![]() |
আমার বাঁশখালী ডেস্ক:
বাঁশখালীর পশ্চিম গন্ডামারা ৭৬ নম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে গত মঙ্গলবার রাতে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক ফারুক ই আজমকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। শ্লীলতাহানির শিকার ছাত্রীর মা বাদি হয়ে গত ২৪ জুলাই রাতে প্রধান শিক্ষককে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করেছেন। ছাত্রীর মায়ের অভিযোগে জানা গেছে।
মেয়েকে পানির ফিল্টার পরিষ্কারের কথা বলে নিয়ে যায়। পানির ফিল্টার পরিষ্কার করার এক পর্যায়ে ওই প্রধান শিক্ষক তার মেয়ের স্পর্শকাতর জায়গায় হাত দিয়ে উত্ত্যক্ত করার চেষ্টা করে। মেয়েটি প্রধান শিক্ষকের ওই অশ্লীল আচরণে বিরক্ত হয়ে স্কুল থেকে পালিয়ে বাড়িতে যায়। বাড়িতে গিয়ে তাদের ঘটনাটি খুলে বললে, গ্রামবাসী স্কুলে এসে প্রধান শিক্ষকের ঘটনায় প্রতিবাদ করে, পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ গ্রামবাসীর রোষানল থেকে প্রধান শিক্ষককে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
একই প্রধান শিক্ষক কাহারঘোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতাকালীন একই রকমভাবে ছাত্রীর শ্লীলতাহানির ঘটনায় অভিযুক্ত ছিলেন।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা কে এম মোস্তাক আহমদ বলেন, ‘ঘটনার ব্যাপারে থানায় মামলা হয়েছে। বিষয়টি আমরাও তদন্ত করার জন্য সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা লিটন সূত্র ধরকে প্রধান করে ২ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। স্কুলের অতীত ও বর্তমান যাবতীয় বিষয় তদন্ত করে বিভাগীয় ব্যবস’া নেয়া হবে।
বাঁশখালী থানার উপ-পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘শ্লীলতাহানির শিকার ছাত্রীর মা বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। শিক্ষককে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
পশ্চিম গন্ডামারা ৭৬ নম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ব্যবস’াপনা কমিটির সভাপতি এনামুল হক সিকদার মানিক বলেন, ‘স্কুলের প্রধান শিক্ষক একজন চরিত্রহীন ব্যক্তি। আমি বিষয়টি দীর্ঘদিন ধরে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানিয়ে আসছি। তথ্য সূত্র: সূপ্রভাত বাংলাদেশ।
No comments:
Post a Comment