চট্টগ্রাম-৬ (বাঁশখালী) আসনে আওয়ামী লীগে বর্তমান সাংসদ মোস্তাফিজুর রহমানকে চ্যালেঞ্জ জানাতে আরোদুই শক্ত প্রার্থী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন।।”।
জোরালো প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন জেলা আওয়ামী লীগের অর্থ সম্পাদক মুজিবররহমান সিআইপি এবং আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল্লাহ কবির লিটন। তবে আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থীদেরস্বপ্নভঙ্গের কারণ হতে পারে জাতীয় পার্টি। তারা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন জোটে থাকলে এ আসনে সাবেকএমপি মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী মনোনয়ন চাইবেন।।”।
পূর্বদিকে সাতকানিয়ার পাহাড়ি অঞ্চল, উত্তরে শঙ্খ নদী ও পশ্চিমে বঙ্গোপসাগর। দক্ষিণে পেকুয়া। পাহাড়বেষ্টিতবাঁশখালী অঞ্চল প্রাকৃতিকভাবে উপদ্রুত। ১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিলের প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে এইউপজেলার মানুষ সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।।”।
পূর্বদিকে সাতকানিয়ার পাহাড়ি অঞ্চল, উত্তরে শঙ্খ নদী ও পশ্চিমে বঙ্গোপসাগর। দক্ষিণে পেকুয়া। পাহাড়বেষ্টিতবাঁশখালী অঞ্চল প্রাকৃতিকভাবে উপদ্রুত। ১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিলের প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে এইউপজেলার মানুষ সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।।”।
এখানে সাগরের ভাঙন অব্যাহত আছে। আর সেই ভাঙন ঠেকাতেসরকার বেড়িবাঁধ নির্মাণ করছে। আর এই বাঁধকে কেন্দ্র করেই সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ওঠছে দুর্নীতির অভিযোগ।
১৯৭৩ সালে প্রথম সংসদ নির্বাচনে এ আসন থেকে সংসদ সদস্য হন আওয়ামী লীগের শাহ–ই–জাহান চৌধুরী।।”।
১৯৭৩ সালে প্রথম সংসদ নির্বাচনে এ আসন থেকে সংসদ সদস্য হন আওয়ামী লীগের শাহ–ই–জাহান চৌধুরী।।”।
১৯৭৯ সালের নির্বাচনে বিএনপির টিকিটে নির্বাচিত হন বর্তমানে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও চট্টগ্রামসিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী। পরে তিনি জাতীয় পার্টিতে যোগ দিয়ে ১৯৮৬ ও১৯৮৮ সালেও সংসদ সদস্য হন। ১৯৯১ সালের নির্বাচনে জয়লাভ করেন আওয়ামী লীগের সুলতান–উল–কবির চৌধুরী। ১৯৯৬ সালের দুই দফা, ২০০১ ও ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী জাফরুল ইসলামচৌধুরী সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।।”।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ আসনটিফিরে পায় মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর হাত ধরে। কিন্তু দলের কোন্দল রয়েই যায়। বাঁশখালীতে ১৯৯৬সালের ২৯ নভেম্বর আওয়ামী লীগের কাউন্সিল হয়। ওই কাউন্সিলে বর্তমান সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমানচৌধুরীকে সভাপতি ও খোরশেদ আলমকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়।।”।
এর কয়েক বছর পরঅভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে খোরশেদ আলমকে বাদ দিয়ে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক করা হয় আব্দুলগফুরকে।।”।
