বাঁশখালীতে সপ্তাহজুড়ে হাতির তাণ্ডবে অর্ধশত ঘর ভাংচুর! - আমার বাঁশখালী ডটকম AmarBanskhali.Com

ব্রেকিং নিউজ

শীর্ষ বিজ্ঞাপন

321

নিউজ এর উপরে বিজ্ঞাপন

Saturday, July 28, 2018

demo-image

বাঁশখালীতে সপ্তাহজুড়ে হাতির তাণ্ডবে অর্ধশত ঘর ভাংচুর!

01

আমার বাঁশখালী ডেস্ক:

উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গত এক সপ্তাহ ধরে বন্যহাতির দল হানা দিচ্ছে লোকালয়ে। এরই মধ্যে পুকুরিয়া ও সাধনপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে হাতির দল অর্ধশতাধিক বসতঘর ভাঙচুর করেছে। তছনছ করে দিয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকার ফসলি জমি। গ্রামবাসী দিনরাত পাহারা দিয়েও হাতির আক্রমণ ঠেকাতে পারছেন না।

29072018+%25282%2529

এদিকে পাহাড়ে খাদ্য সংকটের কারণে হাতির দল খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে ছুটে আসছে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা। বন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, হাতির আক্রমণের শিকার প্রতিটি বাড়িতে কম-বেশি ধান মজুদ রয়েছে। উপর্যুপরি বন্য হাতির আক্রমণের ব্যাপারে উপজেলা আইনশৃঙ্খলা সভায়ও আলোচনা হয়েছে।
29072018+%25283%2529

সাধনপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন চৌধুরী খোকা কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘বাণীগ্রাম, সাধনপুর ও বৈলগাঁও গ্রামের মানুষের চোখে এখন ঘুম নেই। দিনরাত সমান তালে হাতির পাল এসে লোকালয়ে ভাঙচূর চালাচ্ছে। ঘরবাড়ি ভেঙে দিচ্ছে। গরিব অসহায় মানুষ ঘর হারিয়ে এখন নানামুখি দুর্ভোগে পড়েছেন। দরিদ্র পরিবারগুলো সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অসহযোগিতায় ক্ষতিপূরণও পাচ্ছেন না। আমার এলাকায় অন্ততঃ ৪২টি ছোট-বড় বসতঘর ভেঙে দিয়েছে হাতির দল। বিভিন্ন ক্ষেত খামার লণ্ডভণ্ড করে দিয়েছে।’
পুকুরিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আসহাব উদ্দিন বলেন, ‘হাতির পাল আসার খবর ছড়িয়ে পড়তে না পড়তে গ্রামজুড়ে আতঙ্ক শুরু হয়ে যায়। শত শত গ্রামবাসী ঘরবাড়ি ছেড়ে হাতি তাড়া করতে নেমে পড়ে। গ্রামের শ্রমজীবী মানুষগুলো কাজকর্ম বন্ধ করে প্রতিদিন হাতি তাড়ানোর কাজে লেগে থাকায় তাঁরা আর্থিক সংকটেও পড়েছেন। বন কর্মকর্তারা এ ব্যাপারে জোরালো কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না।’
29072018+%25286%2529

নাটমুড়া এলাকার ইউপি সদস্য ফরিদ আহমদ বলেন, ‘পুকুরিয়ার নতুনপাড়া, নাটমুড়া, হিন্দুপাড়া এলাকায় অন্ততঃ ২২টি বাড়ি ভাঙচুর করেছে হাতির পাল। হাতির তাণ্ডবে গ্রামবাসী সীমাহীন কষ্টে আছে।’
29072018+%25285%2529

বাঁশখালী বনবিভাগের কালীপুর রেঞ্জের রেঞ্জার মো. রইসুল ইসলাম বলেন, ‘হাতির আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন বাড়িঘর পরিদর্শন করেছি। প্রত্যেক বাড়িতে দেখা গেছে কম-বেশি ধান মজুদ রয়েছে। মূলত পাহাড়ে খাদ্য সংকটের কারণে হাতির পাল লোকালয়ে ছুটে আসছে। বনদস্যুদের দমন করতে সবার সম্মিলিত প্রয়াসে বনাঞ্চলে বহুমুখি বনায়ন করা গেলে হাতির এমন তাণ্ডব থেকে ভবিষ্যতে রক্ষা পাওয়া যাবে।’
বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার বলেন, ‘বন্যহাতির তাণ্ডবের খবর শুনেছি। বন্যপ্রাণীকে হত্যা করার কোনো বিধান নেই। বন কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে কীভাবে হাতির তাণ্ডব প্রতিরোধ করা যায় এবং বন্য হাতিকে বনে ফিরিয়ে দেওয়া যায় সেই ব্যাপারে আলাপ-আলোচনা চলছে। সূত্র: কালেরকণ্ঠ।

No comments:

Post a Comment

পোস্টের নীচে বিজ্ঞাপন

Pages

Contact Form

Name

Email *

Message *