ স্টিকে থাকে ৫৯৪ ক্যালোরি, ১৮.৫ গ্রাম চর্বি এবং ১৯১ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল। আর রান্না করার পর তা দ্বিগুন হয়ে যায়।
৬. বার্গার
একটি সিঙ্গেল বার্গারে থাকে ২৯ গ্রাম চর্বি, ৫৪০ ক্যালোরি এবং ১৪০ মিলিগ্রাম সোডিয়াম। যা বেশি খেলে হার্টের জন্য মারাত্মক বিপজ্জনক।
৭. পিজ্জা
এতে স্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং সোডিয়াম থাকে উচ্চহারে, যথাক্রমে ৪.৪ গ্রাম এবং ৫৫১ মিলিগ্রাম। পিজ্জা ক্রাস্ট উচ্চামাত্রায় কার্বোহাউড্রেট ও সোডিয়াম সমৃদ্ধ। আর পিজ্জা সসেও সোডিয়াম থাকে উচ্চহারে। যা আপনার হার্টকে ধ্বংস করার জন্য এবং রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণহীনভাবে বাড়ানোর জন্য যথেষ্ট।
৮. চিপস
আপনি জেনে হয়তো চমকে যাবেন লবণাক্ত এক প্যাকেট পটেটো চিপসে আছে ১৫৫ ক্যালোরি, ১০.৬ গ্রাম চর্বি এবং ১৪৯ মিলিগ্রাম সোডিয়াম। ফলে চিপস খেলে অপ্রত্যাশিতভাবে ওজন বেড়ে স্বাস্থ্যের বারোটা বাজাবে।
৯. ব্লেন্ডেড কফি
বিখ্যাত কফিশপে যে ব্লেন্ডেড কফি বিক্রি করা হয় তা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য বেশ অস্বাস্থ্যকর। কেন জানেন? ওই কফিতে থাকে সিরাপ, সুগার, হুইপড ক্রিম এবং অন্যান্য টপিং যেসব উচ্চামাত্রার ক্যালোরি এবং চর্বি সমৃদ্ধ। এসব রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা অতিরিক্তহারে বাড়িয়ে তোলে। যা থেকে ডায়াবেটিস এবং হৃদরোগ হয়।
১০. ফ্রেঞ্চ ফ্রাই
এতে থাকে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেটস, চর্বি এবং সোডিয়াম যা রক্তে সুগারের মাত্রা বাড়ায়। প্রতিদিন ফ্রেঞ্চ ফ্রাই খেলে ওজন বেড়ে রক্তের শিরা-উপশিরায় চর্বি জমবে। যা হার্টে ব্লক তৈরি করে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়াবে।

