আমার বাঁশখালী ডেক্স: ‘সমরে
আমরা শান্তিতে আমরা, সর্বত্র আমরা দেশের তরে’ এই স্লোগান নিয়ে ১৯৭১ সালে
প্রতিষ্ঠিত হয়ে দেশের সেবায় কাজ করে চলেছে বাংলাদেশ সেনা বাহিনী। যারা
দেশের সেবায় নিয়োজিত হয়ে, দেশের স্বার্বভৌমত্বরক্ষা করতে চান, তাদের জন্য
সুযোগ নিয়ে এসেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
দেশের স্বার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি
স্বচ্ছল জীবন ও আকর্ষণীয় সুযোগ সুবিধা পেতে পারেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে
লেফটেন্যান্ট হিসেবে যোগ দিয়ে। ৮১তম বিএমএ কোর্সে ভর্তির জন্য বিভিন্ন
জাতীয় দৈনিকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। এতে বাংলাদেশি নারী-পুরুষ নাগরিকেরা
আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনের যোগ্যতা : বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে
৮১তম বিএমএ কোর্সে ভর্তির জন্য প্রার্থীকে এসএসসি ও এইচএসসি বা সমমান
পরীক্ষায় যে কোনো একটিতে জিপিএ ৫.০ এবং অন্যটিতে জিপিএ ৪.৫ পেয়ে উর্ত্তীণ
হতে হবে।
ইংরেজি মাধ্যমে ও লেভেলে ৬টির মধ্যে ৩টিতে
এ গ্রেড, ৩টিতে বি গ্রেড এবং এ লেভেলে দুটি বিষয়েই বি গ্রেড পেয়ে উর্ত্তীণ
হতে হবে। ২০১৮ সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। তবে
এসএসসিতে অবশ্যই জিপিএ ৫.০ থাকতে হবে।
আবেদনকারীর বয়স : আবেদনকারীর বয়স ০১
জানুয়ারি , ২০১৯ তারিখ অনুযায়ী ১৭ থেকে ২১ বছর হতে হবে। সশস্ত্র বাহিনীতে
কর্মরত প্রার্থীদের বয়স ১৮ থেকে ২৩ বছর হতে পারবে। এক্ষেত্রে কোনো এফিডেফিট
গ্রহণযোগ্য হবে না।
শারীরিক যোগ্যতা : এতে কেবলমাত্র অবিবাহিত
পুরুষ/মহিলা প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। পুরুষ প্রার্থীর ক্ষেত্রে
উচ্চতা কমপক্ষে ১.৬৩ মিটার (৫ ফুট ৪ ইঞ্চি) হতে হবে। বুকের মাপ স্বাভাবিক
অবস্থায় ০.৭৬ মিটার (৩০ ইঞ্চি) এবং স্ফীত অবস্থায় ০.৮১ মিটার (৩২ ইঞ্চি)।
ওজন হতে হবে ১১০ পাউন্ড বা ৫০ কেজি। অপরদিকে মহিলা প্রার্থীর উচ্চতা
কমপক্ষে ১.৫৭ মিটার (৫ ফুট ২ ইঞ্চি) হতে হবে। বুকের মাপ স্বাভাবিক অবস্থায়
০.৭১ মিটার (২৮ ইঞ্চি) এবং স্ফীত অবস্থায় ০.৭৬ মিটার (৩০ ইঞ্চি)। ওজন হতে
হবে ১০৪ পাউন্ড বা ৪৭ কেজি। প্রার্থীদের উচ্চতা ও বয়স অনুসারে ওজন বেশি হলে
অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে।
আবেদন প্রক্রিয়া : আগ্রহী প্রার্থীদের
অনলাইনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। এ
ক্ষেত্রে www.joinbangladesharmy.mil.bd ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে হোম পেজে ওপর
ডান কোনায় APPLY NOW তে ক্লিক করে ৮১তম বিএমএ কোর্সের আবেদন করতে হবে।
নির্দেশনা অনুযায়ী আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে।
আবেদন ফরম পূরণ করে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত
নিয়মে টেলিটক, ট্রাস্ট ব্যাংক মোবাইল মানি, ভিসা ও মাস্টার কার্ড, বিকাশ
এবং রকেটের মাধ্যমে আবেদন ফি ১০০০ টাকা জমা দিতে হবে। আবেদন ফি জমা দেয়ার
