আমার বাঁশখালী ডেস্ক:
ডায়াবেটিস রোগীদের প্রায় সারাদিনই চিন্তা থাকে কীভাবে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়, চিনির পরিমাণ কীভাবে কমানো যায়। নিয়ম মাফিক এবং নিয়মিত ওয়াক আউটে আর ভালো স্বাস্থ্যকর খাবার রক্তে চিনি মাত্রার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শস্য খান বেশি করে। ফাইবার সমৃদ্ধ শস্য রক্তে গ্লুকোজের শোষণকে বিলম্বিত করতে সাহায্য করতে পারে। ওটস এবং বাদামি চালের মত রক্তে শর্করার মাত্রা হ্রাস করে, টাইপ-২ ডায়াবেটিসের বিকাশের সম্ভাবনাও কমায়। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে যে সমস্ত খাদ্য শস্য-
১। রাগি-
রাগি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। চাল,ভুট্টা বা গমের তুলনায় রাগি শস্যের বীজের খোসায় প্রচুর পরিমাণ পলিফেনল থাকে। যা রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখে। পুষ্টিবিদ অঞ্জু সুদের মতে, আপনার সকালের খাবারে রাগি খেতে পারেন রোজ যা সারাদিন আপনার শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে এটি।
২। বার্লি-
বার্লি এই সব শস্যের মধ্যে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। সুইডেনের লন্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণার মতে, বার্লিতে পাওয়া ফাইবার একটি বিশেষ মিশ্রণ হিসেবে খেলে আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করতে পারে।
৩। বাদামী ভাত-
বিভিন্ন গবেষণায় দেখানো হয়েছে যে সপ্তাহে রোজ সাদা চালের ভাত খেলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বেড়ে যায়। অন্যদিকে, এক সপ্তাহের মধ্যে অন্তত দু’বার বাদামী চালের ভাত খেলে ঝুঁকি কম হতে পারে। বাদামী চালে ফাইটিক অ্যাসিড, ফাইবার এবং পলিফেনল থাকে। যা শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
৪। ওটস-
ওটস সুস্বাদু ব্রেকফাস্ট হিসাবে অনেকেরই প্রিয়, বিশেষত ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এটি খুবই উপকারী। যেহেতু ওটস রক্তে শর্করার স্থিরতা বজায় রাখে এবং টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে, ডায়াবেটিস রোগীদের নিয়মিতভাবে ওটস খাওয়া উচিত।
৫। বাজরা-
নিয়মিত সাদা ময়দার পরিবর্তে বাজরার ময়দা আপনি ফাইবার বেশি পাবেন। ডায়াবেটিস ডায়েটে এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাজরায় জিআই সূচক ৪৯-৫১ থাকে, যা ডায়াবেটিস আক্রান্তদের জন্য উপযুক্ত। মেটাবোলিক সিনড্রোম এবং পি.সি.ও.এস আক্রান্তদের জন্যও বাজরা উপকারী।
No comments:
Post a Comment