যদি ঘুমের মধ্যে লালা ঝরে…

সুস্বাস্থ্যের জন্যে গভীর ঘুম অতি জরুরি। গভীর ঘুম হলে দেহ-মন ফুরফুরে থাকে। কিন্তু অনেকেই আছেন যাদের ঘুমের সময় লালা ঝরার মতো অস্বস্তিকর ঘটনা ঘটে। সাধারণত শিশুদের এমনটা দেখা যায়। তাই বলে যে বড়দের হয় না, তা নয়। তবে বড়দের জন্যে এটা লজ্জার বিষয় নয়। কারণ, অসুস্থতাজনিত কারণে মুখ দিয়ে লালা ঝরতে পারে। এখানে জেনে নিন ঘুমের সময় লালা ঝরার কিছু কারণ। যদি এ সমস্যা দেখা দেয় তো শিগগিরই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
আসলে মুখের অতিরিক্ত লালা ঘুমের সময় বেরিয়ে আসে। এটি অস্বাভাবিক নয়। অবশ্য বড়দের এমনটা ঘটলে তা অস্বস্তিকর হয়ে ওঠে। ঘুমানোর সময় খাবার বা পানীয় গেলার পেশিগুলো দেহের অন্যান্য পেশির মতোই নিষ্ক্রিয় থাকে। এ কারণে মুখের এই কোণা সেই কোণা থেকে লালা বেরিয়ে আসতে পারে। কারণ, তখন পেশি এদের ধরে রাখা বা নিয়ন্ত্রণে সক্রিয় থাকে না।
এটা অনেক সময়ই স্বাভাবিক ঘটনা হলেও মাঝে মাঝে অসুখের লক্ষণও প্রকাশ করে। নিউরোলজি, ঘুম সমস্যা কিংবা অন্যান্য স্বাস্থ্যগত সমস্যার কারণে এমনটা ঘটে। স্ট্রোক, সেরেব্রাল পালসি কিংবা মাল্টিপল স্কেলেরোসিস (এমএস)-এ আক্রান্ত হলে ঘুমের মধ্যে মুখ থেকে লালা ঝরতে পারে। আরো কিছু কারণ আছে এমনটা ঘটার।
ঘুমের ভঙ্গিমা 
এটাকে সবচেয়ে সাধারণ কারণ বলা যায়। ঘুমের ভঙ্গিমার কারণে মুখের লালা অতি সহজে বেরিয়ে আসার সুযোগ পায়। চিত হয়ে সোজা ভঙ্গীতে ঘুমালে এমন হওয়ার কথা না। আবার কাত হয়ে ঘুমালে কিংবা উপুড় হয়ে ঘুমালে লালা ঝরার সম্ভাবনা বেশি থাকে। এ অবস্থায় সাধারণত মুখ নিয়ে নিঃশ্বাস নিতে হয়। তখন মুখ হা হয়ে থাকে। কাজেই লালা বেরিয়ে আসা অনেক সহজ।
বন্ধ সাইনাস 
সর্দি বা সংক্রমণের কারণে নাসারন্দ্র বন্ধ থাকলে ঘুমের সময় লালা ঝরার সম্ভাবনা দেখা দেয়। নাকের পথে নিয়মিত সমস্যা থাকলে এ ঝামেলায় পড়বেন। যাদের নাসারন্দ্র জন্মগত কারণেই স্বাভাবিকের চেয়ে সরু, তাদের লালা ঝরার সমস্যা প্রতিনিয়ত থাকে। আর ঘুমের সময় সুস্থ মানুষও যদি মুখ খুলে শ্বাস নেন, তবে একই অবস্থায় পড়বেন।
জিইআরডি 
গ্যাস্ট্রোইনটেস্টিনাল রিফ্লাক্স ডিসঅর্ডার বা গার্ড (জিইআরডি) হজমপ্রক্রিয়ার এক ধরনের সমস্যা নির্দেশ করে। এ রোগ থাকলে পাকস্থলী থেকে খাবার অন্ননালীতে ফিরে যায়। এতে অন্ননালীর অভ্যন্তরীন দেয়ালে ক্ষত সৃষ্টি হয়। গার্ডের কারণে হতে পারে ডিসফাজিয়া (খাবার গেলায় সমস্যা)। এমনটা হলে খাবার গলার মধ্যে কোনো মাংসপিণ্ডে আটকে যাচ্ছে বলে মনে হবে। গার্ডের কারণে মুখ দিয়ে ঘুমের সময় লালা ঝরে।
ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া 
বিশেষ কোনো রোগের চিকিৎসা নিতে থাকলে ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে এ সমস্যা দেখা দিতে পারে। অ্যান্টিসাইকোটিক ওষুধ (বিশেষ করে ক্লোজাপাইন) এবং আলঝেইমার্স রোগে ব্যবহৃত ওষুধের প্রভাবে লালা ঝরে।
গেলায় সমস্যা 
আগেই বলা হয়েছে এমন হয় ডিসফাজিয়ার কারণে। যদি অযথাই লালা বেরিয়ে আসছে বলে মনে হয়, তবে ডিসফাজিয়াকে সন্দেহের তালিকায় রাখতে পারেন। এ ছাড়া পারকিনসন্স, মাসকুলার ডিস্ট্রোফি এবং বিশেষ কিছু ক্যান্সারের ক্ষেত্রে লক্ষণ হিসেবে দেখা দেয় ঘুমের মধ্যে লালা ঝরা।
স্লিপ অ্যাপনিয়া 
এ রোগ থাকলে ঘুমের সময় দেহ শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ করে দেয়। বাধ্য হয়ে মুখ দিয়ে জোরপূর্বক শ্বাস গ্রহণ করতে হয়। তাই এমন ঘটনায় স্লিপ অ্যাপনিয়া নেপথ্যে থাকতেই পারে। আর স্লিপ অ্যাপনিয়া এক ভয়াবহ রোগ হয়ে দেখা দেয়।
করণীয় 
সত্যিকার অর্থে বিশেষজ্ঞই ভালো বুঝবেন রোগীকে কী ধরনের চিকিৎসা দেওয়া প্রয়োজন। তবে প্রাথমিকভাবে ঘুমের ভঙ্গিমা বদলাতে বলা হয়। যেহেতু অতিরিক্ত লালা বেরিয়ে আসাটাই সমস্যা, তাই এটা কাটাতে লেবুর ছিলকায় খেলে বেশ উপকার মেলে। অনেকে ম্যানডিবুলার ডিভাইস ব্যবহার করেন। এটা এমন এক যন্ত্র যা মুখে লাগিয়ে ঘুমাতে হয়। এটা ঘুমের সময় মুখ বন্ধ রাখে এবং ঘুমকে আরামদায়ক করে।
সমস্যাটা স্লিপ অ্যাপনিয়ার কারণে ঘটলে সিপিএপি মেশিন বহুল ব্যবহৃত পদ্ধতি। এই যন্ত্র কেবল লালা ঝরানোই বন্ধ করবে না, ঘুমকে গভীরে নিয়ে যাবে। আপনি সঠিক পদ্ধতিতে এবং সুষ্ঠুভাবে ঘুমাচ্ছেন- তা নিশ্চিত করবে সিপিএপি মেশিন। অনেকেই আরো সাহসী চিকিৎসা নিতে চান। সে ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ সঠিক মাত্রার বোটোক্স ইঞ্জেকশন দিয়ে থাকেন। আর সমস্যা গুরুতর হলে শেষ পর্যন্ত সার্জারির পথ তো খোলা আছেই।

No comments:

Post a Comment

পোস্টের নীচে বিজ্ঞাপন

Pages

Contact Form

Name

Email *

Message *