পরে প্রাথমিক সাক্ষাৎকারের কলআপ লেটার পাওয়া যাবে। যা সংরক্ষণ করে রাখতে
হবে।
আবেদনের সময়সীমা : ইতিপূর্বে অনলাইনে শুরু হয়ে গেছে আবেদন প্রক্রিয়া, চলবে ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ তারিখ পর্যন্ত।
বাছাই প্রক্রিয়া : আবেদনকারীর মধ্য থেকে
কয়েকটি ধাপে পরীক্ষা নিয়ে বাছাই করা হবে। প্রথমে প্রাথমিক মেডিকেল ও মৌখিক
পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। প্রাথমিক নির্বাচনী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ
প্রার্থীদের লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ
প্রার্থীদের আইএসএসবি, চূড়ান্ত ডাক্তারি পরীক্ষা ও মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ
করতে হবে।
লিখিত পরীক্ষায় যোগ্য প্রার্থীদের ঢাকা
সেনানিবাসে অবস্থিত আইএসএসবিরের কাছে পরীক্ষা/সাক্ষাতকারের জন্য নির্ধারিত
তারিখে উপস্থিত থাকতে হবে। এই পরীক্ষা ৪ দিনে সম্পন্ন হবে, এর যাবতীয় ব্যয়
সরকার বহন করবে।
আইএসএসবি পরীক্ষা চলাকালীন প্রার্থীদের
চূড়ান্ত স্বাস্থ্য পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। স্বাস্থ্য পরীক্ষায় চূড়ান্ত
যোগ্যতা অর্জনকারী প্রার্থীদের সেনা সদর এজি শাখা (পিএ পরিদফতর)
চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত ঘোষণা ও পরবর্তীতে যোগদান নির্দেশিকা প্রদান করবেন।
পরীক্ষার তারিখ ও স্থান : প্রার্থীদের
প্রাথমিক নির্বাচনী পরীক্ষা ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৫ মার্চ দেশের বিভিন্ন
সেনানিবাসে অনুষ্ঠিত হবে। প্রাথমিক নির্বাচনী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ
প্রার্থীদের ১ জুন, ২০১৮ তারিখে সাক্ষাৎকার পত্রে উল্লিখিত স্থানে লিখিত
পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। লিখিত পরীক্ষার ফল ৮ জুন, ২০১৮ তারিখে
ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।
লিখিত পরীক্ষার বিষয় : লিখিত পরীক্ষা বাংলা, ইংরেজি, সাধারণ গণিত এবং সাধারণ জ্ঞান বিষয়ে নেয়া হবে।
প্রশিক্ষণ : নির্বাচিত ক্যাডেটরা
একাডেমিতে ৩ বছরের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করবেন। ৪র্থ বছর বিএমএ/এমআইএসটিতে
অবস্থান করে অফিসার হিসেবে স্নাতক (সম্মান)/ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রিগুলো
সম্পন্ন করবেন। প্রশিক্ষণ শেষে লেফটেন্যান্ট পদবিতে কমিশন পাবেন।
নিয়োগ ও সুযোগ-সুবিধা : প্রশিক্ষণকালীন
ক্যাডেটরা মাসিক ১০ হাজার টাকা পাবেন। কমিশন প্রাপ্তির পরে লেফটেন্যান্ট
পদে বাংলাদেশ সেনবাহিনীর প্রচলিত বিধান অনুযায়ী বেতন-ভাতা দেয়া হবে।
বাসস্থান, চিকিৎসা, সন্তানদের পড়াশোনার
সুবিধা ও স্বল্পমূল্যে রেশনসহ বিধি অনুযায়ী অন্যান্য সুবিধা পাওয়া যাবে।
এছাড়াও থাকবে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনীতে যোগ দানে সুযোগ। বিদেশে
প্রশিক্ষণের পাশাপাশি বাংলাদেশ দূতাবাসগুলোতে নিয়োগ পেতে পারেন সামরিক বা
সহকারী সামরিক উপদেষ্টা হিসেবে। রয়েছে যোগ্যতা অনুযায়ী স্নাতকোত্তর, এমফিল ও
পিএইচডি ডিগ্রি লাভের সুযোগ।
No comments:
Post a Comment