
আমার বাঁশখালী ডেস্ক:
এসময় বাগানে ভাংচুর ও কর্তৃপক্ষকে ঘেরাও করে রাখেন তারা। শ্রমিক সংগঠন পঞ্চায়েতের দাবি, ওই ব্যাবস্থাপক উক্ত বাগানে ইতিপূর্বে ব্যবস্থাপক থাকাকালে শ্রমিকদের বিরুদ্ধে অন্যায়ভাবে মামলা করেছেন। এতে শ্রমিকরা নানাভাবে হয়রানীর শিকার হয়েছে। তাই উক্ত ব্যবস্থাপক বাগানেশ্রমিক অসন্তোষের জের ধরে চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ির উদালিয়া চা-বাগান বন্ধ বাগানে নতুন ব্যাবস্থাপকের যোগদানকে কেন্দ্র করে শ্রমিকদের মাঝে অসন্তোষ দেখা দেয়ায় গত বৃহস্পতিবার থেকে সকল কাজ বন্ধ করে দেন
শ্রমিকেরা।
শ্রমিকেরা।
দায়িত্বে থাকতে পারবেন না।
আজ শনিবার বাগান কর্তৃপক্ষের নোটিশে জানানো হয়েছে, বাগানে নতুন ব্যবস্থাপক মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম নিয়োগ পেয়ে ২৫ জুলাই কাজে যোগদান করলেও সেদিন সকালে শ্রমিকেরা কর্মস্থলে এসে কাজে যোগদান না করে বেআইনী ধর্মঘটের ডাক দেয়।

এসময় তারা বাগানের কার্যালয়, বিভিন্ন স্থাপনা এবং বাংলো ভাংচুর করে বিভিন্নভাবে শ্লোগান দিতে থাকে। বাগানের ব্যবস্থাপক তাদের নিবৃত করার চেষ্টা চালিয়েও ব্যর্থ হন। উল্টো ব্যবস্থাপকের উপর চড়াও হন শ্রমিকরা।
পরে ২৬ জুলাই বাগান কর্তৃপক্ষের নিকট থেকে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে শ্রমিক কর্মচারীদের কাজে যোগদানের জন্য অনুরোধ জানানো হয়। তাতেও শ্রমিকেরা কাজে যোগ না দেওয়ায় বাগান কর্তৃপক্ষ ২০০৬ সনের বাংলাদেশ শ্রম আইনের ১৩ (১) ধারায় বাগানের সকল কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়।
শনিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাগানের সবকটি বাংলো তালাবদ্ধ। কয়েকজন কর্মচারী বাগানের আশেপাশে ঘুরছেন। কিছু শ্রমিক বাগানের অভ্যন্তরে সমাবেশ করছেন। নেতৃত্ব দিচ্ছেন পঞ্চায়েতের নেতারা। উক্ত বাগানে ৯৯৭ জন শ্রমিক এবং ৪২ জন কর্মচারী রয়েছেন। প্রতিনিদিন গড়ে
সাড়ে ৫ হাজার কেজি চা উৎপাদন করে বাগানটি। অর্থনৈতিকভাবে প্রতিদিন তারা ৩৫ থেকে ৪০ লক্ষ টাকার ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। বাগানের সহকারি ব্যবস্থাপক প্রদীপ কুমার জানান, দৈনিক ৩৫-৪০ লাখ টাকা ক্ষতি হচ্ছে বাগানের। এছাড়া উৎপাদিত চায়ের বিপরীতে সরকার হারাচ্ছে লাখ লাখ টাকা রাজস্ব।
সাড়ে ৫ হাজার কেজি চা উৎপাদন করে বাগানটি। অর্থনৈতিকভাবে প্রতিদিন তারা ৩৫ থেকে ৪০ লক্ষ টাকার ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। বাগানের সহকারি ব্যবস্থাপক প্রদীপ কুমার জানান, দৈনিক ৩৫-৪০ লাখ টাকা ক্ষতি হচ্ছে বাগানের। এছাড়া উৎপাদিত চায়ের বিপরীতে সরকার হারাচ্ছে লাখ লাখ টাকা রাজস্ব।

বাগানের পঞ্চায়েত সাধারণ সম্পাদক বিজয় নায়েক বলেন, নতুন যোগদানকারী ব্যবস্থাপক নিয়ে আমাদের যত সমস্যা। ইতিপূর্বে তিনি এই বাগানে ১৭ বছর চাকুরী করেছেন। অনেক শ্রমিক-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে তিনি হামলা-মামলা করেছেন। এবারও যোগ দিয়ে তিনি আমাদের উপর অত্যাচার চালাবেন এই ধারণায় আমরা তাকে বাগানে দেখতে চাইনা।
বাগানের ব্যবস্থাপক মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, কোম্পানী আমাকে ২৫ জুলাই থেকে নিয়োগ দেন। সে মতে বাগানে যোগদান করি। কিন্তু এতে একটি পক্ষের উস্কানিতে বাগানের শ্রমিকেরা কাজে যোগদান না করে ভাংচুর ও আমাকে মারধর করার চেষ্টা করেন। অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, কোম্পানীর নির্দেশে কোন মামলা হলে সে দায় আমার উপর বর্তাবে কেন। অন্যায়ভাবে আমি কারো বিরুদ্ধে মামলা করিনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দীপক কুমারা রায় বলেন, ‘ওই ব্যবস্থাকের তখনকার মানসিকতা আর বর্তমানের মানসিকতা এক নয়। শ্রমিকদের দাবি আমরা খতিয়ে দেখছি। আশা করি দ্রুত সমাধান হয়ে যাবে।’
এদিকে বিষয়টি সন্তোষজনক সমাধানের জন্য ফটিকছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান ও ফটিকছড়ি উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি মুজিবুল হক চৌধুরী আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
বাগানের মালিক মোস্তফা গ্রুপের চেয়ারম্যান হেফাজুতুর রহমান বলেন, কিছু শ্রমিক বাগানে বিশৃংখলা সৃস্টি করছে। তারা বাগানের কোন আইন কানুন মানে না। বাগানে নতুন ব্যবস্থাপক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তাঁকে মানতে চাচ্ছেনা। আইন শৃংখলার অবনতির আশংকায় বাগান বন্ধ রাখা হয়েছে।
No comments:
Post a Comment