এরপর গত ২২ বছর বাঁশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের আর কোনো কমিটি হয়নি। এর মধ্যে ওইকার্যকরী কমিটির অনেক সদস্য মারা গেছেন।।”। আবার অনেকে বিদেশে চলে গেছেন। এখন যাঁরা আছেন তাঁদেরঅনেকেই সক্রিয় নন। আগে কোন্দল ছিল সুলতানুল কবির চৌধুরীর সঙ্গে আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর।।”।এখন চলছে বাবুর ভাগিনা আবদুল্লাহ কবির লিটনের সঙ্গে বর্তমান সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমানের।
মোস্তাফিজুর রহমান প্রকাশ্যে বলেছেন, আবদুল্লাহ কবির লিটন কোনোদিনই নৌকা মার্কায় ভোট দেননি।।”।
মোস্তাফিজুর রহমান এমপি বলেন, আবদুল্লাহ কবির লিটন আওয়ামী লীগের কোনো পর্যায়েই সম্পৃক্ত নন। তিনিথানা আওয়ামী লীগের সদস্যও নন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে কাজ করে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন উল্লেখকরে বলেন,
‘নেত্রী আমাকে বলেছেন, সেন্টার কমিটি গঠন করার জন্য। নেত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী কাজকরছি।’ দলের তৃণমূল পর্যায় থেকে শুরু করে বাঁশখালীর মানুষ তার সাথে আছে উল্লেখ করে বলেন, তারআমলে বাঁশখালীর ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। তিনি দাবি করেন, বাঁশখালীতে তিনিই একমাত্র সংসদ সদস্য, যিনিস্বাধীনতার পর প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রের দেয়া অর্থ থেকে এক হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ করেছেন।”।
তিনিজানান, ২৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে বাঁশখালীর উপকূলবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি বেড়িবাঁধের নির্মাণকাজ চলছে, ১৫০কোটি টাকা ব্যয়ে বাঁশখালী প্রধান সড়কের কাজ চলছে, ছয় কোটি টাকা ব্যয়ে উপজেলা পরিষদ ভবন, আটকোটি টাকা ব্যয়ে থানা পুলিশের ভবন নির্মাণ, পাঁচ কোটি টাকা ব্যয়ে আদালত ভবন নির্মাণ, ছয় কোটি টাকাখরচে কৃষি সম্প্রসারণ ভবনসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনার কাজ চলছে। এ ছাড়া হাসপাতালে এম্বুলেন্স দেয়া, থানায় পুলিশ ভ্যান দেয়া, ২৮টি গ্রামীণ রাস্তা নির্মাণ, প্রধানমন্ত্রীর তহবিল থেকে প্রায় পাঁচ হাজার মানুষকেনানাভাবে আর্থিক সাহায্য–সহযোগিতা করেছেন।।”।
আরো ৫০০ কোটি টাকার মতো প্রস্তাবিত প্রকল্প রয়েছে। তবে বর্তমান সাংসদ মোস্তাফিজুর রহমানের সমালোচনা করতে চান না উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ নেতাআবদুল্লাহ কবির লিটন বলেন, কোথায় উন্নয়ন হয়েছে আর কোথায় অনিয়ম দুর্নীতি হয়েছে সেটা বাঁশখালীবাসীমূল্যায়ন করবে। তিনি নিজে দীর্ঘ ১৬ বছর দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং গতবারআওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে নাম প্রকাশ হয়েছিল উল্লেখ করে লিটন বলেন, আওয়ামী লীগ না করলে এসব কিকরে হয়।।”।
বর্তমান সাংসদ জনগণের আশা আকাক্সক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে ব্যর্থ হয়েছেন। একজন সংসদ সদস্যহিসেবে নিজের ইমেজ ধরে রাখতে পারেননি।।”।
তিনি বলেন,
‘আমি মাঠে আছি। নেতাকর্মীদের নিয়ে সবসময়নেত্রীর ভিশন–মিশন বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছি। সেই লক্ষ্যে প্রতিটি ওয়ার্ডে ও ইউনিয়নে উঠোন বৈঠক ওসমাবেশ করে আওয়ামী লীগ নেতা কর্মী–সমর্থকদের উজ্জীবিত করছি।’ ‘আল্লাহর ইচ্ছা ও নেত্রীর সুদৃষ্টি থাকলেএবার আমি মনোনয়ন পাব। মনোনয়ন পেলে আসনটি নেত্রীকে উপহার দিতে পারবো।।”।
দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের অর্থ সম্পাদক মুজিবুর রহমান সিআইপি বলেন, ‘মানুষের কল্যাণের জন্যই আমিরাজনীতি করছি। আমার যত অর্জন তা সাধারণ মানুষের মধ্যে বিলিয়ে দেয়ার মানসিকতা নিয়েই নির্বাচনীমাঠে রয়েছি।।”।
দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের অর্থ সম্পাদক মুজিবুর রহমান সিআইপি বলেন, ‘মানুষের কল্যাণের জন্যই আমিরাজনীতি করছি। আমার যত অর্জন তা সাধারণ মানুষের মধ্যে বিলিয়ে দেয়ার মানসিকতা নিয়েই নির্বাচনীমাঠে রয়েছি।।”।
দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ মানুষের আত্মসামাজিক উন্নয়নে কাজ করছি। আমাকে ঘিরে সাধারণমানুষের যে প্রত্যাশা তার প্রতিফলন ঘটাতে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশা করছি।।”।আমি ও আমার পরিবার সবসময় আওয়ামী লীগের মূল¯্রােতে থেকেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বাস্তবায়নে সংগঠনেরজন্য কাজ করেছি। কখনো এলাকায় গ্রুপিং–বিভাজনে যুক্ত ছিলাম না। নেত্রী আমার উপর আস্থা রাখলেবাঁশখালী আসনটি আওয়ামী লীগকে উপহার দিব, ইনশাআল্লাহ।।”।
তিনি বলেন, এলাকার শিক্ষা বিস্তারে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিনামূল্যে বই বিতরণ, গরীব–দুস্তদের সহায়তা প্রদান, মসজিদ–মন্দির উন্নয়নে সহায়তা প্রদান, রাস্তাঘাটের উন্নয়ন, উপকূলে পানিসংকট নিরসনে গভীর নলকূপ স্থাপনসহ সামাজিক কর্মকা–ে যুক্ত রয়েছেন তিনি।।”।
প্রধানমন্ত্রীর ভিক্ষুকপূর্নবাসন প্রকল্পে জেলা প্রশাসনের পাশে থেকে ইতোমধ্যে দেড় শতাধিক ভিক্ষুককে পুনর্বাসন করে আলোচনায়এসেছেন। আগামীতে বাঁশখালীতে মা ও শিশু হাসপাতাল ও ডায়াবেটিক হাসপাতাল নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছেনতিনি।।”।
মুজিবুর রহমান সিআইপির পারিবারিক শিল্পগ্রুপে প্রায় ত্রিশ হাজার কর্মকর্তা–কর্মচারী রয়েছেন।এরমধ্যে প্রায় ২০ হাজার কর্মকর্তা–কর্মচারীর বাড়ি বাঁশখালী। তাঁর পরিবার এলাকার বেকার দূরীকরণেগুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছেন।।”।
গত শুক্রবার (২৪ আগস্ট) মাস্টার নজির আহমদ কলেজে বাঁশখালী সর্বস্তরেরছাত্রদের নিয়ে বিশাল সমাবেশ করেন তিনি। সে সমাবেশে প্রার্থী হওয়ার জন্য ছাত্রজনতাকে পাশে থাকারঅনুরোধ জানান তিনি।
জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয় চান সাবেক সাংসদ মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী।।”।
জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয় চান সাবেক সাংসদ মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী।।”।
তিনি নির্বাচনকরার বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে দলের সিদ্ধান্তের উপর। তবে নির্বাচন করার সব প্রস্তুতি তার আছে উল্লেখকরে বলেন, এলাকার সাধারণ মানুষের সাথে তার নিয়মিত যোগাযোগ আছে। প্রত্যন্ত এলাকায় যেখানে পানীয়জলের অভাব রয়েছে সেখানে তিনি ডিপটিউবওয়েল স্থাপন করে পানির ব্যবস্থা করেছেন।।”।
দলের স্বার্থে বিভিন্নকর্মকা– করে যাচ্ছেন। বাঁশখালীর তৃণমূলের মানুষের সাথে তার আত্মার সম্পর্ক। মনোনয়ন পেলে তিনিআসনটি উপহার দিতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেন। দৈনিক পূর্বকোণ সূত্রে আমার বাঁশখালী.কম এর রিপোর্ট।”।
No comments:
Post a Comment